রাজধানীর মোতালেব প্লাজার চতুর্থ তলার একটি টয়লেট থেকে মো. দুলাল ভূঁইয়া (৫২) নামে এক মোবাইল দোকানের কর্মচারীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
১১ আগস্ট, শুক্রবার টয়লেটের দরজা ভেঙে তাকে অচেতন অবস্থায় ঢাকা মেডিকেলের জরুরি বিভাগে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
মৃত মো. দুলাল ভূঁইয়া মুন্সিগঞ্জ সদরের কাজী কসবা গ্রামের মৃত হাসেম ভূঁইয়ার ছেলে। তিনি মোতালেব প্লাজায় ফুপাতো ভাই মশিউর রহমান ইরানের মোবাইল পার্টস দোকানের কর্মচারী ছিলেন।
নিহত ব্যক্তির মামাত ভাই মশিউর রহমান ইরান বলেন, মোতালেব প্লাজায় আমার মোবাইল পার্টসের ব্যবসা রয়েছে। তিনি আমার দোকান কর্মচারী ছিলেন। গতকাল তিনি দুপুরে কোন ফাঁকে বাথরুমে যান তা আমাদের জানা ছিলনা। কিন্তু কোথাও গেলে তিনি বলে যেতেন। তিনি বাথরুমের ভিতরে অসুস্থ হয়ে পড়ে গিয়ে মারা যেতে পারেন। আজ ভোরে মোতালেব প্লাজার নারী পরিচ্ছন্নকর্মী জহুরা বেগম বাথরুম পরিষ্কার করতে গিয়ে ভিতর থেকে বাথরুমের ছিটকানি লাগান দেখতে পায়। পরে জহুরা বেগম শাহবাগ পুলিশসহ আশেপাশের লোকজন ডেকে ছিটকানি ভেঙ্গে ভিতরে গিয়ে ওই ব্যক্তির মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে পরে তাকে উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পুলিশ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠান।
তিনি আরো বলেন, দুলাল ভূঁইয়া আমার মামাতো ভাই। তাদের আর্থিক অবস্থা খুবই দুর্বল, যার কারণে তিনি আমার এখানে চাকরি করতেন তার স্ত্রী অসুস্থ হয়ে চোখ দুটো অন্ধ হয়ে গেছে তিনি কর্মস্থল থেকে বাসায় ফিরে তার নিজেই পাকশাক করে স্বামী স্ত্রী খেতেন। তিনি এভাবে চলে যাবেন এটা ভাবতেও পারিনি।
শাহবাগ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. বজলুর রহমান এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, মোতালেব প্লাজার নারী পরিচ্ছন্নকর্মী জহুরা বেগম বাথরুম পরিষ্কার করতে গিয়ে ভেতর থেকে দরজা লাগানো দেখতে পান। পরে আশেপাশের লোকজন ডেকে বাথরুমের দরজা ভেঙে ভেতরে দুলালকে অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। পুলিশে খবর দিলে দুলালকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মর্গে রাখা হয়েছে।
বিবার্তা/বুলবুল/লিমন
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]