‘অনলাইন টি অকশন’ বিষয়ক দুই দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালা শুরু
প্রকাশ : ০৩ আগস্ট ২০২৩, ১৮:০০
‘অনলাইন টি অকশন’ বিষয়ক দুই দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালা শুরু
পঞ্চগড় প্রতিনিধি
প্রিন্ট অ-অ+

আগামী মাসে চালু হতে যাচ্ছে পঞ্চগড়ে দেশের তৃতীয় চা নিলাম কেন্দ্র। এই নিলাম কেন্দ্রে কীভাবে চা ক্রেতা বিক্রেতারা অংশ গ্রহণ করবেন সে বিষয়ে ৩ আগস্ট বৃহস্পতিবার থেকে পঞ্চগড় চেম্বারের হলরুমে শুরু হয়েছে ‘অনলাইন টি অকশন’ বিষয়ক দুই দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালা।


ব্রোকার হাইজ সমূহের যৌথ উদ্যোগে স্মল টি গার্ডেন ওনার্স এন্ড টি ট্রেডার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ এই প্রশিক্ষণ কর্মশালার আয়োজন করেন। পঞ্চগড় জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও চেম্বার প্রেসিডেন্ট মো. আব্দুল হান্নান শেখ প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধন করেন।


অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আমিরুল হক খোকনের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ চা বোর্ডের প্রধান কার্যালয়ের বিপণন কর্মকর্তা আহসান হাবিব, বাংলাদেশ চা বোর্ডের পঞ্চগড় আঞ্চলিক কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আমির হোসেন, মহানন্দা ব্রোকার হাউজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ শাহীন, ইন্ডিগো ব্রোকার হাউজের পরিচালক সাইদুর রহমান পঞ্চগড় প্রেসক্লাবের সভাপতি সাজ্জাদুর রহমান সাজ্জাদ বক্তব্য দেন।


দুই দিনের প্রশিক্ষণে অকশন সেন্টারে অনলাইন অ্যাপসের মাধ্যমে কীভাবে চা বেচা কেনা করা হবে সে বিষয়ে ধারণা দেয়া হচ্ছে। প্রশিক্ষণে ব্রোকার হাউজ, ওয়্যার হাউজের মালিক, স্থানীয় বিডার এবং বায়াররা প্রশিক্ষণ কর্মশালায় অংশ নিয়েছেন।


আইটি বিডি টেক অ্যাপসটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক জায়েদ বিন অপু ও বাংলাদেশ চা বোর্ডের প্রধান কার্যালয়ের বিপণন কর্মকর্তা আহসান হাবিব প্রশিক্ষণ পরিচালনা করছেন।


উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় এই জেলায় চা নিলাম কেন্দ্র স্থাপনের সরকারি সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়েছে। আগামী মাসের শুরুতেই এই সেবা কেন্দ্রটি ভার্চুয়ালি প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধন করবেন। পঞ্চগড়ে চা নিলাম কেন্দ্র চালু হলে এটি হবে দেশের তৃতীয় চা নিলাম কেন্দ্র। গত বছর চা উৎপাদনে নতুন রেকর্ড সৃষ্টি করেছে এই অঞ্চল। বৈশ্বিক মহামারি উপেক্ষা করে ২০২২ সালের দেশের মোট উৎপাদনের ১৯ শতাংশ চা উৎপাদন করেছে পঞ্চগড়সহ উত্তরের জেলাগুলো।


গত বছর জেলায় এক কোটি ৭৭ লাখ ৮১ হাজার কেজি চা উৎপন্ন হয়েছে। যার বাজার মূল্য ২৬০ কোটি টাকা। এবার দুই কোটি কেজি চা উৎপন্ন হবে বলে আশা করছেন চা সংশ্লিষ্টরা।


বর্তমানে নিবন্ধিত চা বাগান ৮টি, অনিবন্ধিত ২০টি এবং ক্ষুদ্রায়তন চা বাগান সাত হাজার ৩৩৮টি, নিবন্ধিত এক হাজার ৩৬৮টিতে ১০ হাজার ২৪০ একর জমিতে চায়ের আবাদ হয়েছে। ২০০৫ সালে প্রথম তেঁতুলিয়া টি কোম্পানি লিমিটেড চা প্রক্রিয়াকরণ কারখানা স্থাপন করে একে একে জেলায় বেসরকারি উদ্যোগে গড়ে উঠেছে ২৬টি চা প্রক্রিয়াকরণ কারখানা।


বিবার্তা/গোফরান/সউদ

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com