
রাজধানীর বিজয়নগর এলাকায় জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় জাতীয় পার্টি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। পরে ফায়ার সার্ভিসের একটি টিম গিয়ে আগুন নিভিয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) রাত ৭টার দিকে জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে কয়েকজন শিক্ষার্থীকে পেটান এবং ধাওয়া দেন পার্টির নেতাকর্মীরা। পরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকে শিক্ষার্থীরা ওই এলাকায় জড়ো হলে সেখানে জাতীয় পার্টির নেতাদের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
প্রায় ৪০ মিনিট ধরে পোড়ার পর ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এরমধ্যে জাতীয় পার্টির অফিসের নিচতলা পুড়ে যায়। ছিঁড়ে ফেলা হয় আশপাশের সব ব্যানার-ফেস্টুন।
বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) সরেজমিনে দেখা যায়, সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে সেখানে আগুন দেওয়া হয়। ৭টা ৫০ মিনিটে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট এলেও বিক্ষুদ্ধরা গাড়ি ফিরিয়ে দেয়। পরে আবার ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি এসে ৮টা ১০ মিনিটের দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
এ বিষয়ে ছাত্র অধিকার পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক হারুন রশিদ বলেন, সন্ধ্যা ৬টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি থেকে আমরা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র জনতাকে নিয়ে মিছিল শুরু করি। বিজয়নগর পানির ট্যাঙ্কির সামনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে মিছিল শেষ হওয়ার কথা। তবে মিছিলটি জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় দপ্তরের সামনে যাওয়ার সাথে সাথে উপর্যুপরি আক্রমণ করা হয়। আমাদের প্রায় ২০ জন আহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টার দিকে এই ঘটনার আগে আগে ফেইসবুকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ জাতীয় পার্টিকে উদ্দেশ করে লেখেন, “এবার এই জাতীয় বেইমানদের উৎখাত নিশ্চিত।”
ফায়ার সার্ভিসের কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ কক্ষের ডিউটি অফিসার রাশেদ বিন খালিদ জানান, সন্ধ্যা ৭টা ৪০ মিনিটে খবর পেয়ে সেখানে আগুন নেভানোর জন্য দুই ইউনিট পাঠানো হয়।
রাত ৮টায় রমনা বিভাগের এডিসি জুয়েল রানা বলেন, “আমরা এখানেই আছি। ছাত্র-জনতা এসে জাতীয় পার্টির অফিসে আগুন দিয়েছে। এখন আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। তবে এখানে এখনো অনেক ছাত্র-জনতা ভিড় করে রয়েছে।”
জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু গণমাধ্যমকে বলেন, আজকের এ অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি নিয়ে আমরা দলীয় মিটিংয়ে বসেছি। মিটিং শেষে আমরা প্রতিক্রিয়া জানাব।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থী নেওয়াজ খান বাপ্পী গণমাধ্যমকে বলেন, আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে একটি মিছিল নিয়ে এসেছিলাম। কিন্তু মিছিল পার্টির কার্যালয়ের সামনে আসতেই আমাদের ওপর আক্রমণ করা হয়। এতে অসংখ্য নেতাকর্মী আহত হন। হামলার শিকার হয়ে পরবর্তীতে আমরা আবার জড়ো হয়ে সন্ত্রাসীদের প্রতিহত করতে এখানে আসি। তারপর সন্ত্রাসী আমাদের দিকে বন্দুক তাক করলে বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা তাদের লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছুঁড়ে।
ছাত্র অধিকার পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক হারুন রশিদ বলেন, সন্ধ্যা ৬টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি থেকে আমরা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতাকে নিয়ে মিছিল শুরু করি। বিজয়নগর পানির ট্যাঙ্কির সামনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে মিছিল শেষ হওয়ার কথা। তবে মিছিলটি জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় দপ্তরের সামনে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে উপর্যুপরি আক্রমণ করা হয়। আমাদের প্রায় ২০ জন আহত হয়েছেন।
অন্যদিকে আগুন নেভাতে সন্ধ্যা ৭টা ৫০ মিনিটের দিকে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট এলে ছাত্রদের বাধার মুখে ফিরে যেতে বাধ্য হয়। এসময় ছাত্ররা বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন। কয়েক মিনিট পরে পুলিশের সহায়তায় আগুন নেভান ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।
বিবার্তা/এসবি
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]