
পিরোজপুরের ইন্দুরকানীতে তীব্র তাপদাহকে পুঁজি করে অধিক দামে তরমুজ বিক্রি করা হয়েছে। তীব্র তাপদাহের কারণে শিশু থেকে বৃদ্ধ পর্যন্ত স্বাস্থ্য ঝুঁকি এড়াতে শরীরে পানির শূন্যতা ও পানির পিপাসা মিটানোর তাগিদে সাধারণ জনগণ অধিক দামে তরমুজ ও বাঙ্গি ক্রয় করতে হয়।
২৬ এপ্রিল, শুক্রবার ইন্দুরকানী, বালিপাড়া, পত্তাশী বাজারে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, তীব্র তাপদাহকে পুঁজি করে কিছু অসাধু ব্যবসায়ীরা অধিক দামে তরমুজ বিক্রি করেন। তরমুজ ব্যবসায়ীরা মাঠ পর্যায়ে কৃষকের হাত থেকে পিচ হিসেবে ক্রয় করেন। আর বিক্রি করেন ছোট সাইজের তরমুজ ৪০-৫০ টাকা কেজি আর বড় সাইজের তরমুজ ৬০-৭০টাকা কেজি হিসেবে।
এদিকে বাঙ্গিও বেশি দামে ক্রয় করতে হয়। ক্রেতা জব্বার জানান, বর্তমানে প্রচণ্ড তাপদাহ চলছে । প্রচণ্ড গরমে একটু পানি পিপাসা মিটানোর জন্য ৬০টাকা কেজি হিসেবে ৩৫০ টাকা দিয়ে একটি তরমুজ ক্রয় করি। তীব্র তাপদাহের কারণে বাজারে চাহিদা বেশি। সেই কারণে অনেক ব্যবসায়ীরা এই সুযোগটা নিয়েছে। কোন প্রশাসনিক কর্তৃক তদারকি থাকলে এ ধরনে পরিস্থিতি স্বীকার হত না।
ব্যবসায়ী রুবেল জানান, আমরা যেভাবে ক্রয় করি সেইভাবে বিক্রি করতে পারি না। কারণ অনেক তরমুজ নষ্ট হয়ে যায় এবং আড়তদারি ও লেবার খরচ এবং যাতায়াত খরচ বেড়ে গেছে। প্রচণ্ড তাপদাহের কারণে আড়ৎদারদের কাছ থেকে বেশি দামে ক্রয় করতে হয়। তাই আমাদেরও বেশি দামে বিক্রি করতে হবে।
ব্যবসায়ী জসিম জানান, চলতি বছর প্রচুর ফলন ভালো হয়েছে। তবে কালবৈশাখি ঝড়ে অনেক তরমুজ চাষীদের এবং আমাদের ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতি পুষিয়ে উঠানোর জন্য তরমুজের দাম একটু বেশি। আবহাওয়া অনুকূলে আসলে আস্তে আস্তে তরমুজের দাম কমে যাবে। তরমুজ একটি সুস্বাদু পানি জাতীয় খাবার।
বিবার্তা/শামীম/সউদ
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]