শিরোনাম
কভিড-১৯: সংকটেও সম্ভাবনা
এনইউ অন-লাইন ক্লাসঃ উচ্চ-শিক্ষায় নতুন সম্ভাবনা (দ্বিতীয় পর্ব)
প্রকাশ : ১৬ অক্টোবর ২০২০, ১৫:৪৯
এনইউ অন-লাইন ক্লাসঃ উচ্চ-শিক্ষায় নতুন সম্ভাবনা (দ্বিতীয় পর্ব)
ড. মো. নাসির উদ্দীন মিতুল
প্রিন্ট অ-অ+

প্রিয় পাঠক, ‘কভিড-১৯: সংকটেও সম্ভাবনা’ শিরোনামে তিন পর্বের লেখার প্রথম পর্বে ‘মৌলিক অধিকারে সমতা কতদূরে?’ (http://www.bbarta24.net/opinion/130240) এর শেষাংশে উল্লেখ করেছিলাম ‘...মনে প্রশ্ন জাগে কভিড-১৯ আসলেই কি শুধু সমস্যা নিয়েই এলো? নাকি উন্মুক্ত করে দিলো নতুন সম্ভাবনার দ্বারও? বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত জানতে চোখ রাখতে অনুরোধ করেছিলাম ২য় পর্বে। আজ তাই দ্বিতীয় পর্বে ‘এনইউ অন-লাইন ক্লাসঃ উচ্চ শিক্ষায় নতুন সম্ভাবনা’ শিরোনামে বাস্তবতার নিরিখে আমার সাম্প্রতিক অভিজ্ঞতার আলোকে লেখাটি প্রকাশ করলাম।


করোনা প্রতিরোধে বা করোনা থেকে জীবন বাঁচাতে যেমনি প্রতিক্ষণ-প্রতিনিয়ত নিত্য-নতুন ওষুধ আর ভ্যাকসিনের কথা শোনা যাচ্ছে। ঠিক করোনার প্রভাবে স্থবির শিক্ষাখাত রক্ষার্থেও তেমনি নানামুখী পদক্ষেপের কথা সর্বত্র আলোচনা হচ্ছে। করোনার গতি-প্রকৃতি যেমন ভ্যাকসিন রুখে দিতে পারে। উচ্চ-শিক্ষায় সেশনজটের গতিও তেমনি অন-লাইনের মাধ্যমে রুখে দেয়া সম্ভব। তাই মহাপরিকল্পনা নিয়ে এখনই সংশ্লিষ্টদের এগিয়ে আসতে হবে। বিলম্বে বিপদ বাড়বে।


ইতিবাচক ধারায় থাকলে এই মহামারির মধ্যেও ক্ষতি পুষিয়ে নেয়া সম্ভব। যেহেতু ভ্যাকসিন আসার আগে শিক্ষা- প্রতিষ্ঠান পুরোপুরি খুলছে না তাই এ দীর্ঘ সময় শিক্ষার্থীদের বসে থাকার কোনো সুযোগ নেই। ইতোমধ্যে দেশের প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অন-লাইন শিক্ষা-কার্যক্রম জোড়দার করা হয়েছে। প্রাথমিক, মাধ্যমিক বা উচ্চ মাধ্যমিকের পড়াশোনা নিয়ে সরকারিভাবে যে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে তা এখনো পর্যন্ত সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য হিসেবে বিবেচিত। কারণ, দেশব্যাপী শিক্ষার্থীদের কাছে পৌছাতে সরকার বিভিন্ন পদ্ধতি চালু করেছে। তার মধ্যে অনলাইনে শিক্ষাদান, ভিডিও লেকচার, টিভি বা রেডিওতে সম্প্রচার ইত্যাদি বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।


সকলেই মহামারির শুরুতে মনে করেছিল প্রচলিত শিক্ষাদানের বিকল্প হিসেবে এগুলি হয়তো কিছুদিন ভালোই চলবে। তারপর আবার প্রচলিত ধারায় ফিরে আসবে। এমনটি মনে করার আবার যথেষ্ট কারণ-ও ছিল। রেডিও, টেলিভিশন, ইন্টারনেট এগুলি বহু পুরনো মাধ্যম হওয়া সত্ত্বেও শিক্ষা কার্যক্রমে এর ভূমিকা খোদ উন্নত দেশেই ততটা কার্যকরী ছিল না। ফলে বাংলাদেশের মতো জনবহুল দরিদ্র দেশে সাধারণ স্কুল-কলেজে এসব মাধ্যমে শিক্ষাদান করা এবং এর তাৎক্ষনিক সুফল আশা করা কতটা যুক্তিযুক্ত হবে, সে প্রশ্ন থেকেই যায়। তবুও থেমে থাকার কোনো সুযোগ নেই। কারণ ধীরে ধীরে সেশনজট প্রকট হচ্ছে। দেশের পলিসি-মেকারসহ শিক্ষা পরিবারের সাথে যুক্ত প্রত্যেকের চিন্তা এখন কি করে এ থেকে পরিত্রাণ পাওয়া যায়?


জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে (এনইউ) দেশের সবচেয়ে বেশি সংখ্যক শিক্ষার্থী অধ্যয়ন করে। উচ্চ-শিক্ষার সূতিকাগার বলা হয় এটিকে। কারণ দেশের ৭০ শতাংশ দরিদ্র ও নিম্ন-মধ্যবিত্তের সন্তান এখানে পড়াশোনা করে। শিক্ষার্থী বিবেচনায় এটি বিশ্বে পঞ্চম বৃহত্তম বিশ্ববিদ্যালয়। বর্তমানে এর অধীনে ২২৬০টি শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানের অধিভুক্তি রয়েছে, যেখানে ২৯ লক্ষ ১০ হাজার শিক্ষার্থী অধ্যয়ন করছে। মোট শিক্ষক সংখ্যা এখানে ষাট হাজারেরও অধিক। তাছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অন-ক্যাম্পাস শিক্ষক রয়েছেন ৮৫ জন। অতএব, এ বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থীকে বাদ দিয়ে দেশে উচ্চ-শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করা কোনো মতেই সম্ভব নয়। তাইতো এমন মহামারির মধ্যেও কি করে এত বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থীর কাছে সহজে কারিকুলামে বর্ণিত নির্ধারিত পঠন-পাঠন নিয়ে সহজ ও সাবলীল উপস্থাপনায় পৌঁছানো যায়, সেই চিন্তা-ভাবনা শুরু করা হয় এবছরের এপ্রিল থেকেই। বলে রাখা প্রয়োজন, দেশে প্রথম করোনা রোগী সনাক্ত হয় ৮ই মার্চ। ১৮ই মার্চ থেকে শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়। শুরুর দিকে পৃথিবীর কোন দেশ করোনার এমন নিষ্ঠুর ভয়াবহতার কথা কল্পনা করতে পারেনি। তাই অনুন্নত দেশ তো বটেই কোনো উন্নত দেশও সাহস করেনি শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান চালু রাখার।


জগতজুড়ে ভয়াবহ সংক্রমণ আর মৃত্যুর মিছিল শুধুমাত্র নিজের জীবন রক্ষা ব্যতিরেকে কাউকে অন্য কিছু ভাবতে দেয়নি। শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়টি ছিল নেহায়েত কল্পনাতীত। বিশ্বের সেই বিভীষিকাময় অবস্থার মাঝে-ও দেশের কিছু শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান অন-লাইনে তাদের কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছিল। উল্লেখ্য, বাংলাদেশে যেহেতু করোনার প্রাদুর্ভাব তুলনামূলকভাবে একটু কম ছিল তাই জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইব্রেরি এন্ড ইনফরমেশন সায়েন্স প্রফেশনাল কলেজসহ ১৩টি শতবর্ষী কলেজ, ৮টি মডেল কলেজ ও বেশকিছু নামকরা বেসরকারি কলেজ অন-লাইনে লাইসেন্সড জুম সফটওয়্যার ব্যবহার করে উচ্চ-শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে যায়।


১৮ই এপ্রিল ২০২০ তারিখে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন হিসেবে আমি নিজে সরাসরি কয়েকটি কলেজের অন-লাইন শিক্ষা-কার্যক্রম উদ্বোধন করি এবং নিজে প্রতিদিন পালা করে ক্লাস নিই ও নিয়মিত ক্লাস মনিটরিং করি। এখন অবশ্য সেদিনগুলির কথা মনে করে বেশ অবাক হচ্ছি। এটা কি করে সম্ভব ছিলো? চারিদিকে লাশের মিছিল আর এখানে আমরা অন-লাইন ক্লাস নিচ্ছি। আসলে এখন যেভাবেই ব্যাখ্যা করি না কেন তখনকার ঐ ভয়াবহতার কথা প্রত্যক্ষদর্শী ছাড়া কেইবা বুঝবে? আর ক্লাস নেয়ার দুঃসাহস! সেতো আমরা শিক্ষকরাই প্রথম শুরু করেছিলাম। এই অন-লাইন ক্লাসের সংযুক্তি কিছুটা হলেও আমাদের সেই সময় দারুণ ব্যস্ত রেখেছিল এবং প্যাণ্ডেমিকের ভয়াবহতাকে ভুলিয়ে দিতে সাহায্য করেছিল। সময় নিয়ে তৈরি করা হতো প্যাডাগোজী ও পাওয়ার পয়েন্ট স্লাইড। প্রতিটি স্লাইডের ভাঁজে ভাঁজে ছিল শিক্ষার্থীদের সহজবোধ্য করে বুঝিয়ে পড়ানোর সরল মানসিকতা। আবেগ আর ভালবাসা মিশ্রিত অন-লাইন ক্লাসে যতই শিক্ষার্থীদের মনোযোগ আকর্ষণের চেষ্টা করতাম না কেনো, দারুণ ভয় ছিল সকলের চোখে মুখে। এ যাত্রায় বাঁচবোতো?


এরকম একটি শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থার মধ্যে গত ৫ই মে শিক্ষা মন্ত্রণালয় নীতিগতভাবে অন-লাইন ক্লাস চালুর প্রথম আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। এ সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে ইউজিসি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে অন-লাইনে ক্লাস শুরুর তাগাদা দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারী করে। সেই ধারাবাহিকতায় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ৯ দফা দিক-নির্দেশনা দিয়ে এর অধিভুক্ত কলেজসমূহকে নিজ নিজ সামর্থ্য অনুযায়ী অন-লাইনে ক্লাস পরিচালনার জন্য তাৎক্ষনিক নির্দেশনা প্রদান করে। পাশাপাশি ১৩ টি শতবর্ষী কলেজ, ৮টি মডেল কলেজে সহ কলেজ র‍্যাংকিং-এ শীর্ষে থাকা সারাদেশের বিভিন্ন ক্যাটেগরির মোট ৬৬ টি কলেজের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সাথে জুম মিটিং এর মাধ্যমে উপাচার্য অবিরাম মত বিনিময় করেন। তার এ মত বিনিময়ের মূল উদ্দেশ্য ছিল শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে শুনে ও বুঝে অন-লাইন ক্লাসের ব্যাপারে সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য ও এক্সেসেবল একটি সমন্বিত পদ্ধতি দাঁড় করানো।


এসব আলোচনার প্রাপ্ত ফলাফল থেকে সহজেই অনুমেয় যে, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্দেশনা প্রদানের পূর্ব থেকেই এর অধিভুক্ত অধিকাংশ বড় বড় কলেজ স্ব-উদ্যোগে বিভিন্ন এ্যাপস ব্যবহার করে অন-লাইন ক্লাস চালু করে ঠিকই, কিন্তু তাতে শিক্ষার্থীদের একটি বড় অংশ যুক্ত হতে পারেনি। কারণ সঠিক সময়ে ক্লাসের সিডিউল না জানা, আইসিটি সাপোর্ট না থাকা, ল্যাপটপ/স্মার্ট ফোন না থাকা, পর্যাপ্ত ব্যান্ডউইথ না থাকা, করোনার প্রকোপ ভয়াবহ থাকায় ব্যান্ডউইথ ক্রয়ে কিংবা অন্যকোনো প্রয়োজনে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বের হতে না পারা ইত্যাদি। উপাচার্যের সাথে মত বিনিময়ে শিক্ষার্থীরা সকলেই একমত পোষণ করেন যে, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অন-লাইন ক্লাস চালু করলে তাতে শিক্ষার্থীদের উপকার হবে। ঘরে বসে হাতের কাছে থাকা পিসি বা মোবাইলে (নিজের ডিভাইসে) নিজ নিজ বিষয়ের বিভিন্ন কোর্সের ওপর খ্যাতিমান শিক্ষকদের লেকচার শুনে তারা পঠন-পাঠন তৈরি করতে সক্ষম এমন একটি ইউনিক পদ্ধতির শিক্ষা-কার্যক্রম আশা করছেন। সঙ্গে তারা আপদকালীন ব্যান্ডউইথ সুবিধার জন্যও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন। এর পূর্বে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও ইউজিসি’র সাথে মত বিনিময় সভায় লাখ লাখ শিক্ষার্থীর শিক্ষা-কার্যক্রম চলমান রাখার স্বার্থে তারাও এমন একটি উদ্যোগ গ্রহণে উপাচার্য মহোদয়কে কে অনুরোধ করেন।


এরপর জুলাই ২০২০ থেকে শুরু হয় কর্ম পরিকল্পনা। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য কে প্রধান করে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন ডিন ও কলেজ অধ্যক্ষ প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে (লালমাটিয়া ও রাজশাহী কলেজের অধ্যক্ষকে) গঠন করা হয় গাইডলাইন কমিটি। কমিটি এক সপ্তাহের মধ্যে সার্বিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা ও বিবেচনায় নিয়ে সুপারিশমালা পেশ করেন যা পরবর্তীতে সিন্ডিকেট ও সিনেটে অনুমোদন লাভ করে।


এরই ধারাবাহিকতায় গত আগস্ট মাসে ডিনস কমিটির মাধ্যমে ৩১টি বিষয়ে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সমন্বয়ে ৪৯ জন কোর্স কো-অর্ডিনেটর নিয়োগ দেয়া হয়। জুলাইয়ের শেষ সপ্তাহ থেকে শুরু করে প্রতিদিন সকাল ১১ টা থেকে দুপুর ২ টা পর্যন্ত জুমের মাধ্যমে ডিনস ও কোর্স কো-অর্ডিনেটরগণ সিরিজ অব মিটিং সম্পন্ন করেন এবং পুরো অন-লাইনে ভিডিও লেকচার প্রদান প্রক্রিয়াটি সহজীকরণের উপায় খুঁজে বের করেন।


মহাপরিকল্পনা করা হয় যে, করোনাকালীন শিক্ষার্থীদের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে অধিভুক্ত কলেজ ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহে একাডেমিক কার্যক্রম চলমান রাখার স্বার্থে ডিজিটাল প্লাটফর্ম জুম-এর মাধ্যমে সারাদেশে অন-লাইন লেকচার প্রদান করা হবে। মোট ৩১টি ডিসিপ্লিনে ২২৬০ টি শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানের মধ্যে নামকরা কলেজ থেকে ১৪৫৮ জন রিসোর্স পার্সন মনোনয়ন দেয়া হয়। প্রত্যেক রিসোর্স পার্সন তার নিজ নিজ বিষয়ে একটি কোর্সের ওপর গড়ে ১২টি করে ভিডিও লেকচার প্রদান করবেন। অর্থাৎ মোট ১৭৫০০ ভিডিও লেকচার তৈরি করা হবে যা পরবর্তীতে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের নামে বরাদ্দকৃত ইউটিউব চ্যানেল এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব সার্ভার থেকে সকল শিক্ষার্থীদের মাঝে উন্মুক্ত করে দেয়া হবে। এটি বাস্তবায়নই এই মুহূর্তে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। ইতোমধ্যে প্রায় ১৫ হাজার লেকচার প্রদান সম্পন্ন হয়েছে এবং প্রায় ৬ হাজারের মতো আপলোড করে শিক্ষার্থীদের মাঝে ছড়িয়ে দেয়া হয়েছে।


করোনা না এলে হয়তো কেউ এসব সম্ভাবনার কথা চিন্তাও করতো না। শিক্ষক হিসেবে নিজেদের পারদর্শিতা প্রদর্শনের সুযোগই হত না। কথায় বলে “নেসিসিটি ইস দ্যা ফাদার অফ ইনভেনশন”। দুর্যোগ, মহামারি সবসময়ই ছিল, আছে এবং থাকবে। ইতিহাস সাক্ষ্য দেয় আমরা সবসময় জয়ী হয়েছি। তেমনি করোনাভাইরাস হয়তো এই পৃথিবী থেকে একদিন চলে যাবে। কিন্তু বিশ্ব-অর্থনীতি এবং উচ্চ-শিক্ষার ওপর এর যে যে প্রভাব পড়েছে, তা থেকে উত্তরণে সামনের কয়েকটা বছর খুবই কঠিন সময় পার করতে হবে। করোনাভাইরাসের এ প্রভাব দীর্ঘ মেয়াদী। তাই বিশ্বজুড়ে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ঝুঁকছে অন-লাইন শিক্ষাসহ নানা সাশ্রয়ী প্রযুক্তি ব্যবহারের দিকে। শুধু করোনাকালীন নয়, এর থেকে পরিত্রাণের পরেও এসব অন-লাইন ভিডিও ক্লাস লেকচারগুলো শিক্ষার্থীদের কাছে সংশ্লিষ্ট বিষয়ের সম্পূরক জ্ঞানভাণ্ডার হিসেবে বিবেচিত হবে। করোনাকালীন নয়, এর থেকে পরিত্রাণের পরেও এসব অন-লাইন ভিডিও ক্লাস লেকচারগুলো শিক্ষার্থীদের কাছে সংশ্লিষ্ট বিষয়ের সম্পূরক জ্ঞানভাণ্ডার হিসেবে বিবেচিত হবে। [প্রিয় পাঠক, এনইউ অন-লাইন ভিডিও ক্লাস তৈরি পদ্ধতি, এর সুবিধাসমূহ, রিসোর্স পার্সন মনোনয়ন প্রক্রিয়া এবং এ বিষয়ে বিশিষ্টজনদের প্রতিক্রিয়া জানতে পাঠ করুন তৃতীয় ও শেষ পর্ব]


লেখক: প্রফেসর ড. মো. নাসির উদ্দীন মিতুল
ডিন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়
Email: [email protected]


বিবার্তা/জহির

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com