কুকুরের শরীরে কাপড়ের স্পর্শ লাগা নিয়ে ইসলামের বিধান
প্রকাশ : ১৮ নভেম্বর ২০২৩, ১০:০০
কুকুরের শরীরে কাপড়ের স্পর্শ লাগা নিয়ে ইসলামের বিধান
ধর্ম ডেস্ক
প্রিন্ট অ-অ+

কোনো প্রয়োজন ছাড়া শখ করে কুকুর পোষা ইসলামে নিষিদ্ধ। তবে প্রয়োজন থাকলে যেমন বাড়িঘর, ক্ষেত-খামার, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা, অপরাধের উৎস অনুসন্ধান বা অপরাধী চিহ্নিত করা, শিকার করা ইত্যাদির জন্য কুকুর পোষা বৈধ। রাসুল সা. বলেছেন,


مَنِ اقْتَنَى كَلْبًا، لَيْسَ بِكَلْبِ صَيْدٍ، وَلَا مَاشِيَةٍ، وَلَا أَرْضٍ، فَإِنّهُ يَنْقُصُ مِنْ أَجْرِهِ قِيرَاطَانِ كُلّ يَوْمٍ.
যে ব্যক্তি শিকার করা বা গবাদি পশু অথবা শস্যক্ষেত পাহারা দেওয়ার উদ্দেশ্য ছাড়া কুকুর পোষে ওই ব্যক্তির প্রতিদিন দুই কিরাত পরিমাণ নেকি হ্রাস পায়। (সহিহ মুসলিম: ১৫৭৫)


এ হাদিস এবং আরও কিছু হাদিসে সওয়াবের পরিমাণ বোঝাতে ‘কিরাত’ শব্দটি ব্যবহার করা হয়েছে। এ হাদিসের ব্যাখ্যায় ‘কিরাত’ শব্দের অর্থ সম্পর্কে ইমাম নববি (রহ.) লিখেছেন, ‘‘কিরাত’ একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ যা আল্লাহ তাআলা জানেন।’


অর্থাৎ বিনা প্রয়োজনে কুকুর পুষলে আমলনামা থেকে আল্লাহর ইচ্ছা অনুযায়ী কিছু পরিমাণ সওয়াব কমে যেতে পারে।


তবে আল্লাহর সৃষ্টি হিসেবে সব জীবজন্তুর মতোই কুকুর প্রতি দয়া করা, কুকুরকে খাবার-পানি দেওয়া, কোনো বিপদে পড়লে উদ্ধার করা সওয়াবের কাজ। বিপদজনক বা ক্ষতিকর না হয়ে উঠলে কুকুরকে কোনোভাবে কষ্ট দেওয়া, হত্যা করা গুনাহের কাজ। হাদিসে এসেছে বনি ইসরাইলের এক ব্যাভিচারী নারী কুকুরকে পানি পান করানোর কারণে আল্লাহর ক্ষমা লাভ করেছিলো।


রাসুল (সা.) বলেন, একবার এক তৃষ্ণার্ত কুকুর কূপের পাশে ঘোরাঘুরি করছিল। তৃষ্ণায় তার প্রাণ বের হওয়ার উপক্রম হয়। বনি ইসরাইলের এক ব্যভিচারী নারী তা দেখতে পেয়ে নিজের পায়ের মোজা খুলে মোজায় পানি ভরে কুকুরটিকে পানি পান করায়। এ কারণে তার আগের সব পাপ ক্ষমা করে দেওয়া হয়। (সহিহ বুখারি: ৩৪৬৭)


কুকুরের শরীর নাপাক নয়। কুকুরের শরীরে লাগলে কাপড় বা শরীর নাপাক হবে না। পবিত্র পানি পড়ে কুকুরের শরীর ভিজলে ওই ভেজা শরীরে লাগলেও কাপড় বা শরীর নাপাক হবে না। তবে কুকুরের লালা নাপাক। কুকুর যদি কামড়ে ধরে, জিহ্বা দিয়ে চাটে বা অন্য যে কোনোভাবে কুকুরের লালা লাগলে কাপড় ও শরীর নাপাক হয়ে যাবে।



কুকুরের শরীরে কাপড়ের স্পর্শ লাগা নিয়ে ইসলামের বিধান


কোনো প্রয়োজন ছাড়া শখ করে কুকুর পোষা ইসলামে নিষিদ্ধ। তবে প্রয়োজন থাকলে যেমন বাড়িঘর, ক্ষেত-খামার, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা, অপরাধের উৎস অনুসন্ধান বা অপরাধী চিহ্নিত করা, শিকার করা ইত্যাদির জন্য কুকুর পোষা বৈধ। রাসুল সা. বলেছেন,


مَنِ اقْتَنَى كَلْبًا، لَيْسَ بِكَلْبِ صَيْدٍ، وَلَا مَاشِيَةٍ، وَلَا أَرْضٍ، فَإِنّهُ يَنْقُصُ مِنْ أَجْرِهِ قِيرَاطَانِ كُلّ يَوْمٍ.
যে ব্যক্তি শিকার করা বা গবাদি পশু অথবা শস্যক্ষেত পাহারা দেওয়ার উদ্দেশ্য ছাড়া কুকুর পোষে ওই ব্যক্তির প্রতিদিন দুই কিরাত পরিমাণ নেকি হ্রাস পায়। (সহিহ মুসলিম: ১৫৭৫)


এ হাদিস এবং আরও কিছু হাদিসে সওয়াবের পরিমাণ বোঝাতে ‘কিরাত’ শব্দটি ব্যবহার করা হয়েছে। এ হাদিসের ব্যাখ্যায় ‘কিরাত’ শব্দের অর্থ সম্পর্কে ইমাম নববি (রহ.) লিখেছেন, ‘‘কিরাত’ একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ যা আল্লাহ তাআলা জানেন।’


অর্থাৎ বিনা প্রয়োজনে কুকুর পুষলে আমলনামা থেকে আল্লাহর ইচ্ছা অনুযায়ী কিছু পরিমাণ সওয়াব কমে যেতে পারে।


তবে আল্লাহর সৃষ্টি হিসেবে সব জীবজন্তুর মতোই কুকুর প্রতি দয়া করা, কুকুরকে খাবার-পানি দেওয়া, কোনো বিপদে পড়লে উদ্ধার করা সওয়াবের কাজ। বিপদজনক বা ক্ষতিকর না হয়ে উঠলে কুকুরকে কোনোভাবে কষ্ট দেওয়া, হত্যা করা গুনাহের কাজ। হাদিসে এসেছে বনি ইসরাইলের এক ব্যাভিচারী নারী কুকুরকে পানি পান করানোর কারণে আল্লাহর ক্ষমা লাভ করেছিলো।


রাসুল (সা.) বলেন, একবার এক তৃষ্ণার্ত কুকুর কূপের পাশে ঘোরাঘুরি করছিল। তৃষ্ণায় তার প্রাণ বের হওয়ার উপক্রম হয়। বনি ইসরাইলের এক ব্যভিচারী নারী তা দেখতে পেয়ে নিজের পায়ের মোজা খুলে মোজায় পানি ভরে কুকুরটিকে পানি পান করায়। এ কারণে তার আগের সব পাপ ক্ষমা করে দেওয়া হয়। (সহিহ বুখারি: ৩৪৬৭)


কুকুরের শরীর নাপাক নয়। কুকুরের শরীরে লাগলে কাপড় বা শরীর নাপাক হবে না। পবিত্র পানি পড়ে কুকুরের শরীর ভিজলে ওই ভেজা শরীরে লাগলেও কাপড় বা শরীর নাপাক হবে না। তবে কুকুরের লালা নাপাক। কুকুর যদি কামড়ে ধরে, জিহ্বা দিয়ে চাটে বা অন্য যে কোনোভাবে কুকুরের লালা লাগলে কাপড় ও শরীর নাপাক হয়ে যাবে।


বিবার্তা/এসবি

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com