যুগপৎ ধারার গণআন্দোলনেই দুর্নীতিবাজ সরকারের বিদায় ঘণ্টা বাজবে বলে মন্তব্য করেছেন গণফোরাম (একাংশের) সাধারণ সম্পাদক সুব্রত চৌধুরী।

তিনি বলেন, কোন ধরনের সহিংসতা ছাড়া, হরতাল-অবরোধ না দিয়ে জনগণ বিশেষ করে তরুণ সম্পৃক্ত করে, বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষের সম্পৃক্ততায় রাজপথ কাঁপানো আন্দোলনের পদধ্বনি শোনা যাচ্ছে।

১৫ জুলাই, শনিবার বিকেলে গণফোরাম কেন্দ্রীয় কার্যালয় দেশের চলমান সংকট উত্তরণে ও জাতীয় রাজনীতিতে ইতিবাচক ভূমিকা রাখা এবং গণফোরামকে তৃণমূলে সুসংগঠিত করার লক্ষ্যে যৌথ সাংগঠনিক সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

সুব্রত চৌধুরী বলেন, যুগপৎ ধারায় বৃহত্তর গণ-আন্দোলনের এক দফা বাংলাদেশের জনগণের ভোটাধিকার হরণকারী বর্তমান ফ্যাসিবাদী, কর্তৃত্ববাদী অবৈধ সরকারের পদত্যাগ ও বিদ্যমান অবৈধ সংসদের বিলুপ্তি; নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার গঠন ও নির্বাচন কমিশন পুনঃর্গঠন করে তার অধীনে অবাধ, নিরপেক্ষ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের ব্যবস্থা; বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াসহ সকল রাজবন্দির মুক্তি, মিথ্যা-গায়েবী মামলা প্রত্যাহার, ফরমায়েশি সাজা বাতিল এবং সংবিধান ও রাষ্ট্রব্যবস্থার গণতান্ত্রিক সংস্কারের মাধ্যমে জনগণের অর্থনৈতিক মুক্তি, ভোটাধিকার ও গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার দাবিতে রাজপথে সক্রিয় বিরোধী রাজনৈতিক জোট ও দলসমূহ যুগপৎ ধারায় ঐক্যবদ্ধ বৃহত্তর গণআন্দোলন গড়ে তুলতে বিএনপি সহ ৩৬ দল মিলে যে কর্মসূচি ঘোষণা করেছে তা বাস্তবায়নে গণফোরাম সর্বদা রাজপথে সক্রিয় থাকবে।

তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনা সরকারের অধীনে কোন নির্বাচনে যাবো না এমনকি বাংলাদেশে এই সরকারের অধীনে কোন নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না। ২০১৪ ও ২০১৮ সনে যে দুইটা অগ্রহণযোগ্য নির্বাচন হয়েছে তা সারাবিশ্বের কাছে বাংলাদেশের মান-মর্যাদা ও আত্মসম্মান ভূলুণ্ঠিত করেছে সেই কারণে আপনারা দেখবেন যে এই সরকারের অপকর্মের কারণে বিদেশি শক্তিগুলো বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করার সুযোগ পাচ্ছে। বাংলাদেশি হিসেবে এটা আমাদের জন্য অসম্মানজনক ও লজ্জার বিষয়।

সুব্রত চৌধুরী বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের পদত্যাগ ব্যতীত তাদের সাথে কোন সংলাপ হবে না কারণ এই সরকার মানুষের সাথে প্রতারণা করেছে প্রবঞ্চনা করেছে। সর্বশেষ ১০ মাসে জনগণের ভোটাধিকার পুনরুদ্ধারের যে আন্দোলন হয়েছে তা অসাধারণ এটা আমাদের রাজনৈতিক আন্দোলনে একটি নতুন প্রেক্ষাপট সৃষ্টি করেছে।

এসময় গণফোরাম নির্বাহী সভাপতি অ্যাডভোকেট এ.কে.এম. জগলুল হায়দার আফ্রিক, অ্যাডভোকেট মহিউদ্দিন আব্দুল কাদের, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আইয়ুব খান ফারুক, সাংগঠনিক সম্পাদক মুহাম্মদ রওশন ইয়াজদানী, তথ্য ও গণমাধ্যম সম্পাদক মুহাম্মদ উল্লাহ মধু, ঢাকা জেলা গণফোরামের সভাপতি আব্দুল হামিদ মিয়া, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের- সভাপতি হাবিবুর রহমান বুলু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কামাল উদ্দিন সুমন, সদস্য এস.এম. অয়ন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

বিবার্তা/এমই/সউদ