গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন উপলক্ষে মেয়র প্রার্থী এ্যাডভোকেট মো. আজমত উল্লা খানকে সতর্ক করা সত্ত্বেও প্রতীক বরাদ্দের পূর্বে নির্বাচনী প্রচারণা করায় প্রার্থিতা বাতিল করা হবে না সে বিষয়ে নির্বাচন কমিশনে ব্যক্তিগতভাবে উপস্থিত হয়ে ৭ মে ব্যাখ্যা প্রদান করতে হবে।

বৃহস্পতিবার (৪ মে) নির্বাচন কমিশনের সভায় এ সিদ্ধান্ত প্রদান করা হয়েছে বলে বিবার্তাকে জানান, নির্বাচন কমিশনের সহকারী পরিচালক (জনসংযোগ) মো. আশাদুল হক জানান।

কমিশনের সংবাদ বিজ্ঞপ্তি জানানো হয়, আগামী ২৫ মে অনুষ্ঠিতব্য গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন উপলক্ষে ২৭ এপ্রিল মনোনোনপত্র দাখিলের সময় মেয়র প্রার্থী এ্যাডভোকেট মো. আজমত উল্লা খানকে নির্বাচনি আচরণ বিধি লঙ্ঘনের জন্য ৩০ এপ্রিল ব্যাখ্যা তলব করা হয়।

তা সত্ত্বেও ৪ মে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল এমপি সভা করে মেয়র প্রার্থী অ্যাডভোকেট মোঃ আজমত উল্লা খান এর পক্ষে ভোট চেয়েছেন।

যেখানে মেয়র প্রার্থী এ্যাডভোকেট মো. আজমত উল্লা খান উপস্থিত ছিলেন, যা বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়া এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারিত হয়েছে। উল্লিখিত কার্যক্রম সিটি কর্পোরেশন (নির্বাচন আচরণ) বিধিমালা, ২০১৬ এর বিধি ০৫ এর পরিপন্থী। আচরণ বিধিমালার বিধি ৫ লংঘনের জন্য বিধি ৩২ অনুযায়ী প্রার্থিতা বাতিলের বিধান রয়েছে।

গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন উপলক্ষে মেয়র প্রার্থী এ্যাডভোকেট মো. আজমত উল্লা খানকে ইতোপূর্বে সতর্ক করা সত্ত্বেও প্রতীক বরাদ্দের পূর্বে নির্বাচনি প্রচারণা করার ফলে আচরণবিধিমালার ৫ বিধি ভঙ্গের দায়ে কেন তাঁর প্রার্থিতা বাতিল করা হবে না সে বিষয়ে নির্বাচন কমিশনে (কক্ষ নং-৩১৪, নির্বাচন ভবন, আগারগাঁও, ঢাকা) ব্যক্তিগতভাবে উপস্থিত হয়ে ০৭ মে বিকাল ৩টায় ব্যাখ্যা প্রদানের জন্য নির্বাচন কমিশন ৪ মে তারিখের সভায় সিদ্ধান্ত প্রদান করেছেন।

এছাড়া, নির্বাচন উপলক্ষে সরকারের একজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যাক্তি হওয়া সত্ত্বেও প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান সভা করে মেয়র পদ প্রার্থী মো. আজমত উল্লা খান এর উপস্থিতিতে তাঁর পক্ষে ভোট চেয়ে সিটি করপোরেশন (নির্বাচন আচরণ) বিধিমালা, ২০১৬ লঙ্ঘন করেছেন। এ বিষয়টি প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসানের গোচরে নেয়ার জন্য তাঁর একান্ত সচিবকে নির্বাচন কমিশনের পক্ষে পত্র প্রেরণ করা হয়েছে।

বিবার্তা/সানজিদা/এসএ