কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুরে সাংবাদিক পরিচয়ে চাঁদা দাবি করায় থানায় এজাহার দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী জাহিদ হাসান।
এজাহারে মতে, মো. শাহীন (৩৫), পিতা-সোহরাব হোসেন সেন্টু, গ্রাম- ভাগজোত কাষ্টমমোড় ও মো. ওয়াজেদ আলী (৩৮), পিতা-অজ্ঞাত, গ্রাম-ফিলিপনগর, উভয় থানা-দৌলতপুর, জেলা-কুষ্টিয়া সহ অজ্ঞাতনামা ২/৩ জন গত ৯ এপ্রিল দুপুরে ভাগজোত মধ্য বাজারে ভুক্তভোগীর ক্লিনিক এসে নিজেদেরকে সাংবাদিক বলে পরিচয় দেয়। তারা দাবি করেন ভুক্তভোগীর ক্লিনিকে দেহব্যবসা চলে ও অনৈতিক কাজে ক্লিনিক ব্যবহার হচ্ছে।
পরে সাংবাদিক পরিচয় দেয়া ব্যক্তিরা ভুক্তভোগীর কাছে এক লক্ষ টাকা দাবি করে। টাকা না দিলে ভুক্তভোগীর বিরুদ্ধে মিথ্যা কাল্পনিক কাহিনী সৃষ্টি করে পত্রিকায় প্রচার এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোষ্ট করে মানহানি ঘটাবে বলে হুমকি দেয়।
এছাড়াও, আমার স্ত্রীর সাথে পারিবারিক বনিবনা না হওয়ায় কিছুদিন আগে তালাক প্রদান করি। এই ঘটনাকে ইস্যু করে আমার কাছে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে তারা চাঁদা দাবি করেছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, শাহীন আলম স্থানীয় বিএনপির ক্যাডার ও সরকার বিরোধী কার্যকলাপে জড়িত তাই পুলিশী ঝামেলা থেকে বাঁচতে সাংবাদিক হিসেবে পরিচয় দেন। শাহীন আলম এবং ওয়াজেদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির এমন অভিযোগ নতুন কিছু নয়। তারা সাংবাদিকতার নামে মানুষের অসহায়ত্বকে পুঁজি করে মোটা অংকের টাকা আদায় করে।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত শাহীন বলেন, আমি কোনো চাঁদা দাবি করি নাই। সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়েছিলাম। তিনি আরও বলেন, আমি আগে বিএনপি করতাম এখন আর করি না।
অভিযুক্ত ওয়াজেদ বলেন, আমি খোঁজ পাই জাহিদ তার স্ত্রীকে মারধোর করে মানসিক ভারসাম্যহীন করে ফেলেছে। তাই তার ক্লিনিকে সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়েছিলাম। কোনো চাঁদা দাবি করি নাই।
এবিষয়ে দৌলতপুর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মজিবুর রহমান বলেন, আমরা একটি লিখিত আভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
বিবার্তা/তুহিন/জবা
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]