শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান বলেছেন, শ্রম আইন সংশোধন একটি চলমান প্রক্রিয়া। শ্রমিকের স্বার্থ সংরক্ষণ, শ্রমিক-মালিক সুসম্পর্ক নিশ্চিতকরণ এবং উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির জন্য বাংলাদেশ শ্রম আইনকে যুগোপযোগী করার প্রয়োজন আছে। যত অল্প সময়ের মধ্যে সম্ভব সরকার, মালিক-শ্রমিক সবাই মিলে ঐক্যমতের ভিত্তিতে বিদ্যমান শ্রম আইনকে যুগোপযোগী করা হবে।

সোমবার (২৯ মে) খুলনা মহানগরীর বিভাগীয় শ্রম দপ্তরের সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ শ্রম আইন-২০০৬ (সংশোধিত-২০১৮) পুনরায় সংশোধন বিষয়ে জাতীয় কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

খুলনা বিভাগীয় শ্রম দপ্তর বাংলাদেশ শ্রম আইন-২০০৬ (সংশোধিত-২০১৮) এর সংশোধন বিষয়ে দুই দিনব্যাপী এই কর্মশালার আয়োজন করে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রণালয়ের সচিব এহছানে এলাহী বলেন, যে কোনো আইন মানুষের জন্য। মানুষের কল্যাণে তা যুগোপযোগী করার প্রয়োজন হয়। শ্রম আইন সংশোধনকল্পে গঠিত ওয়ার্কিং কমিটিগুলো ভালোভাবে কাজ করছে। প্রয়োজনীয় ধারা-উপধারা যুগোপযোগী করে এটি ল-রিভিউ কমিটির মাধ্যমে খুব শীঘ্রই টিসিসিতে নেওয়া হবে বলে সচিব জানান।

শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব হাজেরা খাতুনের সভাপতিত্বে এবং খুলনা বিভাগীয় শ্রম দপ্তরের পরিচালক মিজানুর রহমানের সঞ্চালনায় যুগ্মসচিব হুমায়ুন কবিরসহ ওয়ার্কিং কমিটির সদস্যগণ শ্রমিক প্রতিনিধি, মালিক প্রতিনিধি, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, শ্রম অধিদপ্তর এবং কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেন।

বিবার্তা/সউদ/নিলয়