জুমার দ্বিতীয় আজানের জবাব দেওয়া কি বাধ্যতামূলক?
প্রকাশ : ২৪ নভেম্বর ২০২৩, ১১:৫০
জুমার দ্বিতীয় আজানের জবাব দেওয়া কি বাধ্যতামূলক?
ধর্ম ডেস্ক
প্রিন্ট অ-অ+

জুমার দুই আজানের মধ্যে খুতবা পূর্ববর্তী আজানের জবাব দেওয়া ও দোয়া পড়া জায়েজ আছে কিনা? এ বিষয়ে অনেকে জানতে চান।


ফেকাহবিদদের নির্ভরযোগ্য মতানুযায়ী জুমার দ্বিতীয় আজানের সময় যখন খতিব সাহেব মিম্বরে উপবিষ্ট থাকেন, তখন এই আজানের উত্তর মৌখিক না দেওয়াটা উত্তম। তা সত্ত্বেও কেউ দিতে চাইলে মনে মনে জবাব দিতে পারে। (আদ্দুররুল মুখতার: ১/২৯৯, ফাতাওয়া মাহমুদিয়া: ২/৫৮)।


আবু উমামা ইবনে সাহল ইবনে হুনাইফ বলেন, আমি মুআবিয়া ইবনে আবু সুফিয়ানকে (রা.) দেখেছি, তিনি মিম্বারে বসে ছিলেন, মুআজ্জিন আজান শুরু করলেন।


মুআজ্জিন যখন বললেন, ‘আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার’ তখন মুআবিয়াও (রা.) বললেন, ‘আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার।’… (এভাবে তিনি পুরো আজানের জবাব দিলেন) আজান শেষ হলে তিনি বললেন, এ মজলিসে যখন মুআজ্জিন আজান দেয়, তখন আমি আল্লাহর রাসুলকে (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এমনটিই বলতে শুনেছি। (সহিহ বুখারি: ৯১৪)


নির্ভরযোগ্য মতানুযায়ী জুমার দ্বিতীয় আজানের জবাব দেয়া জায়েজ। হাদিস শরিফে আবু উমামা ইবনে সাহল ইবনে হুনাইফ (রহ.) বলেন, আমি মুআবিয়া ইবনে আবু সুফিয়ান (রা.)-কে মিম্বরের উপর বসা অবস্থায় দেখেছি, মুয়াজ্জিন যখন আজানে আল্লাহু আকবার বললেন তখন তিনিও আল্লাহু আকবার বলেছেন...।


এরপর আজান শেষ হলে তিনি বললেন, হে লোক সকল! আমি রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে এই মজলিসে অর্থাৎ যখন মুয়াজ্জিন আজান দেন- এমনটিই বলতে শুনেছি, যেমনটি আপনারা আমাকে বলতে শুনলেন। ’ (বুখারি, হাদিস নং: ৯১৪)


অন্য বর্ণনায় সাইদ ইবনুল মুসায়্যিব (রহ.) বলেন, ‘ইমাম খুতবার জন্য বের হলে নামাজ পড়া যাবে না আর ইমাম খুতবা শুরু করলে কথা বলা যাবে না। ’ (মুসান্নাফে ইবনে আবি শাইবা, হাদিস নং: ৫৩৩৯)


তবে খুতবার সময় যেহেতু চুপ থাকা ওয়াজিব, তাই ইমাম যদি আজানের পরে সঙ্গে সঙ্গে খুতবা শুরু করে দেন, তবে আজানের পর দোয়া পড়া যাবে না। কিন্তু ইমাম খুতবা শুরু করতে দেরি করলে আর আজান ও খুতবার মাঝখানে সময় পাওয়া গেলে আজানের পরের দোয়া পড়াও সুন্নত হিসেবে গণ্য হবে।


আবদুল্লাহ ইবনু আমর ইবনুল আস (রাঃ) থেকে বর্ণিত হাদিসে তিনি রাসুল (সা.)-কে বলতে শুনেছেন, ‘তোমরা যখন মুয়াজ্জিনকে আজান দিতে শুনবে, তখন সে যা বলে তাই বলবে। তারপর আমার ওপর দুরূদ পাঠ করবে। কারণ যে আমার ওপর একবার দরুদ পাঠ করে, আল্লাহ তার বিনিময়ে তার ওপর দশবার রহমত নাজিল করেন। পরে আল্লাহর কাছে আমার জন্য ওসিলার দোয়া করবে। ওসিলা হলো জান্নাতের একটি বিশেষ স্থান, যা আল্লাহর বান্দাদের মধ্যে কোনো এক বান্দাকে দেওয়া হবে। আমি আশা করি যে, আমিই হবো সেই বান্দা। যে আমার জন্য ওসিলার দোয়া করবে, তার জন্য আমার শাফাআত ওয়াজিব হয়ে যাবে। (মুসলিম, হাদিস নং: ৭৩৫)


বিবার্তা/এসবি

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com