তিনশ আসনের জাতীয় সংসদে ‘ছয়শ’ সংসদ সদস্য থাকার বৈধ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, বাংলাদেশে এখন এমপি ছয়শ জন। ২৯ তারিখ পর্যন্ত এই সংসদ (একাদশ), সেই সংসদের সদস্য এখনো বহাল আছেন। কি করে সম্ভব?

১৭ জানুয়ারি, বুধবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক মানববন্ধনে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য এই প্রশ্ন তুলেন।

তিনি বলেন, সংবিধানের কোন আইনে লেখা আছে এরা শপথ করতে পারবেন? আমি বলতে চাই, আপনারা (সরকার) সংবিধান মানেন না, সংবিধানের কথা বলে আর বাংলাদেশের মানুষকে অপমান কইরেন না। দয়া করে সংবিধান মতো চলেন, পদত্যাগ করেন, গণতন্ত্র ফিরিয়ে দেন।

নবম সংসদের বিরোধী দলের প্রধান হু্ইপ জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, ৭ জানুয়ারি যে নির্বাচন হয়ে গেলো এটা কোনো নির্বাচন হয়নি, ভোটাররা ভোট কেন্দ্রে যায়নি…এটা দেশ-বিদেশের গণমাধ্যমে ফলাও করে প্রচার হয়েছে। এটা লজ্জ্বার।

আমার ভোট আমি দেবো… এই অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য অঙ্গীকার করে যাচ্ছি। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের জন্মদিনের একদিন আগে এই পবিত্র জায়গা থেকে জীবন-মরণ একদিন, জন্মেছি একদিন, মৃত্যু একদিন…. গণতন্ত্রের জন্য মানুষের অধিকারের জন্য লড়াই করে যাবো, লড়াই করব গণতন্ত্র পূণঃপ্রতিষ্ঠার জন্য।

তিনি বলেন, মামলা-হামলা-জেল-জুলুম করছেন। কোনো লাভ হবে না। এই সরকার যত কলাকৌশল করুক না কেনো তারা এরকম ভুয়া পাতানো নির্বাচন করে ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারবে না। জনগণ অবশ্যই তাদেরকে আন্দোলনের মাধ্যমে বিদায় করবেই।

জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে গণতন্ত্র ফোরামের উদ্যোগে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীসহ কারাবন্দি নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবিতে এই মানবন্ধন হয়।

গণতন্ত্র ফোরামের সভাপতি ভিপি ইব্রাহিমের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বিএনপির শিশু বিষয়ক সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ সিদ্দিকী, তথ্য ও গবেষণা সহ সম্পাদক কাদের গণি চৌধুরী, কৃষক দলের ওবায়দুর রহমান টিপু, সাহাদাত হোসেন বিপ্লব, তাঁতী দলের কাজী মনিরুজ্জামান, মতস্যজীবী দলের সেলিম মিয়া, জাসাসের আরিফুর রহমান প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

বিবার্তা/রুবেল/লিমন