আজানের সঙ্গে সঙ্গে মসজিদে যাওয়ার সওয়াব?
প্রকাশ : ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৯:২৬
আজানের সঙ্গে সঙ্গে মসজিদে যাওয়ার সওয়াব?
ধর্ম ডেস্ক
প্রিন্ট অ-অ+

মসজিদে দ্রুত উপস্থিত হয়ে নামাজের জন্য অপেক্ষা করা, জিকির, তিলাওয়াত ও নফল নামাজে নিজেকে নিয়োজিত রাখা ক্ষমা লাভের শ্রেষ্ঠ মাধ্যম ও সর্বোত্তম কল্যাণকর কাজ। মসজিদে দ্রুত উপস্থিত হওয়া মসজিদের প্রতি সর্বদা হৃদয় আকৃষ্ট থাকার দলিল। আর যাঁদের হৃদয় মসজিদের প্রতি আকৃষ্ট থাকে, তাঁরা আল্লাহর আরশে ছায়া পাবেন।


আজানের সঙ্গে সঙ্গে মসজিদে গেলে তাকবিরে উলার সঙ্গে প্রথম কাতারে নামাজ পড়ার সুযোগ হয়। নামাজের জন্য অপেক্ষা করার সওয়াব মেলে। আর নামাজের জন্য অপেক্ষমাণ ব্যক্তিকে নামাজরত বলে ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।


আবু হুরাইরা (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে আল্লাহর রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘আল্লাহ তাআলা সাত ব্যক্তিকে সেই দিনে তাঁর (আরশের) ছায়া দান করবেন, যেদিন তাঁর ছায়া ব্যতীত আর কোনো ছায়া থাকবে না। তাদের একজন হলো, যার অন্তর মসজিদের সঙ্গে লেগে থাকে। অর্থাৎ মসজিদের প্রতি তার মন সদা আকৃষ্ট থাকে। (বুখারি ও মুসলিম)


আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত আরেক হাদিসে রাসুল (সা.) বলেন, ‘নামাজের প্রতীক্ষা যতক্ষণ (কাউকে) আবদ্ধ রাখে, ততক্ষণ সে আসলে নামাজের মধ্যেই থাকে; যখন নামাজ ছাড়া অন্য কোনো কিছু (তাকে) তার পরিবারের কাছে ফিরে যেতে বাধা না দেয়।’ (বুখারি ও মুসলিম)


অন্য হাদিসে আবু হুরাইরা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেন, ‘আজান দেওয়া এবং প্রথম কাতারে দাঁড়ানোর যে মর্যাদা রয়েছে, তা যদি মানুষ জানতে পারত, তবে তা পাওয়ার জন্য তারা প্রয়োজনবোধে লটারি করত। দুপুরের সালাতের যে মর্যাদা রয়েছে, তা যদি তারা জানতে পারত, তবে তারা এটা লাভ করার প্রতিযোগিতায় লেগে যেত। এশা ও ফজরের সালাতের মধ্যে কী মর্যাদা রয়েছে তা যদি জানতে পারত, তবে তারা হামাগুড়ি দিয়ে হলেও এসে সালাতে উপস্থিত হতো।’ (বুখারি)


বিবার্তা/মাসুম

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com