বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলা দিয়ে বন্দি করে রেখেছে। আজকে তিনি হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন। উন্নত চিকিৎসার কোনো ব্যবস্থা হচ্ছে না। ডাক্তাররা বলছেন, তাকে বাচাঁতে হলে তাড়াতাড়ি তার লিভার ট্রান্সফার করা দরকার সেটা বিদেশ ছাড়া সম্ভব নয়।
তিনি বলেন, পরিস্কার করে বলতে চাই অভিলম্বে খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিয়ে বিদেশে চিকিৎসা করার সুযোগ দিতে হবে। অন্যথায় সকল দায় দায়িত্ব সরকারকে নিতে হবে।
১৭ সেপ্টেম্বর, রবিবার বেলা পৌনে ১২টায় বগুড়া থেকে রোডমার্চ শুরুর পূর্ব সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
বগুড়া ও নওগাঁ হয়ে রাজশাহী গিয়ে শেষ হবে বিএনপির তিন সংগঠনের তারুণ্যের এই রোডমার্চ। আদমদিঘী, নওগাঁ, মান্দা এলাকায় তিনটি পথসভা হবে। রোডমার্চ শুরুর আগে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ হয়েছে। শেষে আরেকটি সংক্ষিপ্ত সমাবেশ হবে।
মির্জা ফখরুল বলেন, বাংলাদেশের মানুষ যাকে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব দিয়েছিলেন আপনাদেরই সন্তান, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান। তিনি বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। স্বাধীনতার ৫২ বছর পরে সংগ্রাম করতে হচ্ছে, লড়াই করতে হচ্ছে কেন? ভোটের অধিকার, মানুষের অধিকার, ভাতের অধিকারের জন্য। চাল দাম কত এখন ৭০/৮০ টাকা তাই না? চাল, ডাল, তেল প্রত্যেকটা জিনিসের দাম আকাশচুম্বী। বিদ্যুৎ দাম তিনি চার বার করে বাড়ানো হচ্ছে।
তিনি বলেন, এই সরকার শুধু দ্রব্যমূল্যের দাম কমাতে ব্যর্থ হয়েছে শুধু তাই নয়, এই সরকার রাষ্ট্র পরিচালনা করতে ব্যর্থ হয়েছে। সরকার চুরি করে দেশকে ফোকলা করে দিয়েছে। সবচেয়ে বড় চুরি করেছে আমাদের ভোটের অধিকার চুরি করেছে। আবারও তারা চুরি করে ক্ষমতায় আসতে চায়। পারবে এবার ভোট চুরি করতে। উপস্থিত জনতা সমস্বরে বলেন ‘না’।
মির্জা ফখরুল বলেন, কেউ আমাদের দিয়ে দেবে না। আমাদের নিতে হবে। সরকারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে।
তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনাকে সরাতে হবে, তিনি ক্ষমতায় থাকলে কোনদিনই নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না। এসময় জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠার কথা বলেন তিনি।
রোডমার্চ থেকে এই বার্তাই দিতে চাই আসুন জেগে উঠুন। এই সরকারকে পরাজিত করুন।
এসময় বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠক আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, যুবদলের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম মিল্টন, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এসএম জিলানী, সাধারণ সম্পাদক রাজিব আহসান ও ছাত্রদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রাশেদ ইকবাল খান, সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েলসহ জেলার নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
বিবার্তা/এমই/জবা
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]