খালেদা-তারেক আন্তর্জাতিক স্বীকৃতিপ্রাপ্ত দুর্নীতিবাজ: শেখ পরশ
প্রকাশ : ২৮ আগস্ট ২০২৩, ২১:২২
খালেদা-তারেক আন্তর্জাতিক স্বীকৃতিপ্রাপ্ত দুর্নীতিবাজ: শেখ পরশ
বিবার্তা প্রতিবেদক
প্রিন্ট অ-অ+

আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ বলেছেন, খালেদা জিয়া এতিমদের টাকা আত্মসাৎ করে দণ্ডিত আসামী। তাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়া ২১ আগস্ট ও মানি লন্ডারিং মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামী। সেই লন্ডারিং এর টাকা বিদেশ থেকে উদ্ধার করে ফেরতও আনা হয়েছে। সুতরাং এ ব্যাপারটা দিবালোকের মতো পরিষ্কার। তারা আন্তর্জাতিক স্বীকৃতিপ্রাপ্ত দুর্নীতিবাজ।


সোমবার (২৮ আগস্ট) বিকাল ৩টায় বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ২ সেপ্টেম্বর বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা কর্তৃক ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে’র শুভ উদ্বোধন কার্যক্রম ও সুধী সমাবেশ সফল করার লক্ষ্যে যুবলীগের উদ্যোগে প্রস্তুতি সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।



প্রস্তুতি সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন-বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম এমপি। সঞ্চালনা করেন-বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল।


শেখ ফজলে শামস্ পরশ বলেন, আপনারা জানেন আগামী ২ সেপ্টেম্বর আমাদের প্রাণপ্রিয় নেত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ঢাকায় পুরাতন বাণিজ্য মেলার মাঠে এক বিশাল সুধী সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখবেন। প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে এটা নিশ্চয়ই আমাদের জন্য অত্যন্ত আনন্দের এবং গর্বের ব্যাপার। একদিকে এই ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে যেমন আওয়ামী লীগ সরকারের চলমান উন্নয়নের আরেকটা বিশাল মাইলফলক, অন্যদিকে যুবলীগের কর্মী হিসেবে আমাদের জন্য নেত্রীর সমাবেশ সফল করার সুযোগ এবং তাঁর দিকনির্দেশনা সম্পন্ন বক্তব্য শুনতে পারা পরম সৌভাগ্যের ব্যাপার বলে আমরা মনে করি। তাই তাঁর এই সমাবেশটি সফল করার লক্ষ্যে আমরা বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ দৃঢ় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।


তিনি বলেন, আমরা যুবলীগ এই সমাবেশের মাধ্যমে আমাদের সর্বোচ্চ শক্তি প্রদর্শন এবং সহযোগিতা দিয়ে এই সমাবেশটি বিশাল জনসমুদ্রে পরিণত করবো। এই ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের মাধ্যমে ঢাকা মহানগরের পাশ্ববর্তী সকল জেলা উপকৃত হবে। ২রা সেপ্টেম্বরের এই সুধী সমাবেশ থেকে ৩টি বিষয় প্রতিষ্ঠিত হবে, (১) বিশ্বমন্দা মোকাবিলায় বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা’র বিশ্বব্যাপী আকাশচুম্বী জনপ্রিয়তা এবং সফলতা; এবং সঙ্গত কারণে তাঁর প্রতি বিশেষ করে ঢাকা বিভাগের জনগণের আকর্ষণ এবং অকৃত্রিম ভালবাসা। (২) যে কোন নির্বাচনে ঢাকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। লোকে বলে, যে দল ঢাকায় ভাল ফলাফল করে, সেই দলই নির্বাচন জয়ী হয়। তাই এই সমাবেশের মাধ্যমে আমরা আমাদের প্রিয় নেত্রীকে আশ্বস্ত করতে চাই, ঢাকা থেকে তিনি আগামী নির্বাচনে সর্ব উৎকৃষ্ট ফলাফল আশা করতে পারবে। (৩) তাঁর বিশ্বস্ত এবং শক্তিশালী ভ্যানগার্ড হিসাবে যুবলীগের সর্বোচ্চ ভূমিকা প্রমাণ করবে যে যুবলীগ শুধু এই সমাবেশ না, যে কোন কর্মসূচি বাস্তবায়নে সর্বশক্তি দিয়ে আত্মনিয়োগ করবে এবং আগামী নির্বাচনে নৌকার জয় নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ জননেত্রীর শক্তিশালী ভ্যানগার্ড হিসেবে মুখ্য ভূমিকা পালন করবে। সেকারণে, এই সুধী সমাবেশ সফল করার জন্য আপনাদের সর্বোচ্চ সহযোগিতা আমরা চাচ্ছি। আজকের এই প্রস্তুতি সভার পর আপনারা নিজ নিজ ইউনিট এবং এলাকায় গিয়ে সর্বোচ্চ এবং সর্ব উৎকৃষ্ট প্রস্তুতি গ্রহণ করবেন। এই সমাবেশকে চ্যালেঞ্জ হিসাবে নিতে হবে।


পরশ বলেন, এই সমাবেশে শক্তি প্রদর্শন এবং জনসম্পৃক্ততা সৃষ্টির মাধ্যমে আমরা বিরোধী শক্তিকে জানাতে চাই যে, নির্বাচন পর্যন্ত রাজপথ থাকবে আওয়ামী লীগ ও আওয়ামী যুবলীগের দখলে। তাই আমার নির্দেশ, আপনাদের সর্বোচ্চ জনবল নিয়ে এই সমাবেশে যোগদান করার প্রস্তুতি আজ থেকেই আপনারা নিবেন।


তিনি আরও বলেন, বর্তমান জটিল রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটে বিএনপির কোন নেতা রাষ্ট্র পরিচালনা করার কোন যোগ্যতা নাই, দক্ষতা নাই, সক্ষমতা নাই। না আছে খালেদা জিয়ার, না আছে তাঁর গুণধর পুত্র তারেক জিয়ার। তারা দুইজনই অযোগ্যঃ শুধুমাত্র অযোগ্য তা না, দক্ষতার অভাবও অযোগ্যতার অন্যতম কারণ। নির্বাচনে যাওয়ার পথও তাদের নাই।


তিনি আরও বলেন, আজকের এই পর্যায়, এই মধ্যম আয়ের দেশ পরিচালনা করতে যেই যোগ্যতা লাগে তাদের তা নাই। এই যোগ্যতা অর্জন করতে হলে রাষ্ট্র পরিচালনার দক্ষতা থাকতে হয়। দক্ষতা নাই বলে নেতিবাচক রাজনীতির দিকে বিএনপি ধাবমান। তাই তারা এ দেশকে ধ্বংস করার এজেন্ডা হাতে নিয়েছে, ভেবেছে হত্যা, ক্যু, নৈরাজ্য সৃষ্টি করে বিদেশী প্রভুদের দৃষ্টি আকর্ষণ করা যাবে। কিন্তু বিদেশী প্রভুরা বলে দিয়েছে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ব্যাপারে তাদের বলার কিছু নাই, তারা হস্তক্ষেপ করবে না।



বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম এমপি বলেন, আগামী ২ সেপ্টেম্বর আওয়ামী লীগের সুধী সমাবেশকে সফল করতে যুবলীগের এই আয়োজনকে ধন্যবাদ জানাই। আপনারা লক্ষ্য করেছেন আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনগুলো বড় বড় সমাবেশ করছে। এই জনসমাবেশগুলো করা হয় দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রকারীদের দাঁত ভাঙ্গা জবাব দেওয়ার জন্য। আপনারা জানেন, বিএনপি-জামাতের শাসনামালে আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের নেতা-কর্মীদের ওপর কি অমানবিক অত্যাচার চালিয়েছে। যুবলীগের অগ্রযাত্রাকে ব্যহত করতে পার্টি অফিসে ঢুকে যুবলীগের নেতা-কর্মীদের গ্রেফতার করেছে। বাড়ি ঘরে থাকতে দেওয়া হয় নাই। কিন্তু এই ১৫ বছরে বিএনপির নেতারা আছে সবচেয়ে সুখে। তারা তাদের এসি রুমে ঘুমায়, আরাম আয়েশে ব্যবসা-বাণিজ্য করছে।


তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগকে বিপদে ফেলতে তারেক রহমান যে কোন সময় খালেদা জিয়াকে মেরে ফেলতে পারে। কারণ তারেক রহমান একজন বিভৎস মানুষ। যে কোন জঘণ্য কাজ করতে পারে। এজন্য যুবলীগকে সদা সর্বদা সজাগ থাকতে হবে যেন বিএনপি-জামাত কোন ধরণের ষড়যন্ত্র করতে না পারে।


সঞ্চালকের বক্তব্যে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা’র প্রতিটি পদক্ষেপই এদেশের মানুষের কল্যাণের জন্য, এদেশের উন্নয়নের জন্য। স্বপ্নের পদ্মাসেতু, রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র, চট্টগ্রামে কর্ণফুলী নদীর তলদেশে বঙ্গবন্ধু টানেল, স্বপ্নের মেট্রোরেল, মহাকাশে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট, সর্ব সাধারণের জন্য সার্বজনীন পেনশন, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল, স্বপ্নের এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে আজ বাস্তবায়িত।


তিনি আরও বলেন, খুনি জিয়াউর রহমান ও তার পরিবার এদেশের অর্থ বিদেশে পাচার করে, দেশে জঙ্গিবাদ সৃষ্টি করে, ছাত্র-সমাজ-যুবসমাজ ধ্বংস করেছে অস্ত্র দিয়ে, অবৈধ টাকা দিয়ে। ২০০১ সাল থেকে ২০০৬ সাল এদেশের সাধারণ মানুষের উপর অত্যাচার চালিয়েছে বিএনপি-জামাত। হাজার হাজার আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের হত্যা করেছে। শুধু তাই নয় সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচার, ধর্ষণ, তাদের বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট করেছে বিএনপি-জামাত। তিনি যুবলীগের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, আবার বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা’র নেতৃত্বে এগিয়ে যাওয়ার বাংলাদেশকে বাধাগ্রস্ত করতে নানা মুখী ষড়যন্ত্র করছে বিএনপি-জামাত। আগামী ২ সেপ্টেম্বরের মহাসমাবেশের মাধ্যমে বিএনপি-জামাতের সকল ষড়যন্ত্রের দাঁত ভাঙ্গা জবাব দিবে যুবলীগ।


এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাড. মামুনুর রশীদ, ডা. খালেদ শওকত আলী, মোঃ হাবিবুর রহমান পবন, মোঃ মোয়াজ্জেম হোসেন, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সুব্রত পাল, মুহাম্মদ বদিউল আলম, ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নাঈম, মোঃ রফিকুল আলম জোয়ার্দার সৈকত, সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী মোঃ মাজহারুল ইসলাম, মোঃ সাইফুর রহমান সোহাগ, মোঃ জহির উদ্দিন খসরু, মোঃ সোহেল পারভেজ, আবু মুনির মোঃ শহিদুল হক চৌধুরী রাসেল, মশিউর রহমান চপল, ঢাকা মহানগর যুবলীগ উত্তরের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জাকির হোসেন বাবুল, দক্ষিণের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাইন উদ্দিন রানা, উত্তরের সাধারণ সম্পাদক মোঃ ইসমাইল হোসেন, দক্ষিণের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক এইচ এম রেজাউল করিম রেজা, কেন্দ্রীয় যুবলীগের প্রচার সম্পাদক জয়দেব নন্দী, দপ্তর সম্পাদক মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান মাসুদ, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক মোঃ সাদ্দাম হোসেন পাভেল, সাংস্কৃতিক সম্পাদক বিপ্লব মুস্তাফিজ, জনশক্তি ও কর্মসংস্থান বিষয়ক সম্পাদক শাহীন মালুম, ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক মোঃ নিজাম উদ্দিন চৌধুরী পারভেজ, ধর্ম সম্পাদক মাওলানা খলিলুর রহমান সরদার, উপ-দপ্তর সম্পাদক মোঃ দেলোয়ার হোসেন শাহজাদা, উপ-গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক অ্যাড. শেখ নবীরুজ্জামান বাবু, উপ-বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক মোঃ রাশেদুল হাসান সুপ্ত, উপ-তথ্য ও যেগাযোগ প্রযুক্তি সম্পাদক এন আই আহমেদ সৈকত, উপ-ধর্ম সম্পাদক হরে কৃষ্ণ বৈদ্যসহ কেন্দ্রীয় মহানগর ও বিভিন্ন ওয়ার্ড যুবলীগের নেতৃবৃন্দ।


বিবার্তা/সোহেল/এমজে

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com