হিলিতে ক্ষতির সম্মুখীন মৌসুমি চামড়া ব্যবসায়ীরা
প্রকাশ : ০১ জুলাই ২০২৩, ১৫:৩৮
হিলিতে ক্ষতির সম্মুখীন মৌসুমি চামড়া ব্যবসায়ীরা
হিলি, দিনাজপুর প্রতিনিধি
প্রিন্ট অ-অ+

এবারের কুরবানি পশুর চামড়ার দাম নেই বললেই চলে। ফলে দিনাজপুরের সীমান্তবর্তী হিলিতে লাভের আশায় চামড়া কিনে বিপাকে পড়েছেন এখানকার মৌসুমি চামড়া ব্যবসায়ীরা। যে দামে চামড়া বিক্রি করতে হচ্ছে তাতে করে লাভ তো দূরের কথা কেনা দাম উঠছে না বলে ক্ষতির সম্মুখীন হতে হচ্ছে তাদের। গরুর চামড়া বিক্রি করতে পারলেও ছাগলের চামড়া কেউ নিচ্ছে না। ন্যায্য দামেই চামড়া কেনা হচ্ছে জানিয়ে লবণের দাম বাড়ার কারণে বাড়তি দাম দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না বলে দাবি চামড়া আড়ৎদারদের।


শনিবার (১ জুলাই) হিলির মুন্সিপট্টির চামড়া আড়তে গিয়ে দেখা যায়, ঈদের দিন দুপুরের পর থেকেই হিলির বিভিন্ন এলাকা থেকে চামড়া নিয়ে আড়তে আসতে শুরু করেন মৌসুমি ব্যবসায়ীরা। একইভাবে বিভিন্ন স্থান থেকে মাদ্রাসা, এতিমখানা কর্তৃপক্ষ তাদের সংগ্রহ করা চামড়া নিয়ে সেখানে আসতে শুরু করেন। তবে তুলনামূলক চামড়ার দাম না পাওয়ার কথা জানিয়েছেন বিক্রেতারা। এখন চামড়া আড়ৎ এ পশুর চামড়ায় লবন লাগানোর কাজ। এদিকে ঈদের থেকে এই এলাকায় থেমে থেমে বৃষ্টির হওয়ায় চামড়া কেনাবেচা নিয়ে সমস্যার মধ্যে পড়তে হচ্ছে তাদের।


চামড়া বিক্রি করতে আসা হাকিমপুর হিলি উপজেলার কোকতাড়া গ্রামের ফনিল রবিদাস বলেন, আড়ৎদার কথা মোতাবেক গ্রাম মহল্লায় চামড়া কিনেছে ২৫০-৩০০ টাকা। আবার বাড়িতে প্রাথমিকভাবে লবণও দিয়েছি। আজ আড়ৎ এ নিয়ে আসলাম এখানে কেনা দাম বলছে। লাভের আসায় কিছু চামড়া কিনেছিলাম এখন দেখতেছি ক্ষতি হলো আমার।


চামড়া বিক্রি করতে আসা উপজেলার বোয়ালদাড় ইউনিয়নের মিলন রবিদাস বলেন, প্রতি বছরের মতো এবারও কিছুটা লাভের আশায় পাড়া মহল্লায় কোরবানির পশুর চামড়া কিনেছি। স্থানীয়দের কাছ থেকে গরুর চামড়া কিনেছি, ৩০০-৩৫০ টাকা করে। কিন্তু হিলিতে চামড়া বিক্রি করতে এসে শুনি দাম বলছে ৩০০-৩৩০ টাকা। আমদানি বেশি, যার কারণে ক্রেতারা দাম কম বলছে। এখন বাধ্য হয়ে তাদের দামেই বিক্রি করতে হচ্ছে। এগুলো রাখা তো সম্ভব নয়। আর খাসির চামড়া তো নিতেই চাচ্ছে না। ১৩টি খাসির চামড়া নিয়ে এসেছিলাম। সবগুলো চামড়া মাত্র ৫০ টাকায় দিয়েছে। সরকার যে চামড়ার দাম বেঁধে দিয়েছে সেই দামে এখানে চামড়া কিনছে না। পাড়া-মহল্লায় মৌসুমি ব্যবসায়ী হিসেবে চামড়া কিনেছি লাভের আশায়। কিন্তু এখন বিক্রি করতে নিয়ে এসে দেখি বাজার খারাপ।


হিলির চামড়াপট্টির চামড়া ক্রেতা স্বপন মুন্সি বলেন, এবার আমরা তো বাড়তি দাম দিয়েই চামড়া কিনেছি। লবণের বাড়তি দামের কারণে চামড়া প্রতি ২০০ থেকে ২৫০ টাকা খরচ পড়ে যাবে। সরকার যে হিসাবে চামড়ার দামের ঘোষণা দিয়েছে সেই হিসাবে যদি এখন ট্যানারি মালিকরা আমাদের কাছ থেকে চামড়া কিনে তাহলে কিছুটা হয়তো লাভ হবে। আর যদি তা না কিনে তাহলে ব্যবসায়ীদের বড় লোকসান হবে।


তিনি আরও বলেন, সরকার এ বছর কোরবানির ঈদে ঢাকায় গরুর চামড়ার দাম প্রতি বর্গফুট ৬ শতাংশ বাড়িয়ে ৫০-৫৫ টাকা নির্ধারণ করেছে। রাজধানীর বাইরে গরুর কাঁচা চামড়ার দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৪৫-৪৮ টাকা বর্গফুট। আর রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রতি বর্গফুট ছাগলের চামড়ার দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১২ থেকে ২০ টাকা।


বিবার্তা/রববানী/এসবি

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com