সরকার অনুমতি দেয়ায় দীর্ঘ ১০ মাস পরে ঈদের ছুটির শেষ দিনে দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে কাঁচামরিচ আমদানি শুরু হয়েছে।

২৬ জুন, সোমবার দুপুর বারোটায় হিলি বন্দর দিয়ে আমদানি কারক প্রতিষ্ঠান সততা বাণিজ্যলয় এর ভারত থেকে ৭ মে. টন কাঁচামরিচ বোঝাই একটি ট্রাক দেশে প্রবেশ এর মধ্যে দিয়ে দীর্ঘ ১০ মাস পর হিলি বন্দর দিয়ে কাঁচামরিচ আমদানি শুরু হয়েছে।

হিলি স্থলবন্দর এর পানামা পোর্ট লিংক লিমিটেডের তথ্য মতে সরকার ভারত থেকে কাঁচামরিচ আমদানির অনুমতি বন্ধ করে দেয়ায় গত বছরের আগস্ট থেকে বন্দর দিয়ে মরিচ আমদানি বন্ধ রয়েছে। এরপরে বাজারে কাঁচামরিচ এর দাম বাড়তে থাকে। বাজারে দাম স্থিতিশীল রাখতে সরকার পুনরায় ভারত থেকে মরিচ আমদানির অনুমতি দেয়ায় আবারও বন্দর দিয়ে আমদানি শুরু হয়েছে।

হিলি বন্দরের আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান মেসার্স সততা বাণিজ্যলয় এর স্বত্বাধিকারী বাবলু রহমান বলেন, সরকার অনুমতি না দেয়ায় দীর্ঘ দিন থেকে কাঁচামরিচ আমদানি বন্ধ ছিল। সরকার অনুমতি দেয়ায় আবারও আমদানি শুরু হয়েছে।

তিনি বলেন, ভারতের বিভিন্ন রাজ্য থেকে এসব মরিচ আমদানি করা হয়েছে। আর সব কাঁচামরিচ আমদানির ক্ষেত্রে সরকারি শুল্ক দিতে হয়েছে প্রতি কেজি ৩৬ টাকা। আগামী দিনে কাঁচামরিচ আমদানির ক্ষেত্রে সরকারি শুল্ক কমানোর দাবি জানাচ্ছি।

হিলি বন্দরের আমদানি রফতানি কারক গ্রুপের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহিনুর রেজা শাহীন বলেন, সরকারি অনুমোদন না থাকায় কাঁচামরিচ আমদানি বন্ধ ছিল। এর ফলে বাজারে মরিচের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। সরকার অনুমতি দেয়ায় আবারও আমদানি শুরু হয়েছে। আমদানি অব্যাহত থাকলে কাঁচামরিচ এর অর্ধেকে নেমে আসবে বলে আশা করছি। বর্তমানে হিলি বন্দরের খুচরা বাজারে প্রতি কেজি কাঁচামরিচ ২০০-২২০ টাকা বিক্রি হচ্ছে বলে জানান তিনি।
এদিকে হিলি বন্দরের পানামা পোর্ট লিংক লিমিটেডের জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন প্রতাপ বলেন, সরকার অনুমতি দেয়ায় দীর্ঘ ১০ মাস পরে হিলি বন্দর দিয়ে ঈদের ছুটির আগের দিন পুনরায় কাঁচামরিচ আমদানি শুরু হয়েছে। এতে সরকারের রাজস্ব আয় বৃদ্ধি পাবে। অন্যদিকে বন্দরের আয় ও বৃদ্ধি পাবে। যেহেতু কাঁচামরিচ পচনশীল পণ্য তাই কাস্টমস কার্যক্রম শেষে দ্রুত দেশের বাজারে পৌঁছাতে বন্দর কর্তৃপক্ষ সব ধরনের সহযোগিতা করে যাচ্ছে।

বিবার্তা/রব্বানী/সউদ