শ্রাবণের অঝোর ধারায় রাজধানীতে গত কয়েকদিন বৃষ্টি থাকলেও বুধবার (৯ আগস্ট) সকাল থেকে আকাশে ছিল সূর্যের প্রখর রোদ। সকাল থেকে একটানা রোদ থাকায় ভ্যাপসা গরমে অতিষ্ঠ হয়ে যাওয়ার উপক্রম হচ্ছিল। তবে দুপুরের পর মেঘ চলে আসে ঢাকার আকাশে, তারপর বিকেলে নামে অঝোরে বৃষ্টি। টানা প্রায় দেড় ঘণ্টা ধরে চলে বর্ষণ। এতে জলাবদ্ধতা তৈরি হয়। জলাবদ্ধতায় সড়কে বিকল হয়ে পড়ে অনেক যানবাহন, বেড়ে যায় যানজটও।
বৃষ্টিতে বেশি জলাবদ্ধতা দেখা গেছে শান্তিনগর, নয়াপল্টন, আরামবাগ, মতিঝিল এলাকায়। এই এলাকায় সড়কে হাঁটু পানি জমেছে। এতে যানবাহন কমে গেছে।
বৃষ্টির ফলে প্রগতি সরণির কুড়িল-রামপুরা সড়কের বিভিন্ন স্থানে জলাবদ্ধতা দেখা গেছে। এই সড়কে যানবাহন চলাচলেও ধীরগতি রয়েছে। এছাড়া যান স্বল্পতায় বৃষ্টিতে ভিজেও অফিস ফেরত মানুষকে অপেক্ষা করতে দেখা গেছে।
রাজধানীর জুরাইন, শ্যামপুর, যাত্রাবাড়ী, কদমতলী এলাকার মুরাদপুর মেডিকেল রোড, হাইস্কুল রোডেও পানি জমেছে। বাসিন্দারা জানান, দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে রাস্তা-ঘাট, ড্রেনেজ ব্যবস্থার কোনো সংস্কার হয়নি। ফলে বৃষ্টি হলেই জলাবদ্ধতা তৈরি হয়। আর বেশি বৃষ্টি হলে পানি নেমে যেতে সময় লাগে আরো বেশি।
মতিঝিলে অগ্রণী সিনিয়র অফিসার আমিরুল ইসলাম অফিস থেকে বের হয়ে নিচে দাঁড়িয়ে ছিলেন স্টাফ গাড়ির জন্য। অফিস ছুটি হয়ে গেলেও চালক কল করে জানান বৃষ্টিতে জ্যামের কারণে গাড়ি নিয়ে আসা যাচ্ছে না। একই অবস্থা হয় রফিকুল ইসলামের।
ব্যক্তিগত গাড়িতে যাতায়াত করেন এজিএম আন্জুমান আরা। তার চালকও কল করে জানান অফিসের কাছাকাছি আছেন। তবে সামনে বেশ কিছু গাড়ি থাকায় এগুতে পারছেন না।
বলাকা চত্বর, শাপলা চত্বর, বাংলামোটর, পল্টন মোড়ে বাড়ি ফেরা মানুষের মানুষের দীর্ঘ লাইন। কিছুক্ষণ পরপর একটি করে গাড়ি আসার সঙ্গে সঙ্গে অপেক্ষারতরা ছোটাছুটি শুরু করেন।
বিকেলের বৃষ্টিতে বন্ধ হয়ে যায় মতিঝিল, পল্টন, গুলিস্তানের ফুটপাতের সব দোকান। দোকানিরা দোকান বন্ধ করে নিরাপদে চলে যান।
সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে বৃষ্টি কমলেও বিভিন্ন সড়কে জলাবদ্ধতা এবং যানজটের খবর পাওয়া গেছে।
বিবার্তা/লিমন
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]