আগামী নির্বাচনে অংশ নেবেন খালেদা জিয়া, এনডিটিভিকে ফখরুল
প্রকাশ : ১১ আগস্ট ২০২৪, ১০:১৫
আগামী নির্বাচনে অংশ নেবেন খালেদা জিয়া, এনডিটিভিকে ফখরুল
বিবার্তা প্রতিবেদক
প্রিন্ট অ-অ+

শনিবার বাংলাদেশের সাম্প্রতিক বিষয়াবলী নিয়ে ভারতীয় সম্প্রচারমাধ্যম এনডিটিভির সঙ্গে কথা বলেন মির্জা ফখরুল।


২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় পাঁচ বছরের সাজা দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয় সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে।


ওই বছরের অক্টোবরে হাইকোর্টে আপিল শুনানি শেষে সাজা বেড়ে হয় ১০ বছর। এরপর জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায়ও আরও সাত বছরের সাজা হয় বিএনপি প্রধানের। তিনি তখনও পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন সড়কের কারাগারে ছিলেন।


রাজনীতি থেকে সরিয়ে দেওয়ার জন্য আওয়ামী লীগ সরকারের প্রভাবে মিথ্যা মামলায় খালেদা জিয়াকে কারাবন্দি করা হয়েছে বলে বিএনপি বরাবরই বলে আসছিল।


দেশে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব শুরু হলে পরিবারের আবেদনের প্রেক্ষিতে ২০২০ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্বাহী ক্ষমতা প্রয়োগ করে খালেদা জিয়ার দণ্ড ছয় মাসের জন্য স্থগিত করেন।


ওই বছরের ২৫ মার্চ সাময়িক মুক্তি পেয়ে গুলশানের বাসা ফিরোজায় ফেরেন খালেদা। তখন থেকে তিনি সেখানেই আছেন। এরপর ছয় মাস পরপর আবেদনের প্রেক্ষিতে তার সাজা স্থগিত করে মুক্তির মেয়াদ বাড়াচ্ছিল সরকার।


২০২০ সাল থেকে সরকারের নির্বাহী আদেশে সাময়িক মুক্ত থাকলেও এবার গণআন্দোলনে সরকার পতনের পর সাজা থেকে পুরোপুরি মুক্তি পান খালেদা জিয়া। রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন গত ৬ আগস্ট সংবিধানের ৪৯ অনুচ্ছেদের ক্ষমতাবলে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার দণ্ড মওকুফ করেন।


গতকাল এনডিটিভিকে দেওয়া দীর্ঘ এক সাক্ষাৎকারে খালেদা জিয়ার নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘তিনি খুবই অসুস্থ। হাসপাতালে আছেন। তিনি মাল্টিডিসপ্লিনারি রোগে ভুগছেন। দেশে তার ভালো চিকিৎসা হচ্ছিল না। আমরা আদালত এবং সরকারকে বারবার অনুরোধ করেছিলাম উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে যেন বিদেশে পাঠানো হয়। কিন্তু সেটি হয়নি। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন এখন বিদেশ যাওয়ার মতো শারীরিক অবস্থা তার নেই। তাকে দেশের বাইরে নিয়ে যাওয়ার জন্য আমাদের আরও কিছু সময় অপেক্ষা করতে হবে। তিনি যদি শারীরিকভাবে ফিট থাকেন তাহলে অবশ্যই নির্বাচনে অংশ নেবেন।’


বিএনপি নির্বাচনে অংশ নিতে প্রস্তুত জানিয়ে দলটির মহাসচিব বলেন, ‘বিএনপি এখন নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত। তবে দেশে সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি করতে সময় লাগবে। কারণ শেখ হাসিনার সরকারের সময় নির্বাচনী কাঠামো কার্যত ভেঙে দেওয়া হয়েছিল।


‘পুরো নির্বাচনী ব্যবস্থা দূষিত হয়ে গেছে এবং এটি এখন একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের অবস্থানে নেই। এ কারণে তাদের নির্বাচনী ব্যবস্থায় কিছু পরিবর্তন আনতে হবে।-যোগ করেন ফখরুল।


শেখ হাসিনা পদত্যাগ করেননি বলে তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় যে দাবি করেছেন এ ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘রাজনৈতিক দল এবং সেনাবাহিনীর উপস্থিতিতে রাষ্ট্রপতি নিজে বলেছেন তিনি পদত্যাগ করেছেন। এটি কোনো জবরদস্তি ছিল না…বিপ্লব ছিল। যখন লাখ লাখ মানুষ শেখ হাসিনার বাড়ির দিকে আসছিল; তার নিরাপত্তা বাহিনী ও সশস্ত্র বাহিনী বলেছে তার সামনে দুটি অপশন রয়েছে: এখানে থাকুন মানুষের রোষে পড়ুন। আর নয় দেশ ছাড়ুন। তিনি দেশ ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেন।’


সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার অভিযোগের ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘এটি পুরোটি সত্য নয়। যখন আমাদের দেশে বা অন্য দেশে পরিবর্তন হয়…বিশেষ করে তৃতীয় বিশ্বের দেশে…কিছু মানুষ সুবিধা নেওয়ার চেষ্টা করে। বাংলাদেশে দুর্ভাগ্যবশত দায়িত্বে থাকা দলের নেতারা ভিকটিমের শিকার হন। তারা মুসলিম হোক আর হিন্দু হোক। সংখ্যালঘুদের ওপর বিক্ষিপ্ত কিছু হামলা হয়েছে। কিন্তু সেগুলো রাজনৈতিক অথবা পদ্ধতিগত এজেন্ডা ছিল না। বাংলাদেশের সাম্প্রদায়িক পরিবেশ অসাধারণ।’


বিবার্তা/এসবি

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2024 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com