ঘূর্ণিঝড় মোখার পর কক্সবাজার সৈকতে নতুন চিত্র
প্রকাশ : ১৬ মে ২০২৩, ১১:২৮
ঘূর্ণিঝড় মোখার পর কক্সবাজার সৈকতে নতুন চিত্র
কক্সবাজার প্রতিনিধি
প্রিন্ট অ-অ+

ঘূর্ণিঝড় মোখা রবিবার দেশের সীমানা অতিক্রম করেছে। এর প্রভাব কেটে যাওয়ায় সোমবার সকাল থেকে কক্সবাজার সৈকতে পর্যটকদের আনাগোনা বাড়ছে। আজ, ১৬ মে, মঙ্গলবার সাগরে গোসল করতে নামছেন অনেকে। সৈকত ফিরে পেতে শুরু করেছে আগের চেহারা। 


ঘূর্ণিঝড় মোখার কারণে ১০ নম্বর মহাবিপৎসংকেত থাকায় কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে গত শনিবার বিকেল থেকে সমুদ্রে পর্যটকদের বিচরণ বন্ধ করে জেলা প্রশাসন। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসায় আজ সোমবার দুপুর থেকে পর্যটকেরা সমুদ্রের পানিতে গোসলের সুযোগ পাচ্ছেন।


সৈকতের সুগন্ধা পয়েন্টে গিয়ে দেখা গেছে, কয়েক শ পর্যটক সমুদ্রের পানিতে গোসল করছেন। সমুদ্রও কিছুটা উত্তাল রয়েছে। বালুচরে উড়ানো হচ্ছে লাল নিশানা। বালুচরে দাঁড়িয়ে অনেকে সমুদ্রের উত্তাল রূপ উপভোগ করছেন।


পর্যটকদের বসার জন্য বালুচরে বসানো হচ্ছে চেয়ার-ছাতার কিটকট। নামানো হচ্ছে ঘোড়া ও বিচবাইক। ঘোড়ার পিঠে ও বিচবাইকে চড়ে পর্যটকেরা সৈকতের এদিক-ওদিক ঘোরাফেরা করেন।


সমুদ্রের পানিতে নামা পর্যটকদের নজরদারিতে রাখার জন্য বালুচরে পৃথক তিনটি চৌকি বসিয়েছেন সি সেফ লাইফগার্ড প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা। কয়েকজন লাইফগার্ডের কর্মী পানিতে নেমে পর্যটকদের সতর্ক করছেন।


সি সেফ লাইফ গার্ডের সুপারভাইজার সিফাত সাইফুল্লাহ বলেন, সোমবার সকাল আটটা থেকে সৈকতে ভাটা শুরু হয়ে বেলা তিনটা পর্যন্ত চলে। এরপর জোয়ার শুরু হয়। ভাটার সময় স্রোতের টান বেশি থাকে। এ সময় গোসলে নামলে বিপদে পড়ার শঙ্কা থাকে। এ ছাড়া ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে সাগরও কিছুটা বিক্ষুব্ধ রয়েছে। এ কারণে পর্যটকদের সমুদ্রে নামতে নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে। গোসলে নামতে নিষেধ করে সৈকতে একাধিক লাল নিশানা উড়ানো হচ্ছে। কিন্তু অনেকে নিষেধাজ্ঞা মানছেন না। উত্তাল সমুদ্রে ঝাঁপ দিয়ে গোসল সেরেছেন পর্যটকেরা। বিশেষ করে বেলা তিনটার পর থেকে সৈকতে পর্যটকের সমাগম ঘটছে বেশি। সৈকতের কলাতলী থেকে লাবণী পর্যন্ত পাঁচ কিলোমিটারে অন্তত সাত হাজার মানুষের সমাগম ঘটেছে।


কক্সবাজার হোটেল গেস্টহাউস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সেলিম নেওয়াজ বলেন, শহরের পাঁচ শতাধিক হোটেলের দৈনিক ধারণক্ষমতা ১ লাখ ৮৭ হাজার। বর্তমানে অর্ধশতাধিক হোটেলে ৮ হাজারের মতো পর্যটক রয়েছেন। উত্তাল পরিবেশের সমুদ্রসৈকত দেখতে পর্যটকেরা উদ্‌গ্রীব হলেও নিরাপত্তার কারণে গত দুই দিন কাউকে সৈকতে নামতে দেওয়া হয়নি। আজ সকাল থেকে পর্যটকেরা সৈকতে নামছেন, গোসল করছেন। পর্যটক টানতে হোটেলমালিকেরা কক্ষভাড়ার বিপরীতে ৪০ শতাংশ পর্যন্ত ছাড় দিচ্ছেন।


জেলা প্রশাসনের পর্যটন শাখার দায়িত্বপ্রাপ্ত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাসুম বিল্লাহ জানান, দুই দিন বন্ধ থাকার পর আজ থেকে পর্যটকেরা সমুদ্রসৈকতে গোসলে নামার সুযোগ পাচ্ছেন। তবে বৈরী পরিবেশে সাগর উত্তাল থাকায় ঝুঁকি নিয়ে গোসলে নামতে পর্যটকদের নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে সতর্কতামূলক প্রচারণাও চালানো হচ্ছে।


বিবার্তা/এসবি

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com