কুষ্টিয়ায় বাদাম চাষে স্বচ্ছলতা ফিরেছে চরবাসীর
প্রকাশ : ১২ জুলাই ২০২৩, ২২:২৯
কুষ্টিয়ায় বাদাম চাষে স্বচ্ছলতা ফিরেছে চরবাসীর
কুষ্টিয়া প্রতিনিধি
প্রিন্ট অ-অ+

পদ্মার অনাবাদি চরে চিনা বাদাম চাষ করে এ বছরও ব্যাপক সাফল্য পেয়েছেন কুষ্টিয়ার দৌলতপুরের চরাঞ্চলের চাষীরা। পদ্মার বিস্তীর্ণ চরে চাষকরা বাদাম ঘরে তুলতে এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা। অর্থকরী এ ফসল চাষ করে সংসারে স্বচ্ছলতাও ফিরেছে চরবাসীর।


চলতি রবি মৌসুমে কুষ্টিয়ায় প্রায় ১ হাজার হেক্টর জমিতে বাদাম চাষ হয়েছে। এরমধ্যে দৌলতপুরের বিস্তীর্ণ চরে চাষ হয়েছে ৯৭০ হেক্টর জমিতে। যা গতবছরের চেয়ে ৮০ হেক্টর বেশি।


একসময় পদ্মা নদীতে জেগে ওঠা বালুচর অনাদর-অবহেলায় পড়ে থাকত, যা চাষীদের কোন কাজেই আসত না। পদ্মার চরে চাষীরা চিনা বাদাম চাষ করে ব্যাপক সাফল্য পাওয়ায় প্রতি বছরই বৃদ্ধি পাচ্ছে বাদাম চাষ। অর্থকরী এ ফসলের চাষ পুরো চরে ছড়িয়ে পড়ছে। এবছরও চরে বাদাম চাষ করে চাষীরা ব্যাপক সাফল্য পেয়েছেন। খরচ বাদ দিয়ে চাষীদের লাভের অংক তিন থেকে চারগুণ ছাড়িয়ে যাবে। বাদাম চাষে বিঘা প্রতি খরচ হয়েছে মাত্র ৫-৬ হাজার টাকা। আর বিক্রয় হচ্ছে প্রতিমন ৪ থেকে সাড়ে ৪ হাজার টাকা দরে। কম খরচ আর অল্প পরিশ্রমে লাভও বেশি। তাই চাষীরা বাদাম চাষে চরম খুশি।


উপজেলার রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নের চল্লিশপাড়া গ্রামের বাদামচাষী সোহেল আহমেদ। তিনি বিবার্তাকে বলেন, এ বছর ৪ বিঘা জমিতে বাদাম চাষ করে খরচ বাদ দিয়ে প্রায় তিনগুণ লাভ হয়েছে। একই কথা জানিয়েছেন ফিলিপনগর চরের বাদামচাষী আজিজুল হক।


কৃষি বিভাগ থেকে বাদামের নতুনজাত সরবরাহসহ প্রণোদনা ও কারিগরি পরামর্শ প্রদানসহ সবধরণের সহায়তা দেয়ার ফলে বাদামের ফলন বৃদ্ধি পেয়েছে। পাশাপাশি আধুনিক ও উচ্চফলনশীল জাতের বাদাম চাষ বাড়ছে বলে বিবার্তাকে জানিয়েছেন দৌলতপুর কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. নুরুল ইসলাম।


চরাঞ্চলের পড়ে থাকা অনাবাদি জমিতে অর্থকরী ফসল বাদাম চাষের আওতায় আনা গেলে চরবাসী আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হবেন। পাশাপাশি দেশের বাদামের চাহিদাও মিটবে।


বিবার্তা/শরীফুল/রোমেল

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com