পদ্মায় বিষ দিয়ে অবাধে মাছ শিকার, হুমকিতে জীববৈচিত্র্য
প্রকাশ : ১২ এপ্রিল ২০২৫, ১১:১৫
পদ্মায় বিষ দিয়ে অবাধে মাছ শিকার, হুমকিতে জীববৈচিত্র্য
রাজবাড়ী প্রতিনিধি
প্রিন্ট অ-অ+

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে পদ্মা নদীতে বিষ দিয়ে অবাধে মাছ শিকার করছে অসাধু জেলেদের একটি চক্র। এতে করে প্রাকৃতিকভাবে মাছের বংশবিস্তার বাঁধাগ্রস্তসহ জীববৈচিত্র্য হুমকির মুখে পড়ছে।


স্থানীয়রা জানান, রাতে নদীর উজানে ছোট ছোট নৌকায় গিয়ে পদ্মায় বিষ ঢেলে দিয়ে মাছ শিকার করছে একটি চক্র। পদ্মা নদীতে গিয়ে একটি বাঁশের খুঁটি গেড়ে তার সাথে ছোট্ট একটি পলিথিন বেঁধে বিষ প্রয়োগ করে নদীতে। বিষ প্রয়োগ করার কিছুক্ষণ পরেই মাছ মরে ভেসে উঠে উপরে।তখন মাছ গুলো বেড় জাল দিয়ে নৌকায় উঠায়।এক ঘণ্টার মধ্যে নদীর কয়েক জায়গা বিষ প্রয়োগ করে এভাবে মাছ শিকার করে তারা।সেই মাছগুলো ভোররাতে দৌলতদিয়া বাজার সহ এলাকার বিভিন্ন বাজারে নিয়ে বিক্রি করে হাতিয়ে নিচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা। এভাবে বিষ দিয়ে মাছ মারলে নদীতে কোন মাছ থাকবে না আমরাও মাছ খেতে পারবো না। মাছের অভাব দেখা দেবে এদেশে। আমরা প্রশাসনকে দৃষ্টি আকর্ষণ করছি যারা নদীতে বিষ দিয়ে মাছ মারে তাদেরকে ধরে আইনের আওতায় আনা হোক।


নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি জানান, রাত হলেই নদীতে বিষ দিয়ে মাছ ধরার মহোৎসব চলে। লঞ্চঘাট থেকে শুরু করে ৭ নং ফেরিঘাটের অদূরে নদীতে চলে বিষ দিয়ে মাছ শিকার । রাত থাকতেই সেই মাছগুলো এলাকার বিভিন্ন বাজারে নিয়ে বিক্রি করে একটি চক্র। এটা দেখার কেউ নেই!


মিলন সরদার নামে এক ব্যক্তি জানান, পদ্মা নদীতে রাতের বেলায় বিষ প্রয়োগ করে একটি চক্র বড় বড় বোয়াল রুই কাতল শৈল গজার বাইন সহ বিভিন্ন মাছ সংগ্রহ করছে। এছাড়াও নানার জাতের প্রচুর ও ছোট ছোট মরা মাছ ভেসে আসে। তবে সেগুলো কেউ নেয় না। কারণ এর বেশিরভাগই পচা। নদীতে প্রতিটি মাছের পেটে এখন ডিম ভর্তি সেই সাথে নদীতে থাকা সাপ ব্যাঙ কুইচ্যা কাঁকড়া শামুক ঝিনুক সহ সকল জলজ প্রাণীকে হত্যা করছে তারা। নদীতে বিষ দিয়ে যারা মাছ শিকার করছে তারা দেশের শত্রু।


গোয়ালন্দ উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মো.আনোয়ার হোসেন পাইলট জানান, আমরা খুব তাড়াতাড়ি নদীতে অভিযান চালাবো। নদীতে বিষ প্রয়োগ করে মাছ শিকার করা অপরাধ। নদীতে বিষ প্রয়োগ করার কারণে নদীতে থাকা সকল জলজ প্রাণী মারা যায়।


তিনি আরও বলেন, নদীতে বিষ প্রয়োগ করে মাছ শিকার করার অপরাধে দুই বছর জেলসহ ৫হাজার টাকা জরিমানা হতে পারে এবং উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হতে পারে।


বিবার্তা/মিঠুন/এমবি

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2024 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com