সম্পত্তি ভাগাভাগি নিয়ে মরদেহ সামনে রেখে সৎ মা ও মেয়ের ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার বিকেলে কুমিল্লার হাউজিং এস্টেট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। মৃত ব্যক্তির নাম সিরাজুল হক। তিনি পেশায় একজন চিকিৎসক ছিলেন।
মৃত সিরাজুল হকের মেয়ে হাছনেয়ারা বেগম জানান, আমার ১২ বছর বয়সে মা মারা যায়। ১৫ বছর বয়সে বিবাহ হয়। তখন স্বামীর বাড়ি চলে যাই। বাবা ঘরে একা, তাই দ্বিতীয় বিয়ে করেন। পরের সংসারে কোনো সন্তান হয়নি। গত ২০ বছর বাবা অসুস্থ। কয়েকবার স্ট্রোক করেছেন। তখন আমার সৎ মা সেতারা বেগম তার ভাই জাহাঙ্গীর ও তারেক হাউজিং এলাকার জমির টিপসই নেয়। আমি হাউজিং বা গ্রামের বাড়ি রাচিয়া কোনো সম্পত্তি পাইনি। আমি ছাড়া আমার বাবার কোনো ছেলে মেয়ে নাই।
মেয়ের জামাতা ডা. দেলোয়ার হোসেন জানান, শ্বশুরের মরদেহ দেখতে গেলে তারা আমার মেয়ের ব্যাগ আটকে রাখে। তার নানার ঘর থেকে বের হতে বলে। আমার স্ত্রীকে প্রহার করে। তখন একটু ধস্তাধস্তি হয়।
নিহত ডা. সিরাজুল হকের দ্বিতীয় স্ত্রী সেতারা বেগম বলেন, স্বামীর মরদেহ সামনে রেখে আমি কথা বলবো না।
এ বিষয়ে কোতোয়ালি থানার সহকারী পুলিশ পরিদর্শক বিষ্ণু কুমার রায় গণমাধ্যমকে জানান, বিষয়টি জেনে আমরা হাউজিং ১নং সেক্টরে মসজিদে যাই। উভয় পক্ষকে বলেছি, মরদেহ যেন আটকে না রাখা হয়।
এর ঘণ্টা খানেক পর জানাজা ও দাফন সম্পন্ন হয়।
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]