ইসলামে মানবজীবনের প্রতিটি কাজেই রয়েছে কল্যাণ ও সওয়াব। উত্তম কথাও একধরনের সদকা। তাই পারস্পরিক কথাবার্তা বা আলাপচারিতায় সুন্দর ও কোমল ভাষায় সম্বোধন করা মুমিনের কর্তব্য। আল্লাহ তাআলা এরশাদ করেন, ‘মানুষের সঙ্গে উত্তম ব্যবহার করো।’ (সুরা বাকারা: ৮৩)
এক মুসলমানের সঙ্গে অন্য মুসলমানের আন্তরিকতাপূর্ণ সম্পর্ক, সৌজন্যবোধ ও হাসিমুখে সাক্ষাৎ তার উত্তম চরিত্রের পরিচয় বহন করে। উত্তম চরিত্রের অধিকারী ব্যক্তিই পরিপূর্ণ ইমানদার। আর ইমানদার ব্যক্তির প্রতিটি কাজই হবে সওয়াবের ও কল্যাণের। হাদিসে মহানবী (সা.) এরশাদ করেন, ‘তোমার কোনো মুসলমান ভাইয়ের সঙ্গে হাসিমুখে সাক্ষাৎ করা সওয়াবের কাজ।’ (তিরমিজি)
কোমল ভাষা মানুষের মনে জমে থাকা ক্ষোভ নিঃশেষ করে দেয়। আল্লাহ তাআলা এরশাদ করেন, ‘আমার বান্দাদের বলে দিন, তারা যেন উত্তম কথাই বলে। শয়তান তাদের মাঝে সংঘর্ষ তৈরি করে।’ (সুরা বনি ইসরাইল: ৫৩)
দাম্পত্যজীবনে স্বামী-স্ত্রী একে অপরের পরিপূরক। তাই কেউ কারও সঙ্গে এমনভাবে কথা বলবে না, যা অন্যজনের মনঃকষ্টের কারণ হয়। স্বামীকে সম্মান করতে হবে। স্ত্রীকে ভালোবাসতে হবে। কারণ আল্লাহ তাআলা স্বামীকে দায়িত্বশীল বানিয়েছেন।
স্ত্রী সংসারের ভিত্তি। স্বামীর জন্য বরকত। স্ত্রীর প্রতি নম্র থাকতে হবে। নীরবে কিংবা প্রকাশ্যে অপমান করা যাবে না। গালি কিংবা তিরস্কার করা যাবে না। মানুষ যখন ভালো কথা শোনে, তখন তার অন্তর মধুর হয়ে ওঠে। ভালোবাসায় হৃদয় ভরে যায়। কথা বলার ভাষা যদি সুন্দর ও মার্জিত হয়, তাহলে তা আরও বেশি শ্রুতিমধুর হয়। হৃদয়গ্রাহী হয়ে ওঠে।
বিবার্তা/মাসুম
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]