‘হাঁটি হাঁটি পা পা করে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। ইন্টারনেট ব্যবহারের পাশাপাশি বাড়ছে দেশে ট্যাব ও স্মার্টফোন ব্যবহার। সব মিলিয়ে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। তথ্যপ্রযুক্তি খাতে বিশ্বের কোন দেশ থেকে বাংলাদেশ পিছিয়ে নেই। এই খাতে বিনিয়োগের আকর্ষণীয় পরিবেশ রয়েছে। এভাবে এগিয়ে যেতে থাকলে ২০৪১ সাল নাগাদ আমরা উন্নত দেশে পরিণত হবো।’
বৃহস্পতিবার বিকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত তিন দিনের স্মার্টফোন ও ট্যাব মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘আগামী বছর থেকে বেশি বেশি স্মার্টফোন ও ট্যাব মেলা দেশের বাহিরে বিভাগীয় শহরগুলোতেও আয়োজন করা হোক। সেখানেও সবাই স্মার্টফোন ও ট্যাব কিনতে যাবে এটাই আশা। দেশের মানুষের কাছে প্রযুক্তি পৌঁছালে কি হতে পারে সেটা আমরা গত ডিজিটাল ওয়ার্ল্ডে দেখেছি। এছাড়া দেশি মোবাইল ব্র্যান্ডগুলো ধীরে ধীরে উঠে আসছে। কেউ ফ্যাক্টরি করছে আবার অনেকে চেষ্টা করছে। দেশি মোবাইল কোম্পানি ব্র্যান্ড ভালো করছে এটাই প্রত্যাশা।
মন্ত্রী আরও বলেন, ‘দেশের যেসব প্রতিষ্ঠান প্রযুক্তি খাতে বিনিয়োগ করবেন সরকার তাদের কর ২০২৪ সাল পর্যন্ত মওকুফ করে দেয়ার চিন্তা-ভাবনা করছে। আশা করছি, আগামী বাজেটে এই বিষয়ে ঘোষণা আসবে।’
দেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের সংখ্যা বৃদ্ধির জন্য ডিজিটাল কন্টেন্ট তৈরিতেও সরকার কাজ করছে বলে জানান মোস্তফা জব্বার। তিনি বলেন, ‘সরকারি বিভিন্ন সেবার মাত্র ৪০ ভাগ এখন অনলাইনে দেয়া হয়। এ সংখ্যা শতভাগে নিয়ে আসতে কাজ করছি আমরা। ফলে একসময় জনগণ ইন্টারনেটের আওতায় আসতে বাধ্য হবে।’
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ‘এক সময় অনুষ্ঠানগুলোতে সব বিদেশি মোবাইল ব্র্যান্ড থাকত কিন্তু এখন দেশি ব্র্যান্ডগুলোও পাওয়া যায়, এটাই আমাদের অর্জন। আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। স্মার্টফোন ও ট্যাব ইন্টারনেটের সঙ্গে জড়িত। যত ব্যবহার বাড়বে তত ফোনের ব্যবহারকারী বাড়বে।’
পলক বলেন, ‘আমি মনে করি ডিজিটাল এই প্রযুক্তিপণ্য মানে ট্যাব ও স্মার্ট শিক্ষাগ্রহণের হাতিয়ার হয়ে দাঁড়িয়েছে। যত শিক্ষার হার বাড়বে, তত স্মার্টফোন ও ট্যাবের ব্যবহার বাড়বে।’
পলক আরো বলেন, ‘সারা পৃথিবীতে স্মার্টফোনের বড় ১০টি বাজারের মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। এদেশে স্যামসাং, হুয়াওয়ের মত বড় প্রতিষ্ঠান ব্যবসা করছে। আমরা চাই স্যামসাং ও হুয়াওয়ের মত বিদেশি প্রতিষ্ঠানগুলো বাংলাদেশ স্মার্টফোন উৎপাদন করুক।’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষের পারচেজ ক্যাপিসিটি বেড়েছে। তাই স্মার্টফোনের চাহিদাও বাড়ছে।’ ফোনের এই চাহিদা পূরণের জন্য প্রতিমন্ত্রী দেশীয় প্রযুক্তি প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোকে দেশে কারখানা স্থাপনের আহ্বান জানান।
বিবার্তা/উজ্জ্বল
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]