
সারাদেশের মানুষ আজ এক ভয়াবহ অবস্থার মধ্যে আছে মন্তব্য করে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, এখানে মানুষের অধিকার বলতে কিছু নেই, গণতন্ত্র বলতে কিছু নেই। মানুষের জীবনের কোনো নিরাপত্তা নেই। সেখানে দেশের মানুষকে সঙ্গে নিয়ে এসব প্রতিষ্ঠা করতে লড়াই ও সংগ্রাম করছি। তারেক রহমানের নেতৃত্বে অবশ্যই এই সংগ্রামে আমরা জয়ী হব।
৩ এপ্রিল, বুধবার ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রুহিয়া সালেহীয়া দারুসুন্নাত ফাজিল মাদরাসা সংলগ্ন কবরস্থানে জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. তৈমুর রহমানের কবর জিয়ারত শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা তৈমুর রহমান ছিলেন একজন গণমানুষের নেতা। তিনি অসহায় নিপীড়িত মানুষের অধিকারের জন্য সব সময় সংগ্রাম করেছেন। এ লড়াই করতে করতে তিনি মারা গেলেন। যখন তিনি অসুস্থ হলেন- তখন সংবাদটি জেলের মধ্যে পাই। তারপর তিনি চিকিৎসা নিতে গেলেন ভারতে। আমার সঙ্গে কথা হলে তিনি জানান- সুস্থ হয়ে ফিরে আসবেন। কিন্তু ফিরে এলেন লাশ হয়ে। এ কথা বলতে গিয়ে কেঁদে ফেলেন বিএনপি মহাসচিব।
তিনি বলেন, তাকে আমি ছাত্ররাজনীতির সময় থেকে চিনতাম। ব্যক্তিগতভাবে তার সঙ্গে আমার সম্পর্ক দীর্ঘদিনের এবং রাজনীতিতে এসে সম্পর্ক আরও নিবিড় হয়েছে।
উপস্থিত নেতাকর্মীদের উদ্দেশে মির্জা ফখরুল বলেন, প্রশাসন আপনাদের নির্যাতন করে। আপনারা বিভিন্নভাবে নির্যাতিত হচ্ছেন। এখনো হচ্ছেন। বিভিন্ন মামলায় আদালতে হাজিরা দিতে হয়। তারপরও আপনারা মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছেন।
তিনি বলেন, দমন-পীড়নকারী এ ফ্যাসিবাদী ক্ষমতাসীনদের অত্যাচারে মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। এসব নির্যাতনের কারণে মানুষ হয়তো প্রতিরোধ সৃষ্টি করে উঠতে পারছে না, কিন্তু একদিন দেখবেন এই মানুষই প্রতিরোধ করে দাঁড়াবে। পৃথিবীতে কোনো দিন স্বৈরাচারী-ফ্যাসিবাদী সরকার টিকতে পারেনি। হিটলারের মতো ফ্যাসিবাদী ধ্বংস হয়ে গেছে। সেই পুরোনো যুগের ফেরাউন, নমরুদ ধ্বংস হয়ে গেছে। মানুষের পক্ষে না দাঁড়ালে ,তাদের কল্যাণে কাজ না করলে কেউ কোনো দিন ক্ষমা পায় না। এই স্বৈরাচারী সরকারও কোনো দিন ক্ষমা পাবে না।
এসময় জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মির্জা ফয়সল আমীন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনছারুল হক, সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল হামিদ, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি মো. কায়েস প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম তৈমুর রহমান গত ৩ মার্চ ভারতের মুম্বাইয়ে টাটা মেমোরিয়াল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। তার বয়স হয়েছিল ৭৫ বছর।
তৈমুর রহমান বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির সাথে যুক্ত ছিলেন। ওই সময় তিনি ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রুহিয়া ইউনিয়ন পরিষদে কয়েক দফা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। পরে তিনি বিএনপিতে যোগ দেন।
বিবার্তা/লিমন
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]