আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি নির্বাচন হতে দেবে না বলেছিল, সে আস্ফালন এখন কোথায় গেল? সারা দুনিয়ার পর্যবেক্ষক, সাংবাদিক, নামিদামি মিডিয়ার অনেকে উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু নির্বাচনের বিরুদ্ধে বলার মতো কিছুই ছিল না।

তিনি বলেন, সুন্দর নির্বাচনের প্রশংসা সারা দুনিয়ায় শুনতে পাচ্ছি। কেবল একটি মহল নানা কথা বলছে। তারা এখন বলছে সংসদ অবৈধ।

১৭ জানুয়ারি, বুধবার বিকেলে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পাতানো ছিল না দাবি করে কাদের বলেন, নামিদামি অনেক দেশ নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করেছে। এমনকি নির্বাচনের পর বিভিন্ন দেশ অভিনন্দন জানিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাসও সরকারকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক নির্বাচন হয়েছে। বিরোধী দলের নির্বাচন বর্জন করায় নতুন রণকৌশল নিতে হয়েছে। স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য বড় অংশ। জনগণের অংশগ্রহণে অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন করতে রণকৌশল নিতে হয়েছে, যার সোনালি ফসল ঘরে তুলেছে আওয়ামী লীগ। দু-একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া নির্বাচন শান্তিপূর্ণ হয়েছে। নির্বাচন নিয়ে এখন অনেকে অনেক কথাই বলবে।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, এবার নির্বাচন কমিশন কতটা স্বাধীন ছিল। সরকারি দলের প্রার্থিতা বাতিল, শোকজ ও ভৎসনাও ছিল। এমন নজির আর কী দেখাতে পারবে? আওয়ামী লীগকে গণতন্ত্র শেখাতে হবে না।

সরকার পাঁচ বছরের জন্য ক্ষমতায় এসেছে জানিয়ে কাদের বলেন, সময় আছে পাঁচ বছর। পাঁচ বছরের মধ্যে আর উল্টাপাল্টা বলে কোনো লাভ নেই। অপেক্ষা করতে হবে। পাঁচ বছর পর আবার ১০ ডিসেম্বর, আবার ২৮ অক্টোবরের অপেক্ষা করুন। নির্বাচনের ট্রেন বন্ধ হয়ে গেছে। পাঁচ বছর পর আবার চালু হবে।

সভায় আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, ড. আব্দুর রাজ্জাক, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, কামরুল ইসলাম, জাহাঙ্গীর কবির নানক ও আব্দুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ, ড. হাছান মাহমুদ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম ও ডা. দীপু মনি, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, আফজাল হোসেন এবং সুজিত রায় নন্দী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

বিবার্তা/এমজে