শিরোনাম
মুক্তিযুদ্ধের ধাত্রী ইন্দিরা গান্ধী
প্রকাশ : ৩১ অক্টোবর ২০২০, ১৯:৩৭
মুক্তিযুদ্ধের ধাত্রী ইন্দিরা গান্ধী
এফ এম শাহীন
প্রিন্ট অ-অ+

একটি মানবশিশু নয় মাস ধরে মায়ের গর্ভে বেড়ে ওঠে । পিতা-মাতার ভ্রন থেকে মানব আকৃতি ধারণ করে। মায়ের রক্ত মাংস থেকে তার শরীর গঠিত হয়। এরপর কোনো একদিন অজানা পৃথিবীতে আসার জন্য নতুন শিশু প্রস্তুত। শুরু হয় মায়ের প্রসব বেদনা। এই বেদনায় মা মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লরে চিৎকার করতে থাকে। ডাকা হয় প্রসুতি, স্বজন- প্রতিবেশীদের। বেদনাকাতর মায়ের গগনবিদারী চিৎকারে গর্ভ থেকে পৃথিবীতে আসে সে। তার গায়ে রক্তের দাগ ছোপ ছোপ। মায়ের সাথে যুক্ত থাকা নাড়ি বিচ্ছিন্ন করে তাকে দেয়া এক মুক্ত মানুষের স্বীকৃতি। আজান বা উলুধ্বনি মাধ্যমে জানান দেয়া হয়, পৃথিবীতে এসেছে নতুন অতিথি।


বাংলাদেশ। ১৯৭১ সালে নয় মাসের দীর্ঘ সময় ধরে রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের মধ্য দিয়ে জন্ম গ্রহণ করে বিশ্ব মানচিত্রে। তাঁর জন্মের সময় যেন মায়ের প্রসব বেদনার মত চিৎকার করে ৫৬ হাজার বর্গমাইল। পিতার ভ্রুন থেকে নয় মাসে যেমন মায়ের গর্ভে বেড়ে ওঠে শিশু ঠিক তেমনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ২৪ বছরের দীর্ঘ সংগ্রামের শক্তি নিয়ে নয় মাস যুদ্ধ করে বাঙালি স্বাধীন করে বাংলাদেশ নামের নতুন শিশুকে। মায়ের গর্ভ থেকে জন্ম নিতে শিশুর গায়ে থাকে রক্তের ছোপ ছোপ দাগ তেমনি বাংলাদেশের জন্ম হতেও ছাপান্ন হাজার বর্গমাইল-এ ত্রিশলাখ শহীদের রক্ত লেগে থাকে শরীর জুড়ে।


একটি শিশুর জন্মের সময় প্রসব বেদনায় মা যেমন গগনবিদারী চিৎকার করে তেমনি পাকিস্তানি নরঘাতক ও রাজাকারদের হাতে চার লাখ মা-বোন নির্যাতন, ধর্ষণ ও হত্যার শিকার হয়ে গগনবিদারী চিৎকার করে। মায়ের গর্ভ থেকে বের করে এনে শিশুর যেমন নাড়ি কাটা হয় তেমনি ১৬ ডিসেম্বর ১৯৭১ এ মুক্তিবাহিনি ও মিত্রবাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ দলিলে স্বাক্ষর করে পাকিস্তান থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে জন্মগ্রহণ করে বাংলাদেশ। জন্মের পর আজান কিংবা উলুধ্বনি দিয়ে আকাশ-বাতাস- প্রকৃতিকে জানিয়ে দেয়া হয় নতুন শিশুর আগমন তেমনি রেডিও আকাশবাণী থেকে ঘোষণা আসে নতুন দেশের জন্মের। মায়ের প্রসব বেদনা শুরু হলে যেমন প্রসুতি মায়ের কাছে ছুটে আসে স্বজনেরা, পাশে থাকে প্রতিবেশীরা ঠিক তেমনি করে বাংলাদেশের ধাত্রী বাংলাদেশের পরম বন্ধু শ্রীমতি ইন্দ্রিরা গান্ধী সাত কোটি বাঙালির বেদনা অনুভব করে ছুটে এসেছিলেন। ধারণ করেছিলেন সদ্যজাত শিশু বাংলাদেশকে। লালন করেছিলেন এক কোটি শরণার্থী বাংলাদেশীকে। তেমনি পাশে এসে দাঁড়িয়েছিল হাজারো স্বজন ও প্রতিবেশী রাষ্ট্র।


১৯৭১ সালে সংঘটিত বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছিল না। পাকিস্তানি শাসক গোষ্ঠীর অন্যায়-অত্যাচারের বিরুদ্ধে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের সাধারণ মানুষের স্বাধিকার আন্দোলন এক সময় বিশ্ব রাজনীতিতেও বিশাল প্রভাব ফেলে। বাঙালির-এ স্বাধিকার আন্দোলন ও মুক্তির সংগ্রামে অনন্য ভূমিকা রেখেছেন এমন মানুষের সংখ্যা অগণিত। কেউ বাঙালির মুক্তির জন্য সশস্ত্র যুদ্ধ করেছেন, প্রশিক্ষণ দিয়েছেন, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসা করেছেন, কেউ নিরীহ বাঙালির উপর গণহত্যা, নির্যাতন, ধর্ষণ, অগ্নিসংযোগ খবর ছাপিয়ে বিশ্বকে জানান দিয়েছেন, মুক্তিবাহিনীর বীরত্বের খবর ছাপিয়েছেন। যুদ্ধের সময় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ ছিল নিজেদের ভূখণ্ডে নিজেদের সামরিক বাহিনী কর্তৃক অত্যাচার নিপীড়নের খবর সত্য ও সঠিক রূপে বহির্বিশ্বে পৌঁছে দেওয়া। যা মুক্তিযুদ্ধে বিজয় ও সমর্থন আদায় করতে বিশেষ ভূমিকা রেখেছিল। কেউ গান গেয়ে অর্থ সংগ্রহ করে শরণার্থীদের খাবারের সাহায্য করেছেন, ঔষধ পাঠিয়েছেন । কেউ আশ্রয় দিয়েছেন দিশেহারা কোটি মানুষকে। স্বজনের মত বিপদে ছুটে বেড়িয়েছেন সারা বিশ্ব বাঙালিদের পক্ষে জনমত গঠনের জন্য । বিভিন্ন দেশ, দেশের সংগঠন ও সংবাদ সংস্থার অবদানও অপরিসীম।


মুক্তিযুদ্ধে ইন্দিরা গান্ধী


দীর্ঘ নয় মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর আমরা পেয়েছি একটি স্বাধীন দেশ। এই নয় মাসে আমরা পেয়েছিলাম অনেক বিদেশী বন্ধুত্বের হাত। আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে তাদের গুরুত্বপূর্ণ অবদান বাঙালি জাতির হৃদয়ে চিরদিন অম্লান হয়ে থাকবে। বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের রয়েছে গৌরবময় ঐতিহ্যের এক নিবিড় সেতুবন্ধ। এই সেতুবন্ধ তৈরির অগ্রদূত ছিলেন বিশ্বরাজনীতির অনন্য সাধারণ ব্যক্তিত্ব ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী। তাঁর প্রজ্ঞা, দূরদর্শিতা, নিরলস কর্মপ্রচেষ্টা, সর্বোপরি মানবীয় অনুভূতি আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে ব্যাপক গতির সঞ্চার করে এবং সফল অপেক্ষাকৃত দ্রুত পরিণতির দিকে এগিয়ে নিয়ে যায়। বাঙালির স্বাধীনতা লাভের লক্ষ্যে পরিচালিত বাঙালি জাতির মরণপণ লড়াইয়ের দিনগুলোর, প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে ইন্দিরা গান্ধী নিজ দেশের অভ্যন্তরে তো বটেই, বিশ্বের সর্বত্র বিভিন্ন ব্যক্তি, সংস্থা, সংগঠন ও রাষ্ট্রের সমর্থন- সহযোগিতা চেয়েছেন আমাদের অনুকূলে।


তিনি শুধু এক কোটি বাংলাদেশীকে আশ্রয় ও খাওয়া-পরার ব্যবস্থাই করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য প্রশিক্ষণেরও ব্যবস্থা করেন। আর বাংলাদেশের জন্য আন্তর্জাতিক বিশ্বের সমর্থন আদায়ের চেষ্টা চালিয়েছেন। এমনকি মার্কিন রক্তচক্ষুর বিপরীতে এক অনন্য অবস্থানও নেন তিনি। বাংলাদেশকে সহযোগিতার জন্য ভারতের বিরুদ্ধেও পাকিস্তান যুদ্ধ ঘোষণা করলে সেখানেও এক হয়ে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে তিনি যুদ্ধের নির্দেশ দেন।


বাংলাদেশের এক কোটি শরণার্থীকে সেবাযত্ন করায় ইন্দিরা গান্ধীর এ কাজকে যিশু খ্রিস্টের কাজের সঙ্গে তুলনা করেছেন নোবেলজয়ী মাদার তেরেসা। মুক্তিযুদ্ধে অসামান্য অবদান রাখা ইন্দিরা গান্ধীকে বাংলাদেশ সম্মাননা জানিয়েছে স্বাধীনতার ৪০ বছর পর। ১৯৭১ এ ভারতের সে সময়কার প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী ৯৮ লাখ ৯৯ হাজার ৩০৫ জন উদবাস্তুকে আশ্রয় দেন।


মুক্তিযুদ্ধ চলার সময়েই, ১৯৭১ সালের ১৩ এপ্রিল বিশ্বনেতাদের উদ্দেশে ইন্দিরা গান্ধী বলেন, ‘পূবর্বাংলায় যা ঘটেছে, তাতে ভারত সরকার নীরব থাকবে না।’ পরে ১৭ মে তিনি পশ্চিমবঙ্গ আসেন। কারণ সেখানেই সবচেয়ে বেশি শরণার্থী আশ্রয় নেয়।


৩০ এপ্রিল, ১৯৭১ ইন্দিরা গান্ধী বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে সাহায্য করতে ভারতীয় সেনাবাহিনীকে দায়িত্ব দেন। ৯ মে তাদের হাতে দেয়া হয় মুক্তিযুদ্ধে যোগদান করতে আগ্রহী বাংলাদেশের তরুণদের সশস্ত্র ট্রেনিং দেয়ার দায়িত্ব। এ ছাড়া শাসক পাকিস্তানিদের বাংলাদেশে নারকীয় হত্যাযজ্ঞ বিশ্ববাসীর কাছে তুলে ধরতে ও বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে সমথর্ন আদায়ে শ্রীমতী ইন্দিরা গান্ধী সে সময় বিভিন্ন দেশ সফরও করেন। মুক্তিযোদ্ধাদের প্রশিক্ষণের পাশাপাশি স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের জন্য একটি ট্রান্সমিটার বরাদ্দ করেন ইন্দিরা গান্ধী। মাকির্ন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হেনরি কিসিঞ্জার বঙ্গবন্ধুর মুক্তি এবং সামরিক সাহায্য বন্ধের বিষয়ে অক্ষমতা জানালে ইন্দিরা গান্ধী তাকে বলেন, ‘ভারতের পক্ষে বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য সাহয়তা বাড়ানো ছাড়া গত্যন্তর নেই।’


ইন্দিরা গান্ধী ৩১ অক্টোবর ১৯৭১ সালে লন্ডনে বলেছিলেন, ‘শরণার্থী সমস্যা ছোট করে দেখার উপায় নেই। বাংলাদেশের সমস্যা শুধু শরণার্থী সমস্যা নয়, বরং এর চেয়ে অনেক গভীর। ভারতের জন্য শরণার্থী সমস্যা শুধু অর্থনৈতিক, সামাজিক, রাজনৈতিক নয়, বরং এটা ভারতের নিরাপত্তা ও অখণ্ডতার জন্য বিরাট হুমকি। শরণার্থীদের ওপর যে বর্বরোচিত নির্যাতন হচ্ছে বিশ্ব তা জানে না, কিন্তু প্রতিদিন শরণার্থীরা ভারতে আসছে। মানুষ আমাকে জিজ্ঞাসা করছে, কত দিন এ ভার আমরা বহন করতে পারব? আমি বলছি, সেই সময় পেরিয়ে গেছে। আমরা আগ্নেয়গিরির ওপর বসে আছি, জানি না কখন সেটা উদগীরণ হবে? আমরা সংযত, কিন্তু কতটা সংযত থাকব, বিষয়টি নির্ভর করছে সীমান্তে কী ঘটছে, তার ওপর। আমরা মনে করি বিশ্ব সম্প্রদায়ের দায়িত্ব এর সমাধান খুঁজে বের করা। সবচেয়ে ভালো হয় এবং সেটা মানবিক, তাহলো এর রাজনৈতিক সমাধান বা বাংলাদেশে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করা।’


শ্রীমতি ইন্দিরা গান্ধী বাংলাদেশের পক্ষে আক্রমণাত্মক কূটনৈতিক সফরে পশ্চিমা বিশ্বে যান এবং যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্সকে পক্ষে আনতে সমর্থ হন। এ দুই রাষ্ট্র নিরাপত্তা পরিষদের সদস্য এবং মার্কিন বলয়ের, কিন্তু বাংলাদেশ প্রশ্নে এরা ভারতকে সমর্থন দেয়। ওই সময় ইন্দিরা গান্ধীর বিরাট কূটনৈতিক বিজয় ছিল ৯ আগস্ট সোভিয়েত ইউনিয়নের সঙ্গে ২০ বছর মেয়াদি ‘বন্ধুত্ব ও সহযোগিতা চুক্তি’। যুক্তরাষ্ট্রের জন্য এটা ছিল একটি বড় আঘাত। এতে ভারত-পাকিস্তান সংঘর্ষে চীনের অংশগ্রহণের সম্ভাবনা কমে যায়। চীন তখন পাকিস্তানকে নৈতিক সমর্থন বা সামান্য সামরিক সাহায্য দিলেও ভারত সীমান্তে সৈন্য সমাবেশ ঘটায়নি। ইন্দিরা গান্ধী ওয়াশিংটন সফর করেন। কিন্তু প্রেসিডেন্ট নিক্সন তাকে ততটা আমলে নেননি। হোয়াইট হাউজের রোজ গার্ডেনে বসেই ইন্দিরা গান্ধী প্রেসিডেন্ট নিক্সনকে দৃঢ়তার সঙ্গে বলেছিলেন, ‘আমেরিকা না চাইলেও বাংলাদেশ স্বাধীন হবে।’


২৭ ডিসেম্বর ১৯৭১ যুক্তরাষ্ট্রের এনবিসিকে সাক্ষাৎকার দেয়ার সময় একজন সাংবাদিক ইন্দিরা গান্ধীকে প্রশ্ন করেছিলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, যুদ্ধে আপনার দেশ অনেক মূল্য দিয়েছে। বিনিময়ে ভারত কী পেয়েছে? এ প্রশ্নের জবাব ইন্দিরা ছোটবেলা থেকে শুনে আসা চ্যাপলিনের একটি কবিতার চার লাইন উদ্ধৃত করে বলেন:


মোর্ন নট দ্য ডেড


বাট র্যা দার মোর্ন দ্য প্যাথেটিক থ্রং


হু সি দ্য ওয়ার্ল্ডস গ্রেট অ্যাংগুইশ অ্যান্ড ইটস রং


বাট ডেয়ার নট স্পিক


(মৃতের জন্য কেঁদো না


বরং জমে থাকা ভুলের জন্য কাঁদো


জগতের সব দুঃখ আর অন্যায় দেখেও


কেন প্রতিবাদ করে না কেউ)


ইন্দিরা আরো বলেছিলেন, ‘ভারত কথা বলেছে কেবল বাংলাদেশের মানুষের জন্য। ভারতের জন্য নয় শুধু, দুনিয়ার সব নির্যাতিত মানুষের জন্য।...আমি আশা করব, মার্কিন প্রশাসন রাগ ভুলে সবকিছু নতুন করে দেখবে।


১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি, ব্রিটিশ সরকারের বিমানে করে সকাল আটটা নাগাদ দিল্লির বিমানবন্দরে অবতরণ করেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। এর ঠিক দুদিন আগেই পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে লন্ডন পৌঁছেন বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের মহানায়ক শেখ মুজিবুর রহমান। দিল্লি বিমানবন্দরে শেখ মুজিবকে স্বাগত জানান ভারতের তৎকালীন রাষ্ট্রপতি ভি ভি গিরি এবং প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী।


এরপর ভারতের রাজধানী দিল্লিতে সংবর্ধনায় বঙ্গবন্ধু বলেন, "আপনাদের প্রধানমন্ত্রী, আপনাদের সরকার, আপনাদের সৈন্য বাহিনী, আপনাদের জনগণ যে সাহায্য এবং সহানুভূতি আমার দুঃখী মানুষকে দেখিয়েছে, চিরদিন বাংলার মানুষ তা ভুলতে পারবে না।”


বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় আন্তর্জাতিক জনমত গঠনের জন্য ইন্দিরা গান্ধী কূটনীতিকভাবে যে ভূমিকা রেখেছিলেন সেজন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, "দুদিন আগেও আমি পশ্চিম পাকিস্তানের অন্ধকার সেলের মধ্যে বন্দি ছিলাম। শ্রীমতি গান্ধী আমার জন্য দুনিয়ার এমন কোনো জায়গা নাই যেখানে তিনি চেষ্টা করেন নাই আমাকে রক্ষা করার জন্য। আমি ব্যক্তিগতভাবে তার কাছে কৃতজ্ঞ।"


১৯১৭ সালের ১৯ নভেম্বর এলাহাবাদে ভারতের জাতীয় কংগ্রেসের নেতা মতিলাল নেহরুর পুত্রবধূ কমলা একটি সন্তানের জন্ম দেন। সদ্যোজাত কন্যাশিশুটির নাম মতিলালের মা ইন্দিরানির নামে রাখা হলো ইন্দিরা, পুরো নাম ইন্দিরা প্রিয়দর্শিনী নেহরু।


ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী মুক্তিযুদ্ধের ধাত্রী মহান নেত্রী ইন্দিরা গান্ধীর ৩৬ তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ জানাই বিনম্র শ্রদ্ধা। মহান মুক্তিযুদ্ধের ধাত্রী বাংলাদেশের অকৃত্রিম এই বন্ধু ১৯৮৪ সালের ৩১ অক্টোবর দিল্লিতে ৬৬ বছর বয়সে নিজ দেহরক্ষীর হাতে নিহত হন ইন্দিরা গান্ধী।


লেখক : সাধারণ সম্পাদক ,গৌরব ’৭১ , সংগঠক গণজাগরণ মঞ্চ।


বিবার্তা/জাই

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com