'যারা নির্বাচন বানচাল করতে চায়, তাদের বিরুদ্ধে ভিসানীতি কতটা কার্যকর হয়- জাতি তা দেখতে চায়'
প্রকাশ : ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ২০:৩১
'যারা নির্বাচন বানচাল করতে চায়, তাদের বিরুদ্ধে ভিসানীতি কতটা কার্যকর হয়- জাতি তা দেখতে চায়'
বিবার্তা প্রতিবেদক
প্রিন্ট অ-অ+

বিএনপিসহ যারা আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বানচাল করতে চায়, তাদের বিরুদ্ধে মার্কিন ভিসানীতি কতটা কার্যকর হয়- জাতি তা দেখতে চায় বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ এমপি।


রবিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় চট্টগ্রামে সাবেক গণপরিষদ সদস্য, চট্টগ্রাম জেলা বাকশালের সাধারণ সম্পাদক, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল্লাহ আল হারুন চৌধুরীর স্মরণসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।



মাহবুবউল আলম হানিফ বলেন, বিএনপি জানে তাদের অতীত কর্মকাণ্ডের কারণে নির্বাচনে জয়লাভ করার সুযোগ নেই। যার কারণে আজ তারা মিথ্যাচার করে নির্বাচন বাধাগ্রস্ত করতে চায়। নির্বাচন বানচালের জন্য ষড়যন্ত্র করছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভিসানীতিতে বলা হয়েছে আগামী সংসদ নির্বাচন যদি কেউ বাধাগ্রস্ত করে তাহলে তার ওপর ভিসানীতি প্রয়োগ হবে। যারা এখনো নির্বাচনের বিরোধীতা করে হুমকি দিচ্ছেন, নির্বাচন বানচাল করার ষড়যন্ত্র করছেন- ওই দেশ তাদের ওপর কোনো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয় কি না, জাতি দেখতে চায়।


তিনি বলেন, আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন- আগামী নির্বাচন অবশ্যই অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ হবে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন চায়। আপনাদের চাওয়া ও আমাদের চাওয়ার মধ্যে তো কোনো পার্থক্য নেই। এখন আপনারা নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ হওয়ার স্বার্থেই এই ঘোষণা দিয়েছে নাকি ভিসানীতি আড়ালে কোনো ষড়যন্ত্রের আভাস আছে? যদি এই ভিসানীতির অন্তরালে কোনো ষড়যন্ত্র থাকে, দুরভিসন্ধি থাকে- তাহলে বাংলার মানুষ তা বরদাশত করবে না।


বিএনপি-জামায়াত বাংলাদেশের চিহ্নিত শত্রু উল্লেখ করে হানিফ বলেন, এই বাংলাদেশকে পিছনে নিয়ে যেতে চায় একটি অশুভ শক্তি। এরা কারা? এরা হলো বিএনপি-জামায়াত। দুটি দলই পাকিস্তানের তৈরি। জামায়াতে ইসলামীর প্রতিষ্ঠাতা পাকিস্তানের মাওলানা মওদুদী আর বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান ক্যান্টনমেন্টে বসে পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইয়ের মাধ্যমে দল প্রতিষ্টা করেছেন। তাদের দলের নেতারা একাধিকবার বৈঠক করে বলেছেন, তারা একই মায়ের পেটের সন্তান। এরাই আজকে বাংলাদেশের উন্নয়ন-অগ্রগতি বাধাগ্রস্ত করার চক্রান্তে লিপ্ত রয়েছে।


তিনি বলেন, বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় থাকতে দেশকে সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদের চারণভূমি বানিয়েছিল। ইদানিংকালে তাদের নেতারা বেশ বড় বড় কথা বলছেন। সেই বিএনপি-জামায়াত এখন সরকার পতনের স্বপ্ন দেখছে। বিএনপি নেতারা বলছেন ক্ষমতা ছেড়ে দিতে। ক্ষমতা যেন মামার হাতের মোয়া- চাইলেই দিয়ে দিলাম। আওয়ামী লীগ বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া দল, কচু পাতার ওপর পানি নয়। আওয়ামী লীগের শেকড় বাংলার মাটির অনেক গভীরে। চাইলেই আওয়ামী লীগকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়া যায় না।


বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় থাকতে দেশকে কিছু দিতে পারেনি মন্তব্য করে আওয়ামী লীগ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, ২০১৩, ২০১৪ ও ২০১৫ সালে আন্দোলনের নাম করে সারাদেশে তাণ্ডব চালিয়ে মানুষ হত্যা করেছে। সেই সময় কিভাবে সারা দেশে তারা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করেছিল জাতি এসব ভুলেনি। এরা দেশকে কখনোই ভালো কিছু দিতে পারেনি। নিজেরা ক্ষমতায় নেই বলে তাই এখন বিদেশিদের কাছে ধরণা দিচ্ছে, মিথ্যাচার করে বেড়াচ্ছে।


হানিফ বলেন, তাদের নেতা তারেক রহমান সন্ত্রাসী। হত্যা খুনের দায়ে পলাতক। একজন চোর, খুনির কাছে বিএনপি নেতারা ক্ষমতা তুলে দিতে চান। বাংলার মানুষ চোর, সন্ত্রাসীদের ক্ষমতায় দেখতে চায় না। এই দেশের মানুষ কোনো খুনির হাতে ক্ষমতা তুলে দিবে না। যার কারণে আন্দোলনে মানুষের সমর্থন নেই।


২০০৭ সালে শেখ হাসিনাকে রাজনীতি থেকে সরিয়ে দেয়ার ব্যর্থ চেষ্টা হয়েছিল মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের এই সিনিয়র নেতা বলেন, ২০০৭ সালে মাইনাস টু ফর্মুলা হয়েছিল। শেখ হাসিনাকে রাজনীতি থেকে মাইনাস করার চেষ্টা হয়েছিল। জনগণের আন্দোলনের মুখে ষড়যন্ত্রকারীরা পিছু হটতে বাধ্য হয়েছিল। এই ঘটনার পুনরাবৃত্তি বাংলার মাটিতে আর হবে না। এটা ২০০৭ সাল নয়; ২০২৩ সাল। যেকোনো অপতৎপরতা প্রতিহত করার জন্য আওয়ামী লীগের লাখ লাখ কর্মী প্রস্তুত আছে।


নির্বাচন বানচাল করার জন্য বিএনপি-জামায়াত বা অন্য কেউ কোনো ষড়যন্ত্র করলে রাজপথে মোকাবেলা করে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে- বলেন তিনি।


আব্দুল্লাহ আল হারুন চৌধুরী নিরহংকার মানুষ ছিলেন উল্লেখ করে হানিফ বলেন, তিনি গণমানুষের নেতা। মানুষের পাশে থেকে রাজনীতি করেছেন। দেশ ও জাতির জন্য তিনি আজীবন কাজ করে গেছেন।


স্মরণসভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের অর্থ ও পরিকল্পনা বিষয়ক সম্পাদক ওয়াসিকা আয়েশা খান এমপি, ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন।


বিবার্তা/সোহেল/রোমেল/এমজে

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com