অধিনায়কত্ব থেকে সরে দাঁড়াতে চান বাংলাদেশের টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। চট্টগ্রামে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ২২৪ রানের লজ্জাজনক পরাজয়ের পর তিনি এ ঘোষণা দিয়েছেন।
সাকিব বলেন, তিনি অধিনায়কত্ব করতে চান না। যদি অধিনায়ক না থাকেন তবে সেটা তার জন্য এবং দলের জন্য ভালো। এজন্য তিনি বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের সঙ্গে কথা বলবেন।
আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে ম্যাচ শুরুর আগে দেশের একটি শীর্ষ স্থানীয় দৈনিকের সাথে সাক্ষাতকারে সাকিব বলেছেন, টেস্ট এবং টি-টোয়েন্টিতে নেতৃত্ব দেয়ার জন্য তিনি মানসিকভাবে প্রস্তুত নন। তিনি কোনো ফরমেটেই নেতৃত্ব দিতে আগ্রহী নন। যদি নেতৃত্ব না দেন, তাহলে নিজের খেলার ওপর মনোযোগ দিতে পারবেন, যা নিজের জন্য এবং দলের জন্য ভালো।
সাকিব বর্তমানে বাংলাদেশ দলের টেস্ট ও টি-টোয়েন্টির নেতৃত্বে আছেন। এই দায়িত্বটা যেন তার ওপর বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে। সাকিব মনে করছেন, নেতৃত্ব ছেড়ে দিলে তার ক্যারিয়ারের জন্যই সেটা ভালো হবে।
বাংলাদেশের বেশিরভাগ খেলোয়াড় যেখানে চাপ দেয়ার পরও নেতৃত্ব ছাড়তে চান না, সেখানে সাকিব একটু যেন ব্যতিক্রমই!
সাকিব চাইছেন, এখন থেকেই যেন তরুণ কাউকে নেতা হিসেবে গড়ে তোলা হয়। কিন্তু সাকিবের এই চাওয়ার সঙ্গে বাংলাদেশ দলের বর্তমান পরিস্থিতির মিল নেই।
কারণ তরুণদের মধ্যে মোস্তাফিজুর রহমান, মেহেদী হাসান মিরাজ, সৌম্য সরকার এবং লিটন দাসকে বিসিবি এখনো অধিনায়ক করার মতো প্রস্তুত মনে করছে না।
এদিকে সিনিয়রদের মধ্যে মাশরাফি ওয়ানডে দলের নেতৃত্বে আছেন। সাকিবের অনুপস্থিতিতে গত বছর টেস্ট এবং টি-টোয়েন্টিতে কয়েকটি ম্যাচে অধিনায়কত্ব করেছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। তামিম ইকবাল সম্প্রতি শ্রীলঙ্কার সিরিজে অধিনায়ক ছিলেন। তারা কেউই তেমন ভালো করতে পারেননি।
সিনিয়রদের মধ্যে নেতৃত্ব দেয়ার অভিজ্ঞতা আছে কেবল মুশফিকুর রহীমের। সাফল্যও আছে। তবে বেশ কয়েকটি কারণে তাকে নেতৃত্ব থেকে সরিয়ে দেয়া হয়েছিল, আবারো নতুন করে তার কথা ভাবলে সেই সমস্যাগুলোর সমাধান করে তবেই ভাবতে হবে।
বিবার্তা/আবদাল/জহির
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]