কুষ্টিয়ায় পদ্মা নদীর তীব্র ভাঙন শুরু হয়েছে। নদীতে পানি বাড়ার সাথে সাথে নদী তীরবর্তী এলাকার মানুষের স্বপ্নও বিলীন হচ্ছে। বিশেষ করে ভেড়ামারা ও মিরপুর উপজেলার প্রায় পাঁচ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে পদ্মার তীব্র ভাঙনে বিলীন হচ্ছে ফসলি জমি।
হুমকির মুখে পড়েছে বসতবাড়ি ও কুষ্টিয়া-ঈশ্বরদীর মহাসড়ক। স্থানীয়রা বলছেন, ভাঙন রোধে প্রয়োজন টেকসই ও স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ।
পদ্মা নদীর ভাঙন এলাকার ঘুরে দেখা গেছে, গত কয়েক সপ্তাহ ধরে কুষ্টিয়ায় পদ্মা নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। নদীতে পানি বৃদ্ধির সাথে সাথে ভেড়ামারা উপজেলার বারোমাইল, টিকটিকিপাড়া, মোসলেমপুর, মুন্সিপাড়া এবং মিরপুর উপজেলার তালবাড়িয়া এলাকায় তীব্র নদী ভাঙনও শুরু হয়েছে।
নদী ভাঙনে বিলীন হচ্ছে ফসলি জমি। অব্যাহত ভাঙনে হুমকির মুখে পড়েছে কুষ্টিয়া-ঈশ্বরদীর মহাসড়ক ও নদীপাড়ের মানুষ। এদিকে নদী ভাঙন রোধে ভুক্তভোগী এলাকাবাসী নদীপাড়ে মানববন্ধনও করেছে।
স্থানীয়রা বলছেন, পদ্মা নদীতে ড্রেজার দিয়ে প্রভাবশালীরা অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করার কারণে ভাঙন আরো তীব্রতর হচ্ছে। এতে হার্ডিঞ্জ ব্রিজ ও লালন শাহ সেতুর পাশাপাশি নির্মাণাধীন রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রও পড়বে হুমকিতে।
এদিকে নদী ভাঙন এলাকা পরিদর্শন করে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ এমপি।
পদ্মার ভাঙনরোধে প্রাথমিক কার্যক্রম শুরু করা হলেও স্থায়ী বাঁধ নির্মাণে এরই মধ্যে প্রায় দুই হাজার কোটি টাকার প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন কুষ্টিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রাশেদুর রহমান।
তবে আশ্বাস নয়, ভাঙনরোধে দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে অচিরেই বিলীন হয়ে যাবে মূল্যবান সব স্থাপনা, এমন অভিমত সংশ্লিষ্টদের।
বিবার্তা/শরীফুল/সউদ
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]