দিনাজপুরের হিলিতে আবর্জনা হিসেবে মাছের আঁশ ফেলে দেওয়া হলেও তা বিক্রি করে বাড়তি আয় করছেন ব্যবসায়ীরা। আর এই আঁশ রফতানি হচ্ছে চীনসহ বিভিন্ন দেশে।
১৬ ফেব্রুয়ারি, বৃহস্পতিবার হিলি মাছ বাজারে গিয়ে দেখা গেছে, নিজেদের পাশাপাশি অন্য দোকান থেকেও মাছের আঁশ সংগ্রহ করছেন মাছ ব্যবসায়ীরা। এরপর এগুলো প্রক্রিয়াজাত করে ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা।
ব্যবসায়ীরা জানান, ক্রেতারা মাছ কিনে তা দোকান থেকেই কেটে নিয়ে যান। ক্রেতাদের ফেলে যাওয়া আঁশ বিক্রয় করে আর্থিক ভাবে লাভবান হচ্ছেন তারা (ব্যবসায়ীরা)। হিলি মাছ বাজারে বড় ছোট মিলিয়ে ২০ থেকে ২৫ টির মতো মাছের দোকান রয়েছে। এই আঁশ রফতানি হচ্ছে বিদেশেও। তৈরি হচ্ছে ওষুধের ফয়েলসহ নানা কিছু। দেশেও মাছের আঁশ দিয়ে তৈরি হচ্ছে মাছ ও মুরগীর খাদ্য।
মাছ বিক্রেতা আশরাফুল বলেন,আমরা প্রতিদিন ১ থেকে ২ কেজি করে মাছের আঁশ জড়ো করি, যা মাসে ৩০ থেকে ৪০ কেজির মতো আঁশ বিক্রি করতে পারি। যা থেকে তিন-চার হাজার টাকা বাড়তি আয় হয়। এতে আমরা মাছ ব্যবসার পাশাপাশি বাড়তি আয় করতে পারছি।
হিলি বাজারের মাছ বিক্রেতা কাওসার হোসেন বলেন, মাছের আঁশগুলো আগে ফেলে দিতাম যা পরিবেশ দূষিত করতো। এখন মাছের আঁশগুলোর চাহিদা থাকায় আঁশগুলো ভালোভাবে ধুয়ে রোদে শুকিয়ে বিক্রি করি।
মাছের আঁশ পাইকার ক্রেতা লিটন পারভেজ বলেন, আগে সবাই মাছের আঁশ ফেলে দিতো। এখন আমরা কিনি বলে সবাই সংগ্রহ করে রাখে। আমি দিনাজপুর, সৈয়দপুর, ঘোড়াঘাট, বগুড়া, নাটোর, জয়পুরহাট, বিরামপুর, রাজশাহীসহ বিভিন্ন জেলার মাছ বাজার থেকেও এ আঁশ সংগ্রহ করে থাকি। এগুলো সংগ্রহ করে ঢাকায় পাঠাই। সেখান থেকে চীনে রফতানি হচ্ছে।
বিবার্তা/রাব্বানী/জামাল
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]