
নাটোরের গুরুদাসপুরে গ্রীষ্মের প্রচণ্ড তাপদাহ, অনাবৃষ্টি থেকে রক্ষা পেতে ইসতিসকার নামাজ আদায় করেছেন এলাকাবাসী।
২৬ এপ্রিল, শুক্রবার সকাল ৯টার দিকে বিলচলন শহীদ শামসুজ্জোহা সরকারি কলেজ মাঠে অনুষ্ঠিত এ বিশেষ নামাজে এলাকার দুই শতাধিক মুসল্লী অংশ নেন।
নামাজ শেষে অনাবৃষ্টি ও প্রচণ্ড খরা থেকে রেহাই পেতে মহান আল্লার কাছে বিশেষ মোনাজাত করা হয়েছে। নামাজের ইমামতি ও বিশেষ মোনাজাত পরিচালনা করেন-দারুল উলুম সরদার আব্দুল হামিদ মাদরাসার খতিব হাফেজ মুফতি মৌলানা ইয়াছিন আলী।
খতিব হাফেজ মুফতি মৌলানা ইয়াছিন আলী বলেন, মহামারি বা দুর্যোগ বিশেষ করে অনাবৃষ্টি প্রচণ্ড তাপপ্রবাহ থেকে বাঁচতে আল্লার রহমতের আশায় ইসতিসকার নামাজে আদায় করা হয়।
‘ইসতিসকা’ আরবি শব্দ যার বাংলা অর্থ পানি প্রার্থনা করা। এটা কোনো আজান বা ইকামত ছাড়া জামায়াতের সঙ্গে এ নফল নামাজ আদায় করতে হয়। নামাজ শেষে আল্লাহর কাছে বৃষ্টি প্রার্থনা করা হয়েছে।
তবে তিনি আরও বলেন, হাদিস শরিফে বর্ণিত আছে- রাসুলুল্লাহ (সা.) বৃষ্টি প্রার্থনার সময় বলতেন, ‘হে আল্লাহ! তুমি তোমার বান্দাদের এবং তোমার পশু পাখিদের পানি দান করো। আর তাদের প্রতি তোমার রহমত বর্ষণ করো এবং তোমার মৃত জমিনকে জীবিত করো।’
নামাজে অংশ নেওয়া মুসল্লিরা বলেন, দীর্ঘদিন ধরে গুরুদাসপুরে বৃষ্টি নেই। তীব্র তাপদাহে জনজীবন অতিষ্ঠ। আল্লাহ যেন বৃষ্টির মাধ্যমে এ অবস্থা থেকে সবাইকে পরিত্রাণ করেন এটাই প্রার্থনা।
আয়োজকদের পক্ষে ইমান হাসাইন পিন্টু জানান, প্রচণ্ড তাপপ্রবাহ থেকে বাঁচতে আল্লাহর রহমত কামনায় এ বিশেষ নামাজের আয়োজন করা হয়েছিল। এর আগে মাইকিং করে সর্বসাধারণকে নামাজে অংশগ্রহণের আহ্বান জানানো হয়।
বিবার্তা/জনি/সউদ
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]