শিগগিরই গণঅভ্যুত্থান হবে: খন্দকার মোশাররফ
প্রকাশ : ২৮ মার্চ ২০২৩, ১৪:৫৮
শিগগিরই গণঅভ্যুত্থান হবে: খন্দকার মোশাররফ
বিবার্তা প্রতিবেদক
প্রিন্ট অ-অ+

দেশে শিগগিরই গণঅভ্যুত্থান হবে বলে ক্ষমতাসীনদের প্রতি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন।


মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) জাতীয় প্রেসক্লাবে ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব) উদ্যোগে এক সভায় এ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন তিনি।


'মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে " স্বাধীনতার ৫২ বছর ও বিপর্যস্ত স্বাস্থ্য ব্যবস্থা" শীর্ষক এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।


তিনি বলেন, আজকে বাংলাদেশের জনগণ ক্ষমতাসীন অবৈধ সরকারের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। কারণ তাদের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে, তারা মনে করে, এই সরকার কোনো কিছুই মেরামত করতে পারবে না। সেজন্যই জনগণের মধ্যে এই সরকারের বিরুদ্ধে আওয়াজ উঠেছে। গণতন্ত্র যারা হত্যা করেছে তারা গণতন্ত্র ফিরিয়ে দিতে পারবে না, যারা হত্যা করে তারা অর্থনীতি মেরামত করতে পারবে না। ব্যবস্থা যারা বিপর্যয়ের দিকে ঠেলে দিয়েছে তারা স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে নতুন করে সাজাতে পারবে না। অতএব তাদেরকে যত দ্রুত বিদায় করা যায় ততই জাতি এবং দেশের জন্য কল্যাণকর।


পেশাজীবীদের উদ্দেশে খন্দকার মোশশাররফ হোসেন বলেন, আমি জানি জনগণের সঙ্গে আপনাদের সম্পর্ক রয়েছে। আপনারা যার যার অবস্থান থেকে এই সরকারকে যত দ্রুত সরিয়ে দেওয়া যায়, এই সরকারের হাত থেকে দেশের মানুষকে যত দ্রুত মুক্ত করা যায় ততই মঙ্গল। এই ধরনের সরকার আপসে ক্ষমতা ছাড়ে না তাই এ সরকারকে যদি হঠাতে হয়, একটি গণঅভ্যুত্থান প্রয়োজন। গণঅভ্যুত্থান তখনই সম্ভব হয় যখন সকল পেশাজীবী সংগঠন, জনগণ, সকলে ঐক্যবদ্ধভাবে গণঅভ্যুত্থান সফল করে। ইনশাল্লাহ সেই গণঅভ্যুত্থান অতি দ্রুত এদেশে হবে। সেখানে অভ্যুত্থানে জায়গার অবস্থান থেকে অবদান রাখার আহ্বান জানান তিনি।


তিনি বলেন, যে দেশে গণতন্ত্র নাই, সে দেশে মানবাধিকার থাকতে পারে না। কারণ এই দেশে গণতন্ত্র নেই, এ দেশে হাইব্রিড সরকার দ্বারা পরিচালিত। আমরা শুধু বলছি না। আজকে সারা বিশ্ব বলছে।


মোশাররফ বলেন, স্বাস্থ্য ব্যবস্থার কি যে বিপর্যয় হয়েছে গত ১৪ বছরে! আমি এই মন্ত্রণালয় পাঁচ বছরে মন্ত্রী থাকার কারণে আমি দেখেছি। এই সেক্টরে কি ছিল, কি হয়েছে। আমাদের কি পরিকল্পনা ছিল, পরে ১৪ বছর কি পরিমাণ বিপর্যস্ত অবস্থা! সরকারি হাসপাতালগুলোতে সাধারণ মানুষ চিকিৎসা পাচ্ছে না। কিসের জন্য স্বাস্থ্য ব্যবস্থা পরিকল্পিতভাবে ধ্বংস করা হয়েছে, ধ্বংস হয়েছে কেনো ? সবকিছু দলীয়করণ করার কারণে। দক্ষ, মেধাবী চিকিৎসক ভালো জায়গায় অবস্থান দেয় না। আর যাদের তেমন কোনো দক্ষতা নেই, তাদেরকে ভালো জায়গায় দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। শুধু একটি দলের কর্মী কারণে তাদেরকে গুরুত্বপূর্ণ জায়গা দায়িত্ব দিয়ে সকল স্বাস্থ্য ব্যবস্থা পুরোপুরি ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে।


তিনি বলেন, আমরা আশা করি যার যার অবস্থান থেকে এই সরকারকে যত দ্রুত সরিয়ে দেওয়া যায়। এই সরকার হাত থেকে দেশের মানুষকে যত দ্রুত মুক্ত করা যায়। ততই মঙ্গল। এই ধরনের সরকার কিন্তু ক্ষমতা ছাড়ে না। এই সরকারকে ফেলাতে হয় একটা গণ অভ্যুত্থানের মাধ্যমে। কোনো অভ্যুত্থান তখনই সফল হয়। যখন সকলকে পেশাজীবী সংগঠন জনগণ ঐক্যবদ্ধভাবে শরিক হয়। ইনশাল্লাহ সেই গণঅভ্যুত্থান হবে।


আয়োজন সংগঠনের সভাপতি অধ্যাপক ডা. হারুন আল রশিদের সভাপতিত্বে ও মহাসচিব ডা. মো. আব্দুস সালামের সঞ্চালনায় সভায় আরও বক্তব্য দেন বিএনপির ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান, পেশাজীবী পরিষদের সদস্যসচিব কাদের গণি চৌধুরী, ড্যাবের সিনিয়র সহ-সভাপতি ডা. এম এ সেলিম, কোষাধ্যক্ষ ডা. জহিরুল ইসলাম শাকিল, সহসভাপতি মোস্তাক রহিম স্বপন, অধ্যাপক ডা. মো মোসাদ্দেক হোসেন বিশ্বাস ডাম্বেল, সেলিম ভূঁইয়া, ড্যাবের সহসভাপতি ডা শহীদ হাসান, ডা. মো. সিরাজুল ইসলাম কেন্দ্রীয় নেতা ডা. পারভেজ রেজা কাকন, ডা. মো. মেহেদী হাসান, ডা. সরকার মাহবুব আহমেদ শামীম, ডা. সায়ীদ মেহবুব উল কাদির, ডা. আদনান হাসান মাসুদ প্রমুখ।



বিবার্তা/কিরন/এনএস


সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com