শিরোনাম
জিয়া চ্যারিটেবল মামলায় খালেদার ৭ বছরের কারাদণ্ড
প্রকাশ : ২৯ অক্টোবর ২০১৮, ১২:২০
জিয়া চ্যারিটেবল মামলায় খালেদার ৭ বছরের কারাদণ্ড
বিবার্তা প্রতিবেদক
প্রিন্ট অ-অ+

জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলার বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াসহ চার আসামিকে ৭ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।


পাশাপাশি প্রত্যেকের ১০ লাখ টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরো ছয় মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দেয়া হয়। এছাড়াও ট্রাস্টের নামে ঢাকা শহরের ৪২ কাঠা জমি রাষ্ট্রায়ত্ব করার আদেশ দেয় আদালত।


রাজধানীর নাজিমউদ্দিন রোডের পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে অবস্থিত ঢাকার ৫ নম্বর অস্থায়ী বিশেষ জজ ড. মো. আখতারুজ্জামান সোমবার এ রায় ঘোষণা করেন।


সাজাপ্রাপ্ত অন্য তিন আসামি হলেন- খালেদা জিয়ার সাবেক রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, হারিছ চৌধুরীর তখনকার একান্ত সচিব জিয়াউল ইসলাম মুন্না ও ঢাকার সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান। মামলার আগে থেকেই হারিছ চৌধুরী পলাতক রয়েছেন।


রায় ঘোষণার সময় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) চিকিৎসাধীন খালেদা জিয়া আদালতে উপস্থিত ছিলেন না। কারাগারে থাকা অপর দুই আসামি জিয়াউল ও মনিরুলকে আদালতে হাজির করা হয়।


এদিকে আজ সকালে সুপ্রিম কেোর্টের আপিল বিভাগ খালেদা জিয়ার একটি আবেদন খারিজ বরে দেন। ফলে খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতিতে বিচার কাজে কোনো বাধা নেই।


ক্ষমতার অপব্যবহার করে আর্থিক ক্ষতি করার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় খালেদা জিয়াকে এই সাজা দেয়া হয়েছে। আর আর্থিক ক্ষতি করার ব্যাপারে সহযোগিতা করার দায়ে দণ্ডবিধির ১০৯ ধারায় হারিছ, জিয়াউল ও মনিরুলকে সাত বছর দণ্ড দেয়া হয়।


জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে ৩ কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা লেনদেনের অভিযোগে খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে ২০১১ সালের ৮ আগস্ট তেজগাঁও থানায় মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।


তদন্ত শেষে পরের বছর ২০১২ সালে খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় দুদক। এর দুই বছর পর ২০১৪ সালের ১৯ মার্চ খালেদাসহ চার আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। মামলায় বিভিন্ন সময়ে মোট ৩২ জন সাক্ষ্য দেন।


পুরানো কারাগারে আদালত বসানোর আগে মামলাটির কার্যক্রম রাজধানীর বকশীবাজারে স্থাপিত বিশেষ জজ আদালতে চলে আসছিল। এ বছরের ৮ ফেব্রুয়ারি অন্য আরেকটি মামলা জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন আদালত। রায়ের পর থেকে খালেদা জিয়াকে রাজধানীর পুরনো ঢাকার নাজিম উদ্দিন রোডের সাবেক ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে রাখা হয়েছে।


গত ৪ সেপ্টেম্বর এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে এ আদালতের কার্যক্রম স্থানান্তর করা হয় এই কেন্দ্রীয় কারাগারের প্রশাসনিক ভবনের ৭ নম্বর কক্ষে। গত ৫ সেপ্টেম্বর প্রথম সেখানে আদালত বসে। ওইদিন খালেদা জিয়া আদালতে গিয়ে বিচারককে বলেন, তিনি অসুস্থ। বার বার তিনি এ আদালতে আসতে পারবেন না। যতদিন ইচ্ছা সাজা দিয়ে দিন।


বুধবার (১২ সেপ্টেম্বর) ধার্য তারিখে আবার সেখানে আদালত বসেন। কিন্তু সেখানে আসতে অস্বীকৃতি জানান খালেদা জিয়া। এর পরের শুনানির সময় খালেদা জিয়া আসতে পারবেন কিনা বিচারক তা জানতে চাইলে খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে বিষয়টি জানাতে পারবেন বলেন।


বিচারক তাদের খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাতে কারা কর্তৃপক্ষকে বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়ার আদেশ দেন। ১৯ সেপ্টেম্বর খালেদা জিয়ার দুই আইনজীবী কারাগারে গিয়ে খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। ২০ সেপ্টেম্বর তাদের বক্তব্য শোনার পর বিচারক সিদ্ধান্ত দেন খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতিতেই মামলাটির বিচার কাজ চলবে।


বিবার্তা/জাকিয়া


>>খালেদার আবেদন খারিজ, রায় ঘোষণায় বাধা নেই


>>জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় রায় সোমবার

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com