ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের সৈনিক হবে নতুন প্রজন্ম, তাই তাদেরকে ডিজিটাল দক্ষতা অর্জনের মাধ্যমে স্মার্ট নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার কোনো বিকল্প নেই।
সোমবার (২০ ফেব্রুয়ারি) বাংলা একাডেমির কবি শামসুর রহমান মিলনায়তনে ঝুমঝুমি প্রকাশন আয়োজিত ‘ডিজিটাল সময়ের বর্ণমালা এবং শিক্ষার ডিজিটাল রূপান্তর’ বইয়ের প্রকাশনা অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন। বইটি লিখেছেন মোস্তফা জব্বার নিজেই।
তিনি বলেন, ডিজিটাল প্রযুক্তির চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে না পারলে আগামীর বিশ্বে উন্নয়নের অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখা যাবে না। ডিজিটাল বাংলাদেশের প্রভাব দেশের প্রতিটি নাগরিকের মধ্যে প্রসারিত হয়েছে। ডিজিটাল বাংলাদেশের সফলতার ধারাবাহিকতায় আমরা স্মার্ট বাংলাদেশের অভিযাত্রা শুরু করেছি।
মোস্তাফা জব্বার বলেন, দেড় বছর গবেষণার পর কম্পিউটারের ইংরেজি কি-বোর্ডের ২৬টি বোতামে ৪৫৪টি (বিভিন্ন যুক্তাক্তরসহ) বাংলা হরফ লেখার পদ্ধতি উদ্ভাবন সম্ভব হয়। দেশে উপযুক্ত প্রোগ্রামার না পেয়ে দিল্লিতে দেবেন্দ্র জুসি নামের একজন প্রোগ্রামারের মাধ্যমে বিজয় বাংলা সফটওয়্যার তৈরি করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় দেশে ডিজিটাল প্রযুক্তিতে বাংলা হরফের সুবাদে প্রকাশনা শিল্পে বৈপ্লবিক পরিবর্তন সূচিত হয়েছে। এক সময় কলকাতা থেকে শীশার হরফ এনে প্রকাশনা শিল্প চালাতে হতো। আজ আমরা গর্ব করে বলতে পারি কলকাতায় বিজয় বাংলা সফটওয়্যার রপ্তানি হচ্ছে।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী বলেন, ভাষা আন্দোলনের মধ্য দিয়ে বঙ্গবন্ধু স্বাধীন বাংলাদেশের ভিত্তি তৈরি করেছিলেন। বাংলা পৃথিবীর মধুরতম এবং বিজ্ঞান সম্মত ভাষা। বাংলাদেশ সৃষ্টি হয়েছে বলেই বাংলাদেশ এখন বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের রাজধানী এবং বাংলা বাংলাদেশেই বেঁচে থাকবে। বাংলা একাডেমির বই মেলা বাঙালির সাহিত্য সংস্কৃতির প্রাণ কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। আমি সারা বিশ্বের একজন অনন্য গর্বের গর্বিত মানুষ এজন্য যে, এই মেলার বাংলা বইয়ের অক্ষরগুলো আমি নিজের হাতে ডিজিটাল অক্ষরে রূপান্তর করেছি। হাওরের কাদামাটি পায়ে মাখিয়ে এতটা সৌভাগ্য অর্জন করা আমার জন্য এক অসাধারণ অর্জন। এক জীবনে একজন মানুষের এর চাইতে আর বেশি কিছু চাওয়ার থাকে না। একটি বইয়ের আসল মূল্যায়নকারী হচ্ছে তার পাঠক। তারাই মূল্যায়ন করবে কোনটা ভালো আর কোনটা মন্দ।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মুখপাত্র মাসিক উত্তরণের সম্পাদক ও প্রকাশক নূহ-উল-আলম লেনিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে কবি নির্মলেন্দু গুণ, শিক্ষাবিদ ড. মোহিত উল আলম, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণবিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্য নির্বাহী সদস্য মো. গোলাম কবির রাব্বানী চিনু, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক এ কে এম আফজালুর রহমান বাবু, কবি আসলাম সানি, বাংলা একাডেমির পরিচালক ড. মো. শাহাদাৎ হোসেন নিপু এবং ঝুমঝুমি প্রকাশনের প্রকাশক শায়লা রহমান তিথি বক্তব্য রাখেন।
অনুষ্ঠানে উপস্থাপনা করেন বিশিষ্ট লেখক পাশা মোস্তাফা কামাল।
সূত্র : বাসস
বিবার্তা/এসবি
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]