প্রবৃদ্ধির দেশে উল্টো পথে হাঁটছে পুঁজিবাজার
প্রকাশ : ০৫ মার্চ ২০২৪, ১৬:৪৭
প্রবৃদ্ধির দেশে উল্টো পথে হাঁটছে পুঁজিবাজার
বিবার্তা প্রতিবেদক
প্রিন্ট অ-অ+

একটি দেশের অর্থনীতির অন্যতম চালিকা শক্তি হিসেবে বিবেচনা করা হয় পুঁজিবাজারকে। অর্থনীতির অগ্রগতির ধারাকেও তরান্বিত করে পুঁজিবাজার। তবে বাংলাদেশের পুঁজিবাজারের চিত্র ভিন্ন রকম। উচ্চ প্রবৃদ্ধির দেশে পুঁজিবাজার হাঁটছে উল্টো পথে। পুঁজিবাজারের অগ্রগতি না হওয়ার পেছনে দায়ী কার? অনেকেই মনে করেন বিভিন্ন সময়ে নানা গুজব বাজরে বড় ধরনের প্রভাব ফেলে । বাজার নীতি নির্ধারকদের নানা ধরনের সিধান্তও বাজারে প্রভাব পড়ে। ফলে বাজারে অস্থীরতা তৈরি হয়। ফ্লোর প্রাইস এবং সাম্প্রতিক সময়ে জেড ক্যাটাগরির সিদ্ধান্ত । বিনিয়োগকারীদের স্বার্থের কথা বিবেচনা করেই নিয়ন্ত্রক সংস্থা এ সিধান্ত নিয়েছে। তবুও তার প্রভাব বাজারে পড়েছে।


দেখা গেছে,ফ্লোর প্রাইজ প্রতাহারে পুঁজিবাজার উত্থান ফিরলেও গত ১২ ফেব্রুয়ারি থেকে ধারাবাহিক দরপতনের মধ্যে রয়েছে দেশের পুঁজিবাজার। সিংহভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমেছে। এতে অনেকটা নীরবে পুঁজি হারাচ্ছেন সাধারণ বিনিয়োগকারীরা।


কিছু কিছু বিনিয়োগকারী পুঁজিবাজারের বর্তমান পরিস্থিতিকে ২০১০ সালের থেকেও ভয়াবহ বলে মনে করছেন। সাম্প্রতিক সময়েও তালিকাভুক্ত অধিংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম কমেছে। এতে একটু একটু করে পুঁজি হারিয়েছেন বিনিয়োগকারীরা।


বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোর ঘন ঘন সিদ্ধান্তের কারণে আতঙ্ক বিরাজ করছে পুঁজিবাজারের বিনিয়োগকারীদের মধ্যে। উদাহরণ হিসেবে তারা ফ্লোর প্রাইস এবং সাম্প্রতিক সময়ে জেড ক্যাটাগরির সিদ্ধান্ত সামনে নিয়ে এসেছেন। এ ধরণের সিদ্ধান্ত বাজারে বড় ধরনের প্রভাব পড়েছে বলে মনে করছেন তারা।


সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবস মঙ্গলবার (৫ মার্চ) ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই ও সিএসই) সূচকের বড় পতনের মধ্যে দিয়ে লেনদেন শেষ হয়েছে। এদিন ডিএসইতে আগের কার্যদিবসের চেয়ে টাকার পরিমাণে লেনদেন বাড়লেও সিএসইতে কমেছে। মঙ্গলবার উভয় স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেনে অংশ নেওয়া অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ার এবং মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিটের দাম কমেছে।


বাজার পর্যালোচনায় দেখা গেছে, ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের চেয়ে ৪৪.১০ পয়েন্ট কমে ৬ হাজার ১৩১ পয়েন্টে অবস্থান করছে। ডিএসই শরিয়া সূচক ৪.২৭ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৩৪০ পয়েন্টে এবং ডিএস৩০ সূচক ১০.৬১ পয়েন্ট কমে ২ হাজার ৯৭ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।


ডিএসইতে মোট ৩৯৭টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। কোম্পানিগুলোর মধ্যে শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে ১০২টির, কমেছে ২৩২টির এবং অপরিবর্তিত আছে ৬৩টির।


ডিএসইতে এদিন ৮৪৩ কোটি ৭২ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ৭৯৩ কোটি ৬৭ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট।


অপরদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সিএসসিএক্স ৮১.২৭ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১০ হাজার ৫৫৯ পয়েন্টে। সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ১৪৪.৭৮ পয়েন্ট কমে ১৭ হাজার ৫৯৫ পয়েন্টে, শরিয়া সূচক ৪.৬৫ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ১৩৪ পয়েন্টে এবং সিএসই৩০ সূচক ১৪৩.৭৩ পয়েন্ট কমে ১৩ হাজার ২৩ পয়েন্টে অবস্থান করছে।


এদিন, সিএসইতে ২৫৫টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। কোম্পানিগুলোর মধ্যে শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে ৮২টির, কমেছে ১৩৪টির এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৯টির।


দিন শেষে সিএসইতে ১২ কোটি ৭৪ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ১৬ কোটি ৩৪ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট।


বিবার্তা/লিমন

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2024 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com