জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতিতে বিচার চলার বিরুদ্ধে তার করা লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) খারিজ করে দিয়েছে দেশের সর্বোচ্চ আদালত।

প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে সাত সদস্যের আপিল বিভাগের বেঞ্চ সোমবার এ আদেশ দেন।

এর ফলে এই মামলায় বিচারিক আদালতে আজ সোমবার রায় ঘোষণার ক্ষেত্রে আইনগত কোনো বাধা নেই বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।

বিচারিক আদালতে এই মামলার রায় ঘোষণার জন্য আজ সোমবার দিন ধার্য রয়েছে। ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫-এর বিচারক মো. আখতারুজ্জামান ১৬ অক্টোবর রায় ঘোষণার এই দিন ধার্য করেন।

কারা কর্তৃপক্ষ বার বার খালেদা জিয়াকে আদালত কক্ষে আনতে ব্যর্থ হওয়ায় তার অনুপস্থিতিতেই বিচার চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত দিয়েছিল জজ আদালত। খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা ওই সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করলে হাইকোর্টে তা খারিজ হয়ে যায়।

এরপর হাইকোর্টের খারিজ আদেশের বিরুদ্ধে আপিলের আবেদন করেছিলেন খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা। সে বিষয়ে শুনানি শেষে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন সাত বিচাপতির আপিল বেঞ্চ সোমবার তা খারিজ করে দেয়।

শুনানিতে খালেদা জিয়ার পক্ষে ছিলেন এ জে মোহাম্মদ আলী, জয়নুল আবেদীন, মাহবুব উদ্দিন খোকন, কায়সার কামাল ও এ কে এম এহসানুর রহমান। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। আর দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে শুনানি করেন খুরশীদ আলম খান।

সোমবার বেলা ১১টার পর নাজিমউদ্দিন রোডের পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারের ভেতরে বসানো জজ আদালতের অস্থায়ী এজলাস থেকে বিচারক মো. আখতারুজ্জামান এ মামলার রায় ঘোষণা করবেন।

বিবার্তা/জাকিয়া

>>জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় রায় সোমবার