চ্যাম্পিয়ন্স লিগ সেমিফাইনালের প্রথম লেগ, ভেন্যু রিয়ালের মাঠ সান্তিয়াগো বার্নাব্যু। রিয়াল সমর্থকরা আশায় ছিলেন নিজেদের মাঠে দাপুট ফুটবলই খেলবে রিয়াল, কিন্তু কিসের কি, ম্যাচের শুরুর দিকে প্রায় বলই পাচ্ছিলো না রিয়াল। একের পর এক আক্রমণে রিয়াল শিবিরকে ব্যতিব্যস্ত করে রাখে ম্যানচেস্টার সিটি। তবে খেলার উল্টো স্রোতে গিয়ে প্রথম গোল অবশ্য করে রিয়ালই।
দ্বিতীয়ার্ধে আবার রিয়াল ছন্দে ফেরে, কিন্তু এবার গোল করে ম্যানচেস্টার সিটি। আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণের জমজমাট লড়াইটিতে শেষ পর্যন্ত আর কোন দলই জয় পায়নি।
সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে মঙ্গলবার রাতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ সেমি-ফাইনালের প্রথম লেগের ম্যাচটি ১-১ গোলে ড্র হয়েছে। ভিনিসিয়ুস জুনিয়রের গোলে রিয়াল এগিয়ে যাওয়ার পর সিটিকে সমতায় ফেরান কেভিন ডি ব্রুইন।
ম্যাচের শুরু থেকেই পোস্টের নিচে ব্যস্ত সময় রিয়াল গোলরক্ষক থিবো কর্তোয়ার। পরপর দুই মিনিটে ভালো দুটি সুযোগ পান আর্লিং হালান্ড, কিন্তু কাজে লাগাতে পারেননি।
প্রথম ২০ মিনিটে ৭০ শতাংশের বেশি সময় বল দখলে রেখে গোলের উদ্দেশ্যে ছয়টি শট নেয় সিটি, যার চারটি ছিল লক্ষ্যে। এরপর একটু একটু করে ছন্দ ফিরে পায় রিয়াল।
৩৬ মিনিটে এগিয়েও যায় স্বাগতিকরা। বাঁ থেকে এদুয়ার্দো কামাভিঙ্গার পাস ধরে একটু আড়াআড়ি ছুটে প্রায় ২২ গজ দূর থেকে বুলেট গতির শটে গোল করেন ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড ভিনিসিয়ুস জুনিয়র। গোলের উদ্দেশ্যে এটাই ছিল রিয়ালের প্রথম ও প্রথমার্ধে একমাত্র শট।
দ্বিতীয়ার্ধের ষষ্ঠ মিনিটে সমতায় ফেরার ভালো সুযোগ পায় সিটি। তবে ডান দিক দিয়ে বক্সে ঢোকা কেভিন ডি ব্রুইনের কোনাকুনি শট ঠেকিয়ে দেন কর্তোয়া। তিন মিনিট পর বক্সে হালান্ডের শট রুখে দেন ডিফেন্ডার ডাভিড আলাবা।
পরের ১৫ মিনিটে প্রায় একচেটিয়া দাপট দেখায় রিয়াল। তবে চাপ সামলে ৬৭তম মিনিটে সমতা ফেরায় সিটি। দূর থেকে জোরাল শটে দারুণ এক গোল করেন বেলজিয়ান মিডফিল্ডার ডি ব্রুইন।
শেষদিকে রিয়াল এগিয়ে যাওয়ার বেশ কয়েকটি সুযোগ পেয়েছিল। কিন্তু দেয়াল হয়ে দাঁড়ান সিটির ব্রাজিলিয়ান গোলরক্ষক এডেরসন। ৭৮ মিনিটে টনি ক্রুসের বাড়ানো ক্রসে বেনজেমার হেড দারুণভাবে ঝাঁপিয়ে ফেরান তিনি। নির্ধারিত সময়ের শেষ মিনিটে অহেলিয়া চুয়ামেনির জোরাল শটও বিপদমুক্ত ব্রাজিলিয়ান গোলরক্ষক।
এই ম্যাচ ড্র হওয়ায় কিছুটা চাপেই পড়লো রিয়াল, কেননা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের নিয়ম অনুযায়ী দ্বিতীয় লেগ খেলা হবে ম্যানচেস্টার সিটির মাঠ ইতিহাদ স্টেডিয়ামে, আর নিজেদের সমর্থকদের সামনে বেশি উজ্জীবিত থাকে যেকোন দলই, আর দলটা যখন হালান্ড, ডি ব্রুইনা, আলভারেজ, এডারসনদের নিয়ে ম্যানচেস্টার সিটি তখন কাজটা রিয়ালের জন্য যে মোটেই সহজ হবেনা সেটি বলাই বাহুল্য।
বিবার্তা/নিলয়
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]