
সুপ্রিম কোর্টের বারের নির্বাচনের কথা উল্লেখ করে গণতন্ত্র মঞ্চ বলেছে, সুপ্রিম কোর্টের বারের নির্বাচনে মাধ্যমে আরো স্পষ্ট হয়েছে যে- এই সরকারের অধীনে জাতীয় সংসদ নির্বাচন তো দূরের কথা, পাড়ার ক্লাবেরও সুষ্ঠু নির্বাচন করা সম্ভব নয়। ১৮ মার্চ, শনিবার রাজধানীর পল্টন মোড়ে গণতন্ত্র মঞ্চের উদ্যোগে আয়োজিত এক প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তারা এসব কথা বলেন।
'অবৈধ সরকারের পদত্যাগ, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অধীনে নির্বাচন এবং সংবিধান সংস্কারের লক্ষ্যে এবং দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতি, দফায় দফায় বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধি ও তিস্তার পানি প্রত্যাহার বন্ধে সরকারের ব্যর্থতার প্রতিবাদে' এ সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।
সভাপতির বক্তব্যে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন বলেন, সরকার রাতের অন্ধকারে বিরোধী দলের কর্মীদের তুলে নিয়ে মুখ বন্ধ করার ষড়যন্ত্রে নেমেছে। এই সরকার মুখে সংবিধানের কথা বলে জন মানুষের অধিকার কেড়ে নেয়াতেই ব্যস্ত। দেশের স্বার্থের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করে ভারতের তিস্তার পানি সরিয়ে নেয়ার কোনো প্রতিবাদ তারা করে না। এই জালিম সরকারের বিরুদ্ধে চলমান আন্দোলনের আগামী কর্মসূচি শিগগিরই জানিয়ে দেয়া হবে।
নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, সুপ্রিম কোর্টের বার নির্বাচনে পুলিশ দিয়ে সরকার যা করেছে- সেটা দেশের ইতিহাসের একটা কলঙ্কজনক অধ্যায়। দ্রব্যমূল্য সহনীয় করার কোনো ইচ্ছাই এই সরকারের নাই। কারণ সরকার নিজেই একটা সিন্ডিকেট। দ্রব্যমূল্য তারা বাড়াতেই থাকবে। এর বিরুদ্ধে লড়াই করাটাই একমাত্র পথ। দেশের জনগণ ও সমগ্র বিশ্বমানবতার কাছে এই চলমান আন্দোলনের সমর্থন চাই।
বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, সরকার দেশের স্বার্থ বিক্রি করে বিদেশি শক্তির হাতে দেশের সম্পদ তুলে দেয়ার খেলাই খেলছে। এই সরকার দেশ চালাতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ। তারা মানুষের ভাতের অধিকার আর ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়েছে।
যেই সরকার সুপ্রিম কোর্টের বার নির্বাচনে পুলিশ লাগিয়ে হাইজ্যাক করে নেয়, সেই সরকার দেশের সাধারণ নির্বাচন তো দূরে থাক একটা পড়ার সংগঠনেরও কোনো গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করতে সমর্থ্য না। সেজন্য এই সরকারকে বিদায় না করে দেশের মানুষের শান্তি নিশ্চিত করা সম্ভব না।
গণ অধিকার পরিষদের সদস্য সচিব নুরুল হক নুর বলেন, ৫ থেকে ৭টি বড় বড় শিল্পগোষ্ঠী বাজার নিয়ন্ত্রণ করছে। ভোজ্য তেল থেকে পোল্ট্রি মুরগি সব কিছুই সিন্ডিকেটের হাতে। সিন্ডিকেট ইচ্ছেমত দাম বাড়ায়। কারণ সরকার এই সিন্ডিকেটের থেকে চাঁদা নেয়। নুর বলেন, ফ্যাসিবাদের পতনে প্রয়োজন জনগণকে সাথে নিয়ে গণভবন ঘেরাও দেয়া হবে। শিগগিরই চূড়ান্ত আন্দোলন হবে। জনগণ এই আন্দোলনে বিজয়ী হবে।
সমাবেশে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপনের সভাপতিত্বে সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন গণসংহতি আন্দোলনের নির্বাহী সমন্বয়ক আবুল হাসান রুবেল, ভাসানী অনুসারী পরিষদ এর সদস্য সচিব হাবিবুর রহমান রিজু ও রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রচার ও মিডিয়া সমন্বয়ক সৈয়দ হাসিব উদ্দিন হোসেন। সভা পরিচালনা করেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি তৌফিক উজ জামান পীরাচা।
বিবার্তা/কিরণ/এমএ
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
পদ্মা লাইফ টাওয়ার (লেভেল -১১)
১১৫, কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ,
বাংলামোটর, ঢাকা- ১০০০
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]