১১ মার্চ মানববন্ধন কর‌বে গণতন্ত্র মঞ্চ
প্রকাশ : ০৪ মার্চ ২০২৩, ১৪:১১
১১ মার্চ মানববন্ধন কর‌বে গণতন্ত্র মঞ্চ
বিবার্তা প্রতিবেদক
প্রিন্ট অ-অ+

আগামী ১১ মার্চ ঢাকাসহ সারা দেশের সকল বিভাগীয় শহরে মানববন্ধন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে গণতন্ত্র মঞ্চ। শ‌নিবার (৪ মার্চ) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে গণতন্ত্র মঞ্চের উদ্যোগে সমাবেশে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু।


'সরকার ও শাষণ ব্যবস্থা পরিবর্তনের লক্ষ্যে ঐক্যবদ্ধ হোন ব্যানারে, বিরোধী মতের রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দকে দমন পীড়ন ও দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে' এ বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। বিক্ষোভ সমাবেশেরর পরে গণতন্ত্র মঞ্চের নেতৃবৃন্দের নেতৃত্বে পদযাত্রা প্রেসক্লাব থেকে শুরু হয়ে সেগুনবাগিচা হয়ে কাকরাইল মোড়ে গিয়ে শেষ হয়।


শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু বলেন, সরকার বিরোধীদলের নেতাকর্মীদের উপর জুলুম নির্যাতন করছে ও রমজানের আগেই সব কিছুর দাম বাড়িয়েছে। সিন্ডিকেট ব্যবসার জন্য সব কিছুর দাম বেড়েছে। সরকার বিদেশী ভারতীয় প্রভুকে খুশি করতে আদানী গ্রুপের সাথে চুক্তি করেছে।


তিনি বলেন, ইতিমধ্যেই সরকার সংলাপের বিষয়ে কথাবার্তা শুরু করেছে। আগে আপনাদের ঘোষণা দিয়ে পদত্যাগ করতে হবে, তাহলে আমরা বিবেচনা করবো আপনাদের সাথে আলোচনা যাবো কিনা। বিএনপির সাথে যুগপৎ আন্দোলন নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। অবিলম্বে আদানী গ্রুপের সাথে চুক্তি বাতিল করুন না হলে আমরা বৃহত্তর কর্মসূচি ঘোষণা করবো।


নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ১৮ সালে দিনের ভোট রাতে করার পরে এই সরকার দেশের ভেতরে ও বাইরে আন্তর্জাতিকভাবে ও সমালোচিত হয়েছে। এই সরকার আবারো বিদেশীদের বলছে, গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করবে। বিদেশীদের যতোই বোঝান আপনার অধীনে আমরা আর নির্বাচনে যাবো না। আমরা যেমন শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করতে পারি, তেমনি দূর্বার আন্দোলনও সৃষ্টি করতে পারি। আমাদের আন্দোলন দমিয়ে রাখতে বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের উপর হামলা মামলা করছে সরকার।


বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক কমরেড সাইফুল হক বলেন, আওয়ামী লীগ আজকেও বিরোধী দলের কর্মসূচির দিনে শান্তি সমাবেশের নামে পাল্টা কর্মসূচি দিয়েছে। এই ধরনের কর্মসূচি কে জনগণ নার্ভাস দলের কর্মসূচি নাম দিয়েছেন। সন্ত্রাস না করে আওয়ামী লীগ কোনভাবেই ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারবেন না। তারা ছাত্রীকে বিবস্ত্র করে সমস্ত বাংলাদেশ কে বিবস্ত্র করেছে। তাই তাদের বিদায় করা ছাড়া আর কোন উপায় নাই।


গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, আজকে আমরা যুগপৎ আন্দোলনের অংশ হিসেবে পদযাত্রা করছি। আমরা আজকে এমন একটি সরকার ব্যবস্থায় আছি যারা সমস্ত জিনিসপত্রের দাম বাড়িয়ে জনগণকে একটি ভয়াবহ পরিস্থিতির মধ্যে ঠেলে দিয়েছে। তারা কিভাবে হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাট করা যায় ও নিজেদের মধ্যে ভাগবাটোয়ারা করা যায় তা নিয়ে ব্যস্ত। তারা ভাবে তাদের হাতে দুটো অস্ত্র আছে, মানুষকে ভয়ভীতি ও হামলা মামলা করা।


'তাদের নিজস্ব বাহিনী লাঠিয়াল ছাত্রলীগকে লেলিয়ে দিয়েছে। কুস্টিয়ায়, চট্টগ্রামে, রাজশাহীসহ সব বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্যাতন করছে সাধারণ ছাত্রদের ভয় দেখানোর জন্য। গন অধিকার পরিষদের সদস্যদের উপর হামলা করেছে আবার উল্টো মামলা দিয়েছে। ক্ষমতা টিকিয়ে রাখার জন্য বিদেশীদের খুশি করছে। আমরা পরিস্কার করে বলতে চাই, এই বার আক্রমণ ও বিদেশীদের খুশি করে আর কমতায় থাকতে পারবে না। এবার সবাই ঐকৃবদ্ধ হয়ে রাস্তায় নেমে এসেছেন, তাই আর ক্ষমতায় থাকতে পারবেন না।'


ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলুর সভাপতিত্বে ভাসানী অনুসারী পরিষদের সদস্য সচিব হাবিবুর রহমান রিজু সঞ্চালনায় উপস্থিতি ছি‌লেন রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ুম, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডির) সাধারণ সম্পাদক শহিদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন, গণ অধিকার পরিষদের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদ খানসহ গণতন্ত্র মঞ্চের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ।


বিবার্তা/কিরণ/এমএ

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com