
মুজিবুল হক চুন্নুকে বাদ দিয়ে দলের তরুণ নেতা শামীম হায়দার পাটোয়ারীকে জাতীয় পার্টির মহাসচিব পদে নিয়োগ দিয়েছেন দলটির চেয়ারম্যান জিএম কাদের।
৭ জুলাই, সোমবার বিকেলে এই তথ্য নিশ্চিত করেছে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের প্রেস সেক্রেটারি খন্দকার দেলোয়ার জালালী।চেয়ারম্যানের দপ্তর থেকে একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতেও বিষয়টি জানানো হয়।
শামীম হায়দার পাটোয়ারী জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও অতিরিক্ত মহাসচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন।
মসিউর রহমান রাঙ্গাকে বহিষ্কার করে ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে মুজিবুল হক চুন্নুকে মহাসচিব করেছিলেন জিএম কাদের।
জাতীয় পার্টির গঠনতন্ত্রের ২০(ক) ধারায় দলের কোনো ধরনের কারণ দর্শনোর নোটিশ ছাড়াই যে কাউকে পদ বা দল থেকে অব্যাহতি বা বহিষ্কার করার ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে চেয়ারম্যানকে, যা নিয়ে জ্যেষ্ঠ ও পুরোনো নেতাদের একাংশের ক্ষোভ আছে। তাদের ভাষায় গঠনতন্ত্রের ওই ধারা পার্টির চেয়ারম্যানকে ‘স্বৈরাচারী’ করে তুলেছে।
জাপার গঠনতন্ত্রের ২০(ক) ধারায় দলের চেয়ারম্যানকে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়ার একচ্ছত্র ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। এই ধারার ভিত্তিতে কোনো প্রকার কারণ দর্শানোর নোটিশ ছাড়াই তিনি যেকোনো নেতাকে বহিষ্কার করতে বা পদে পরিবর্তন আনতে পারেন।
এর আগে মহাসচিবের পদ থেকে মসিউর রহমান রাঙ্গাকে সরিয়ে দিয়েছিলেন জিএম কাদের। তখন ওই পদে আনা হয়েছিল মুজিবুল হক চুন্নুকে। কিন্তু এবার তাকেও সরিয়ে দেওয়া হলো।
এদিকে এই সিদ্ধান্তকে কেন্দ্র করে জাতীয় পার্টিতে ফের ভাঙনের সুর শোনা যাচ্ছে। প্রয়াত হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের প্রতিষ্ঠিত দলটি সপ্তমবারের মতো অভ্যন্তরীণ সংকটে পড়েছে।
গঠনতন্ত্রের ‘বিতর্কিত’ ২০(ক) ধারার কারণে জিএম কাদেরকে শীর্ষপদ থেকে সরাতে জোট বেঁধেছে বর্তমান কমিটির শীর্ষ নেতাদের একাংশ। তাদের সঙ্গে এক হয়েছেন ২০২৪ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর বহিষ্কৃত বেশ কিছু নেতা।
বিদ্রোহী নেতাদের অভিযোগ, ২০(ক) ধারার মাধ্যমে জাপা চেয়ারম্যান কোনো ধরনের জবাবদিহিতা ছাড়াই যে কাউকে অপসারণ কিংবা পদায়ন করতে পারেন।
বিবার্তা/এসএস
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]