
আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টি বলেছে, ভারত ও মিয়ানমার সীমান্তে প্রায় একই সময় বাংলাদেশের নাগরিক নিহত হয়েছে, কিন্তু সরকার নির্বিকার। সীমান্তে নিরাপত্তায় নিয়োজিত বিজিবিরও কোনো কার্যকর ভূমিকা নেই।
৭ ফেব্রুয়ারি, বুধবার রাজধানীর বিজয়নগরে এবি পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এক সমাবেশে দলটির নেতারা এসব কথা বলেন। সমাবেশ শেষে দলটি বিক্ষোভ মিছিল করে।
বিক্ষোভ মিছিল শুরুর আগে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশ থেকে দলের নেতারা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো জ্ঞানের পাদপীঠে গণধর্ষণ হচ্ছে পুলিশ বা প্রশাসন সাক্ষী গোপাল হয়ে আছে! পুলিশ-বিজিবি’র অ্যাকশন শুধু বিরোধী দল দমনের জন্য। বাকশাল-টু এর প্রভাবে একমাসের মাথায় নতুন মাত্রায় ধর্ষণ ও লুটপাটের বিস্তার লাভ করেছে বলে তারা অভিযোগ করেন।
এবি পার্টির সদস্যসচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু'র নেতৃত্বে বিক্ষোভ মিছিলটি বুধবার ( ৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেল সাড়ে তিনটায় বিজয় নগরস্থ দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে শুরু হয়ে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
মিছিল পূর্ব সমাবেশে বক্তব্য রাখেন এবি পার্টির যুগ্ম আহবায়ক প্রফেসর ডা. মেজর (অব.) আব্দুল ওহাব মিনার, যুগ্ম সদস্যসচিব ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ ও অ্যাডভোকেট আব্দুল্লাহ আল মামুন রানা, যুবপার্টির আহবায়ক এবিএম খালিদ হাসান, মহানগর উত্তরের আহবায়ক আলতাফ হোসাইন, সহকারী সদস্যসচিব ব্যারিস্টার নাসরীন সুলতানা মিলি, হাদিউজ্জামান খোকন, নারী নেত্রী সুলতানা রাজিয়া সহ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ।
মেজর অব. মিনার বলেন, আজ আমার বিজিবির ভাই মারা যাচ্ছে বিএসএফের গুলিতে। মিয়ানমারের জান্তা বাহিনীর হামলায় নিহত হচ্ছে আমার দেশের জনগণ। এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের সেনাবাহিনী ও বিজিবির সক্ষমতা এবং দেশের সার্বভৌমত্ব নিয়ে প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। আমরা এই সমস্ত ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই। প্রয়োজনে জনগণ আবার জীবন দিবে কিন্তু রক্তের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতা কোন লুটেরাদের হাতে বিকিয়ে দেয়া হবে না।
সমাবেশে মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, সময় এসেছে এখন দল মতের উর্দ্ধে উঠে প্রত্যেক নাগরিককে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করার। কে শোষকের পক্ষে আর কে শোষিতের পক্ষে তা চিহ্নিত হয়ে গেলে লড়াইটা সহজ হয়ে যাবে। শোষক আর শোষিতের লড়াইয়ে শোষিতের বিজয় সুনিশ্চিত বলে তিনি প্রত্যয় ব্যাক্ত করেন।
ব্যারিস্টার ফুয়াদ বলেন, অনির্বাচিত সরকার একটা দেশের স্বাধীনতা এবং সার্বভৌমত্বের জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি। জনগণের সম্মতি ব্যতীত দেশকে শোষণ আর নির্যাতন করা যায় কিন্তু স্বার্থ রক্ষা করা যায় না। তাই প্রতিনিয়ত ভারত এবং মিয়ানমার সীমান্তে আমাদের স্বার্থ ও সার্বভৌমত্ব ক্ষুণ্ণ হলেও এই অবৈধ বাকশালী সরকার কিছুই করতে পারছে না। বারবার আমাদের আকাশসীমা লঙ্ঘিত হবার পরেও, সীমান্তে হত্যা ও গুম চালু থাকলেও এই সরকারের নতজানু পররাষ্ট্রনীতি মাথা তুলে তার প্রতিবাদ করতে পারছে না। দেশ ও জাতির আত্মমর্যাদাকে বিসর্জন দিয়ে প্রতিনিয়ত বিদেশি প্রভুদের নির্দেশনা শোনাটাই আওয়ামী দখলদারদের একমাত্র কাজে পরিণত হয়েছে। নিন্দা এবং প্রতিবাদ এখন আর যথার্থ নয়; বরং সকলে মিলে জাতীয় শত্রু-মিত্র নির্ণয় করে লড়াই, সংগ্রাম জারি রাখাটা এখন সময়ের দাবি।
বিক্ষোভ মিছিলে আরও উপস্থিত ছিলেন এবি পার্টির প্রচার সম্পাদক আনোয়ার সাদাত টুটুল, কেন্দ্রীয় নেতা শাহ আব্দুর রহমান, মাসুদ জমাদ্দার রানা, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের যুগ্ম আহবায়ক গাজী নাসির, যুগ্ম সদস্যসচিব সফিউল বাসার, আহমেদ বারকাজ নাসির, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল হালিম নান্নু, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সেলিম খান, মশিউর রহমান মিলু, আমেনা বেগম, আব্দুর রব জামিল, ফেরদৌসী আক্তার অপি, রুনা হোসাইন, রিপন মাহমুদ, শরণ চৌধুরী, পল্টন থানার আহবায়ক আব্দুল কাদের মুন্সি সহ কেন্দ্রীয় ও মহানগরীর বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।
বিবার্তা/এসবি
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]