গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা সদর হতে প্রায় ৩ কি.মি. দক্ষিণে ঢাকা-রংপুর মহাসড়কের পশ্চিম পার্শ্বে অবস্থিত প্রাচীন মাস্তা মসজিদ। প্রাচিন এ মসজিদ দেখতে বিভিন্ন জেলা থেকে আসা যায় যে কোন যানবাহনে।
গাইবান্ধা জেলার ওয়েবসাইডের তথ্যমতে, গোবিন্দগঞ্জ উপজেলায় পুরাতন মসজিদ গুলোর মধ্যে প্রাচীন মাস্তা মসজিদ স্থাপত্যের অপর একটি নিদর্শন। কামারদহ ইউনিয়নের মাস্তা গ্রামের প্রাচীন লাল মসজিদটিই মাস্তা ‘মসজিদ' নামে পরিচিত। মসজিদ এলাকার জনশ্রুতি মতে একসময় এ এলাকায় বাদশা ফকির নামে এক প্রভাবশালী ও ধর্মপরায়ন ব্যক্তির বাস ছিল । তিনি এ মসজিদটি প্রতিষ্ঠা করেন। আজও বাদশা ফকিরের মাজার মসজিদটির সামনে রয়েছে। আজও মেলেনি তাঁর উত্তারসুরীর আসল পরিচয়। প্রকৃতপক্ষে মসজিদটি কোন সময় নির্মিত হয়েছে তা কোন সূত্র থেকেই আজও জানা যায়নি। তবে মসজিদের নির্মাণ কৌশল ও মোঘল আমলের মসজিদ স্থাপত্যের বৈশিষ্ঠ্যের সূত্র ধরে অনুমান করা যায় মাস্তা মসজিদটি মোঘল আমলের কোন এক সময় নির্মিত হয়েছিল। মসজিদটির দৈর্ঘ্য ৩৫ ফুট এবং প্রস্থ ১৬ ফুট। চার কোণে চারটি স্তম্ভ ও একই আকারের তিনটি গম্বুজ রয়েছে। তিনটি দরজা থাকলেও নেই কোন জানালা।
মসজিদটির ভিতরে দুই সারিতে নামাজ আদায় করা যায় বলে বর্তমানে মসজিদ পরিচালনা কমিটি স্থানীয় মুসল্লিদের সহযোগিতায় বারান্দার সামনে মসজিদ সম্প্রসারণ করে বড়
করেছে । যাতে বেশি মুসল্লি এক সাথে নামাজ আদায় করতে পারে। তবে সরকারি ভাবে মসজিদটির স্থাপত্য ধরে রাখতে সংস্কার করার জন্য প্রশাসনের প্রতি দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় মুসল্লিরা ।
বিবার্তা/ খালেক/মাসুম
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]