গুরুদাসপুরে পিতাপুত্রের দাপটে রাস্তা বন্ধ, ভোগান্তিতে এলাকাবাসী
প্রকাশ : ২৪ মে ২০২৩, ১৯:৪১
গুরুদাসপুরে পিতাপুত্রের দাপটে রাস্তা বন্ধ, ভোগান্তিতে এলাকাবাসী
গুরুদাসপুর (নাটোর) প্রতিনিধি
প্রিন্ট অ-অ+

নাটোরের গুরুদাসপুরে পিতা-পুত্রের দাপটে বৃটিশ আমলের রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করতে পারছে না গ্রামবাসী। উপজেলার বিয়াঘাট চরপাড়া গ্রামের আলম হোসেন ও তার ছেলে এমদাদুল হক মিলনের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছেন তারা। ফলে মাঠের মধ্যে দিয়ে অনেক পথ ঘুরে আসতে চরম ভোগান্তি পোহাচ্ছেন এলাকাবাসী। এ ঘটনায় বুধবার দুপুরে গ্রামবাসী গণস্বাক্ষর করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন।


সরেজমিনে ঘটনাস্থলে গেলে প্রতিবেশি সাইদুল ইসলাম, বিমাত আলীসহ ভুক্তভোগীরা জানান, চরপাড়া গ্রামের প্রধান সড়ক হতে জামালের বাড়ির কাছ দিয়ে বৃটিশ আমলের দীর্ঘ এক হাজার ফুট কাঁচা রাস্তা রয়েছে। পঞ্চাশ বছর ধরে ওই রাস্তা দিয়ে মাঠের ফসল নিয়ে গরুর গাড়ি ও ভ্যানগাড়িতে যাতায়াত করে আসছেন গ্রামবাসীরা। শুধু তাই নয়, মাঠের ফসল আনা নেয়া, গোরস্থানে মৃত ব্যক্তিকে দাফন করা এবং বিয়াঘাট বাবলাতলা সরকারি প্রাইমারি স্কুলে যাতায়াতের একমাত্র পথও এটি। অভিযুক্ত পিতাপুত্রের নেতিবাচক কর্মকাণ্ডকে সমর্থন না করায় যাতায়াতের একমাত্র পথটিকে পুঁজি করে ওই গ্রামের সাধারণ মানুষকে ভয়ভীতি দেখাচ্ছেন তারা।


এছাড়াও সম্প্রতি পারিবারিক বিরোধের কারণে কোর্টে মামলা করায় মসজিদের ইমাম আলামিন ও মনিরুল ইসলামের পরিবারের সদস্যদের ওই রাস্তা দিয়ে যেতে দেওয়া হচ্ছে না। রাস্তার দুপাশে বিএনপি নেতা আলমের জমি থাকায় শুধুমাত্র তার পছন্দের কিছু লোক ওই রাস্তায় চলাচল করতে পারছেন। প্রতিবেশি মইনুল, মংলা, হাতেম, জাহিমের পরিবারের সদস্যরাও গরু-ছাগল বিক্রি করে দিয়ে বাধ্য হয়ে দুর্গম মাঠের মধ্যে দিয়ে চলাচল করছেন।


জানতে চাইলে অভিযুক্ত বিএনপি নেতা আলম ও তার ছেলে বিয়াঘাট ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি এমদাদুল হক মিলন উপস্থিত সাংবাদিকদের ওপর চড়াও হয়ে বলেন, রাস্তাটি আমাদের জমির ওপর দিয়ে গেছে। এটা আমাদের ব্যক্তিগত রাস্তা। এ রাস্তা দিয়ে যাওয়ার ক্ষমতা কারো নেই। পায়ে চলার পথ দিলেও ভ্যান-ট্রাক যেতে দেব না। আর আলামিন ও মনিরুলের পরিবারকে যেতেই দেব না।


এ ব্যাপারে ইউএনও শ্রাবণী রায় বিবার্তাকে বলেন, অভিযোগ পেয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানকে বিষয়টি দ্রুত নিষ্পত্তির ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।


ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান সুজা অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করে বিবার্তাকে বলেন, ইতিপূর্বে ঘটনাটি মিমাংসার চেষ্টা করেছি। কিন্তু আলম ও তার ছেলেরা কথা মানে না। এ ব্যাপারে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া দরকার।


বিবার্তা/জনি/রোমেল/জবা

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com