ইসলামপুরে অনুমোদন ছাড়াই চলছে ইটভাটা, ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ফসলি জমি
প্রকাশ : ১৮ জানুয়ারি ২০২৩, ১৭:৪৮
ইসলামপুরে অনুমোদন ছাড়াই চলছে ইটভাটা, ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ফসলি জমি
জামালপুর প্রতিনিধি
প্রিন্ট অ-অ+

জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলায় ফসলি জমির টপ সয়েল (উপরের অংশ) যাচ্ছে অবৈধ ইটভাটায়। ভাটার মালিকদের অর্থের লোভে কৃষকরা ফসলি জমি থেকে মাটি বিক্রি করে দিচ্ছেন। এতে জমির উর্বরতা হ্রাস পাওয়াসহ জমি হারিয়ে ফেলছে তার স্বাভাবিক উৎপাদন ক্ষমতা।


জানা গেছে, এ উপজেলায় চরগোয়ালীনি ইউপির জান্নাত, মেসার্স মদিনা, ইসলামপুর সদরের রফিক ইটভাটা, পাথর্শী ইউনিয়নের রোহারকান্দসহ ১২টি ইটভাটা রয়েছে। এর মধ্যে পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র একটিরও নেই বলে জানা গেছে । এরপরও এসব ভাটায় থেমে নেই ইট পোড়ানো। একটি ইট তৈরিতে প্রায় ৪ কেজি মাটির প্রয়োজন। প্রতিটি ইটভাটায় প্রতি বছর ১৫ থেকে ২০ লাখ ইট উৎপাদিত হয়। বছরের পর বছর কৃষকদের বোকা বানিয়ে ভাটার মালিকরা কৃষিজমির উপরিভাগের মাটি কিনে নেন। সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার সদর ইউপি’র পাঁচবাড়িয়া, পার্থশী ইউপি’র বলিয়াদহ, ডেংগারগড়, বানিয়াবাড়ি, বামনা, চরগোয়ালিনী ইউপি’র ডিগ্রিরচর, আকন্দপাড়াসহ বিভিন্ন স্থানে চলছে ফসলি জমি থেকে মাটি কাটার মহোৎসব।


প্রতিদিন ভোর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত অন্তত ১০ থেকে ১৫টি স্থান থেকে খননযন্ত্র দিয়ে ফসলি মাটি কেটে ট্রাক্টর মেশিনের সাহায্যে মাটি যাচ্ছে বিভিন্ন ভাটায়। বানিয়াবাড়ি গ্রামের মহিজল মিয়া নামে এক কৃষক বলেন, ‘মাটি বিক্রি করতে আগ্রহী ছিলাম না। পাশের জমি থেকে মাটি বিক্রি করায় আমার ফসলি জমি উঁচু হয়েছে। তাই বাধ্য হয়েই মাটি বিক্রি করে দিচ্ছি’। উপজেলার পাঁচবাড়িয়া গ্রামের সুহেল মিয়া নামে এক ইটভাটার শ্রমিক বলেন, জমির উপরের মাটি ছাড়া ইট তৈরি করা কোনোভাবেই সম্ভব না। ভাটার মালিকরা কৃষকদের কাছ থেকে মাটির উপরের অংশ কিনছেন এবং তা দিয়ে ইট তৈরি হচ্ছে।


উপজেলা কৃষি অফিসার এ এল এম রেজুয়ান বলেন, ‘মাটির উপরিভাগ থেকে ৫-১০ ইঞ্চি স্তর পর্যন্ত হলো মাটির প্রাণ, একে টপ সয়েল বলা হয়। এতে জৈব পদার্থ ও অণুজীবের সর্বাধিক ঘনত্ব থাকে এবং মাটির এই অংশে ফসল উৎপাদিত হয়। মাটি খুঁড়ে বিক্রি করার ফলে তা পুনরায় ফিরে আসতে সময় লাগে ৪ থেকে ৫ বছর।


উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মু. তানভীর হাসান রুমান সাংবাদিকদের জানান, জেলা মিটিংয়ে কথা হয়েছে। পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র কোনোটাতে নেই। এ তালিকা দিলে পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের নিয়ে মোবাইল কোর্ট করা হবে।


বিবার্তা/হারুনী/জেএইচ


সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com