নির্বাচন যত দ্রুত হবে দেশের জন্য ততই মঙ্গল: মির্জা ফখরুল
প্রকাশ : ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০২:১৯
নির্বাচন যত দ্রুত হবে দেশের জন্য ততই মঙ্গল: মির্জা ফখরুল
যশোর প্রতিনিধি
প্রিন্ট অ-অ+

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ছাত্ররা রাষ্ট্র সংস্কারের কথা বলছে। তারা বলছে সংবিধান সংস্কার করতে হবে। সংবিধান পরিবর্তন কীভাবে করবেন? একটা সংস্কার কমিটি দিয়েই সংবিধান সংস্কার হবে না। ওটা করতে গেলে সাংবিধানিক কিংবা সংসদের প্রতিনিধি লাগবে। সেটার জন্য ধৈর্য ধরতে হবে। একই সঙ্গে সবচেয়ে প্রধান যে জিনিসটা দরকার, সেটি হলো নির্বাচন।


তিনি বলেন, নির্বাচন যত দ্রুত হবে দেশের জন্য ততই মঙ্গল, সমস্যা তত কমে আসবে। নির্বাচিত সরকার হলে তার শক্তি হবে জনগণ। একটি সুষ্ট অবাধ গ্রহণযোগ্য নির্বাচন দরকার।


২২ নভেম্বর, শুক্রবার রাতে যশোর জেলা বিএনপির উদ্যোগে স্থানীয় জেলা পরিষদ মিলনায়তনে ফ্যাসিবাদ বিরোধী দীর্ঘ আন্দোলন ও আজকের প্রেক্ষিত শীর্ষক নাগরিক ভাবনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।


মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আরও বলেন, মনে রাখতে হবে একদিকে যেমন পরিবর্তনের জন্য জীবন দিয়েছে, তেমনি নির্বাচনের জন্য মানুষ প্রাণ দিয়েছে। হঠাৎ করেই কোনো কিছু পরিবর্তন করে ফেললে হবে না। সেটা কতটা টেকসই সেই চিন্তাও করতে হবে। তার জন্য গণতান্ত্রিক পথে যেতে হবে। তারা যদি বলত বিপ্লবী সরকার গঠন করেছি, তাহলে বিপ্লবী সরকার করত। আমাদের কিছু বলার ছিল না। এটা (অন্তর্বতীকালীন সরকার) বিপ্লীব সরকার নয়, সাংবিধানিক সরকার। আপিল বিভাগ থেকে এই সরকারের বৈধতা নেওয়া হয়েছে। ওটাকে ধরে রেখেই আমাদের এগোতে হবে।


তিনি বলেন, আমাদের সামনে বড় ক্রান্তিকাল। ঐক্যবদ্ধভাবে আমরা ফ্যাসিস্টকে বিদায় দিয়েছি। আমাদেরকে ঐক্য ধরে রাখতে হবে। আমাদেরকে সঠিকভাবে রূপান্তর ঘটাতে হবে। যে রূপান্তরের মধ্য দিয়ে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ, চেতনাকে ফিরে এনে সত্যিকারের গণতান্ত্রিক, মানবিক মূল্যবোধ, কল্যাণকর দেশ গড়তে পারি। এটাই আমাদের সামনে এটাই লক্ষ্য।


বিগত দেড় দশকে বিএনপির আন্দোলন সংগ্রাম, হামলা, মামলার কথা তুলে ধরে দলটির মহাসচিব বলেন, ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলনের গোলটা দিয়েছে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান। এটা অস্বীকার করা যাবে না। এজন্য তাদেরকে সাধুবাদ জানাচ্ছি। কিন্তু তাই বলে এই অভ্যুত্থান একদিনের বিষয় ছিল না।


একাত্তরকে ধারণ করেই সামনে এগিয়ে যেতে হবে মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, গণতান্ত্রিক, মানবিক মূল্যবোধসম্পন্ন সমাজ বিনির্মাণের লক্ষ্যে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল। মুক্তিযুদ্ধের মধ্যদিয়ে দিয়ে আমরা এই ভূ-খণ্ড পেয়েছি। যে গণতন্ত্রের জন্য যুদ্ধ করেছি, দেশ স্বাধীন করেছি। ত্রিশ লাখ শহিদ, দুই লাখ মা বোন সম্ভ্রম দিয়েছে। সেই গণতন্ত্র আওয়ামী লীগ ধংস করেছে। অনেকে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধকে বাদ দিয়ে চিন্তা করতে বলছে। আমরা এটাকে বাদ দিয়ে চিন্তা করতে পারি না। একই সঙ্গে ৭ নভেম্বরকে আমরা ভুলতে পারি না।


বিএনপি মহাসচিব বলেন, আওয়ামী লীগ কখনও গণতন্ত্রে বিশ্বাসী নয়, তারা গণতন্ত্রের খোলসধারী। স্বাধীনতা যুদ্ধসহ এর আগে ও পরে তারা সেটাই প্রমাণ করেছে।


স্বশস্ত্র বাহিনী দিবসে সেনানিবাসে খালেদা জিয়াকে আমন্ত্রণ ও সেখানে তার যাওয়া প্রসঙ্গে ফকরুল বলেন, সারাদেশে আনন্দের বন্যা বয়েছে। এই ঘটনার মধ্যে দিয়ে নতুন দিগন্ত সৃষ্টি করেছে।


জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক নার্গিস বেগমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান নিতাই রায় চৌধুরী, দলের খুলনা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু, যুগ্ম আহ্বায়ক দেলোয়ার হোসে খোকন, যশোর প্রেসক্লাবের সভাপতি জাহিদ হাসান টুকুন প্রমুখ।


বিবার্তা/এসবি

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2024 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com