শিরোনাম
প্রজন্মের প্রার্থনা; শতায়ু হোন বঙ্গবন্ধুকন্যা
প্রকাশ : ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ২১:৫২
প্রজন্মের প্রার্থনা; শতায়ু হোন বঙ্গবন্ধুকন্যা
এফ এম শাহীন
প্রিন্ট অ-অ+

৭২তম জন্মবার্ষিকীতে বঙ্গবন্ধুকন্যা গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনাকে প্রাণঢালা অভিনন্দন ও শুভ কামনা। শতায়ু হোন বঙ্গবন্ধুকন্যা। বর্তমান প্রজন্মেরও প্রত্যাশা পিতার অসমাপ্ত কাজ যে আপনাকেই সমাপ্ত করতে হবে। নির্মাণ করতে হবে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দুর্নীতিমুক্ত একটি অসাম্প্রদায়িক,গণতান্ত্রিক ,সমৃদ্ধশালী, মর্যাদাশীল আধুনিক বাংলাদেশ।


দিনটি ছিল ১৯৪৭ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর। শেখ পরিবারে জন্ম নিল একটি নতুন ফুটফুটে শিশু। টুঙ্গিপাড়ায় শেখ বংশ আভিজাত্য ও প্রতিপত্তির কারণে বহু বছর পূর্ব থেকেই সমাদৃত ছিল। শেখ বোরহানউদ্দিন নামে একজন ধার্মিক ব্যক্তি এই বংশের গোড়াপত্তন করেছিলেন বহুদিন পূর্বে। এরপর কালের পরিক্রমায়, নানা উত্থান পতনে শেখ বংশ পূর্বের জৌলুস হারালেও ইতিহাসে টিকে রইলো সমুজ্জ্বল হয়ে। কারণ এই বংশে জন্মে নিলেন বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রধান নেতা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।


এরপর সেই বংশের নতুন সদস্য হিসেবে ১৯৪৭ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেসা মুজিবের ঘর আলো করে এক শুভলগ্নে জন্ম নিলেন শেখ হাসিনা। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদরের হাসু, তার ৫ সন্তানের মধ্যে তিনি সবার বড়। শেখ হাসিনার অন্য ভাইবোনেরা হলেন, শেখ রেহানা, শেখ কামাল, শেখ জামাল আর শেখ রাসেল। একটি হৃদয়বিদারক ঘৃণ্য ঘটনায় পরিবারের অন্য সব সদস্যসহ ভাইবোনদের হারান, শুধু বোন শেখ রেহানা তার পাশে আজও আছেন।


টুঙ্গিপাড়ার শান্ত সুনিবিড় মায়াময় পরিবেশে বাংলা মায়ের কোলে আর বঙ্গমাতার আদরে যত্নে বেড়ে উঠতে থাকেন শেখ হাসিনা। গ্রাম বাংলার ধুলোমাটি আর সাধারণ মানুষের সান্নিধ্যেই কেটেছিল তার বাল্যকাল। তাই গ্রামের সাথে তার সম্পর্কটা যেমন নিবিড় তেমনি তার অন্তরে নিপুনভাবে গেঁথে আছে সহজাত সারল্যের এক মায়াময় সৌন্দর্য। পল্লীমায়ের মতোই বঙ্গমাতার এই কন্যার হৃদয় বিশাল। তাই বাল্যকাল থেকে আজ পর্যন্ত জীবনের প্রতিটি ধাপে মানুষের সুখে দুঃখে পাশে এসে দাঁড়ান, নির্দ্বিধায় মুছে দেন অসহায়ের চোখের জল, দুঃখী মানুষের তিনি এক পরম স্বজন।


একটি মানব শিশুর শৈশব-কৈশোর ঠিক যতটা আনন্দপূর্ণ হওয়ার কথা শেখ হাসিনার শৈশব-কৈশোর ততটাই বেদনাপূর্ণ ছিল। বাস্তবতার কাছে দগ্ধ হয়েছে তার শৈশব-কৈশোর। এই সময়টাতে শিশুরা বাবার সাথে মেলায় যায় শখের তালপাখা কিনতে, ঘুরতে যায় মনের আনন্দে, আবদারে আহ্লাদে বেড়ে ওঠে বাবার পরম সান্নিধ্যে। এতটা সৌভাগ্য শেখ হাসিনার হয়নি। তার বাবা ছিলেন নির্ভীক এক যোদ্ধা, সাহসী এক দেশপ্রেমিক। সেইজন্য জীবনের বেশিরভাগ সময় তার বাবকে থাকত্রে হয়েছে জেলে, দিনের পরিমাণে যা ৪ হাজার ৬৮২ দিন। তাহলে কতটাই বা পেয়েছেন বাবাকে! আবার এটাও সত্যি যে বাবার স্নেহ প্রাণ ভরে উপভোগ করার সৌভাগ্য না হলেও বাবার সান্নিধ্য যতটুকুই পেয়েছেন তাই ছিল অসামান্য। অল্প সময়ের মধ্যেই তার বাবার আর্দশ আর মূল্যবোধে গড়েছেন তার স্বত্ত্বা, যা এখনো তার মধ্যে সমুজ্জ্বল।



লেখক-এফ এম শাহীন , সাধারণ সম্পাদক , গৌরব ’৭১ , সংগঠক , গণজাগরণ মঞ্চ


বাবার হাত ধরে যখন স্কুলে যাওয়ার কথা তখন মায়ের হাত ধরে জেলগেটে যেতে হয়েছে বন্দী বাবাকে দেখতে। কখনো বাবার কাছে পৌঁছে দিয়েছেন মায়ের চিঠি, চিঠি দেয়া সম্ভব না হলে বাবার কাছে পৌঁছেছেন মায়ের বার্তা, মায়ের পরামর্শ। ছোটবেলাতেই দেশের দায়িত্ব কাঁধে নিয়ে নিয়েছিলেন। এখনও নিদারুণ দৃঢ়তায় সে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন।


অনেক সময় বাবা জেলে বলে স্কুল বন্ধ হয়েছে, পড়ালেখা বন্ধ হয়েছে। সরকারি স্কুলে পড়তেন বলে নামও কাটা গেছে। তাই বলে পড়ালেখাই আর হয়নি তা নয়। কারণ, শেখ হাসিনার জীবনের সবচেয়ে বড় শিক্ষক ছিলেন তার পিতা। দেশের জন্য আত্মত্যাগ করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে জীবনে অসংখ্যবার জেলে যেতে গিয়েছেন সত্যি কিন্তু তার আদর্শে দারুণভাবে দীক্ষিত হয়েছেন শেখ হাসিনা। একইসাথে তার মাতা বঙ্গমাতা ছিলেন অতুলনীয় মেধা, বুদ্ধিমত্তা আর অসাধারণ ধীশক্তির অধিকারী। বঙ্গমাতা তার শক্তিশালী চারিত্রিক গুণাবলীর বলে যেমন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের রাজনৈতিক জীবনে রেখেছিলেন অসামান্য প্রভাব তেমনি শেখ হাসিনাসহ তার আর সব ভাইবোনদের একা হাতেই শিক্ষিত করেছেন, মানুষ করেছেন।


জন্মস্থান টুঙ্গিপাড়াতেই শেখ হাসিনার হাতেখড়ি, সেখানেই বাল্যশিক্ষা নেন। তারপর ১৯৫৪ সালে চলে আসেন ঢাকায়। সেসময় পরিবারের সাথে মোগলটুলি রজনীবোস লেনের বাড়িতে বসবাস শুরু করেন। পরে মিন্টো রোডের সরকারি বাসভবনে উঠেন।


১৯৫৬ সালে তিনি টিকাটুলির নারীশিক্ষা মন্দির বালিকা বিদ্যালয়ে ভর্তি হন। বর্তমানে এই বিদ্যালয় শেরে বাংলা বালিকা মহাবিদ্যালয় নামে পরিচিত। এই বিদ্যালয়ের বিস্তীর্ণ পরিবেশ তার শিক্ষাকে আরো সমৃদ্ধ করে তুলতে থাকে।


এরপর ১৯৬১ সালের ১ অক্টোবর ধানমন্ডির ৩২ নম্বরের বাড়িতে থাকা শুরু করেন। আবার স্কুল পরিবর্তন। ১৯৬৫ সালে আজিমপুর বালিকা বিদ্যালয় থেকে ম্যাট্রিক পাস করেন। ১৯৬৭ সালে উচ্চমাধ্যমিক পাস করেন ঢাকার বকশীবাজারের পূর্বতন ইন্টারমিডিয়েট গভর্নমেন্ট গার্লস কলেজ (বর্তমানে বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা মহাবিদ্যালয়) থেকে। সে বছরই তিনি ভর্তি হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে, সেখান থেকে ১৯৭৩ সালে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন। পরবর্তীতে তিনি বোস্টন বিশ্ববিদ্যালয়, জাপানের ওয়াসেডা বিশ্ববিদ্যালয়, ভারতের বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়, অস্ট্রেলিয়ার ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, বেলজিয়ামের ক্যাথলিক বিশ্ববিদ্যালয়, যুক্তরাজ্যের এবার্টি বিশ্ববিদ্যালয়, রাশিয়ার পিপলস বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি লাভ করেন।


১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট এক ঘৃণ্য সামরিক অভ্যুত্থানে তিনি ও তার বোন শেখ রেহানা বাদে পরিবারের সব সদস্যকে হত্যা করা হয়। বোনদ্বয় সেইসময় পড়াশোনার জন্য পশ্চিম জার্মানিতে অবস্থান করছিলেন।


রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান হিসেবে তিনি ছাত্রজীবন থেকে প্রত্যক্ষ রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত। এখন তিনি শুধু জাতীয় নেতাই নন, তৃতীয় বিশ্বের এক বিচক্ষণ নেতা হিসেবে বিশ্বরাজনীতির অঙ্গনে নিজ ভাবচ্ছবিতে উজ্জ্বল।


স্কুলে পড়াকালীন অবস্থাতেই অন্যান্য স্কুলে গিয়ে মেয়েদের বোঝাতেন কেন সংগঠন করতে হবে, কেন আন্দোলন করতে হবে। স্কুল পালিয়ে চলে যেতেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায়, মিটিং শোনার জন্য। একবার স্কুলে ধর্মঘট হওয়া অবস্থায় এক অফিসার পুলিশ এসে তাকে জেলে নেয়ার ভয় দেখালেন, শেখ হাসিনা হাসতে হাসতে উড়িয়ে দিলেন। উত্তরে তিনি অফিসারকে বলেছিলেন, আমরা তো প্রতি পনের দিন পরপরই জেলখানায় যাই (বাবার সাথে দেখা করতে যাওয়ার কথা বলেছেন), কি নির্মম সত্য অথচ তার উচ্চারণ সবসময়ই ছিল বলিষ্ঠ আর আত্মপ্রত্যয়ী।


কলেজে অধ্যয়নকালে তিনি কলেজ ছাত্রী সংসদের সহসভানেত্রী নির্বাচিত হন। তিনি বাংলাদেশ ছাত্রলীগের প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে সরকারি ইন্টারমিডিয়েট গার্লস কলেজের ছাত্রসংসদের সহসভাপতি ছিলেন। তিনি এই কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এবং পরের বছর সভাপতি ছিলেন। কিন্তু এই প্রতিদ্বন্ধিতা করে জয়ী হওয়াটা এতো সহজ ছিল না, কারণ বঙ্গবন্ধু কন্যা বলে সবসময়ই তাকে হারিয়ে দেয়ার প্রচেষ্টা থাকতো।


শেখ হাসিনা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের একজন সদস্য এবং ছাত্রলীগের রোকেয়া হল শাখার সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে ছাত্রলীগের নেত্রী হিসেবে তিনি আইয়ুববিরোধী আন্দোলন এবং ছয় দফা আন্দোলনে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেছেন। ’৫২ এর ভাষা আন্দোলনের পর আন্দোলন করেছেন বাঙালিকে বাংলা ভাষা আরবি ও রোমান হরফে লেখানোর যে কূটচাল চালানো হচ্ছিলো সেটির বিরুদ্ধে। অর্থাৎ বাংলা ভাষাকে তার নিজস্ব মর্যাদা দিতেও শেখ হাসিনা আন্দোলন সংগ্রাম করেছেন।


বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকা অবস্থায় ১৯৬৭ সালে এম এ ওয়াজেদ মিয়ার সাথে তার বিয়ে হয় এবং ওয়াজেদ মিয়া ৯ মে, ২০০৯ তারিখে মৃত্যুবরণ করেন। ওয়াজেদ মিয়া আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন পরমাণু বিজ্ঞানী ছিলেন। তাদের সজীব ওয়াজেদ জয় (পুত্র) ও সায়মা ওয়াজেদ পুতুল (কন্যা) নামে দুই সন্তান রয়েছেন।


শেখ হাসিনার জ্যেষ্ঠ পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয় একজন তথ্য প্রযুক্তি বিশারদ। তার একমাত্র কন্যা সায়মা হোসেন ওয়াজেদ একজন মনোবিজ্ঞানী এবং তিনি অটিস্টিক শিশুদের কল্যাণে কাজ করছেন। শেখ হাসিনার নাতি-নাতিনীর সংখ্যা ৭জন।


১৯৮১ সালে আওয়ামী লীগের দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে শেখ হাসিনার অনুপস্থিতিতে তাকে দলের সভাপতি নির্বাচিত করা হয়। সামরিক শাসকদের রক্তচক্ষু ও নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে ’৮১ সালের ১৭ মে স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেন তিনি। এরপর ১৬ বছর ধরে সামরিক জান্তা ও স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে চলে তার একটানা অকুতোভয় সংগ্রাম।


১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট তার পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ পরিবারের অধিকাংশ সদস্যকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। পরবর্তী ৬ বছর ভারতে অবস্থান করার পর ১৯৮০ সালে ইংল্যান্ডে থেকে তিনি স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন শুরু করেন।


১৯৮১ সালে শেখ হাসিনার অনুপস্থিতিতে তাকে সর্বসম্মতিক্রমে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত করা হয়। ছয় বছরের নির্বাসিত জীবন শেষ করে অবশেষে তিনি ১৯৮১ সালের ১৭ মে দেশে ফিরে আসেন। ১৯৮১ সালে দেশে ফিরে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের সংগ্রামে লিপ্ত হওয়ার পরপরই তিনি শাসকগোষ্ঠীর রোষানলে পড়েন। তাকে বারবার কারান্তরীণ করা হয়। তাকে হত্যার জন্য কমপক্ষে ১৯ বার সশস্ত্র হামলা করা হয়।


শত বাধা-বিপত্তি এবং হত্যার হুমকিসহ নানা প্রতিকূলতা উপেক্ষা করে শেখ হাসিনা ভাত-ভোট এবং সাধারণ মানুষের মৌলিক অধিকার আদায়ের জন্য অবিচল থেকে সংগ্রাম চালিয়ে গেছেন। তার নেতৃত্বে বাংলাদেশের জনগণ অর্জন করেছে গণতন্ত্র ও বাক-স্বাধীনতা। বাংলাদেশ পেয়েছে নিম্ন-মধ্যম আয়ের দেশের মর্যাদা। শেখ হাসিনার অপরিসীম আত্মত্যাগের ফলেই বাংলাদেশ আজ বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে সক্ষম হয়েছে।


মৌলবাদ, জঙ্গিবাদ এবং সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় শেখ হাসিনা সবসময়ই আপোষহীন। দুর্নীতির বিরুদ্ধে এক লোহমানবীর ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়ে লড়াই করে যাচ্ছেন । ২০০৯ সালে সরকার পরিচালনায় দায়িত্ব নিয়ে তার সরকার ১৯৭১ সালে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের জন্য আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল স্থাপনের জন্য আইন প্রণয়ন করে। এই আইনের আওতায় স্থাপিত ট্রাইবুনাল যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শুরু করেছে এবং রায় কার্যকর করা হচ্ছে।


শুধু তাই নয়,তিন মেয়াদে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে সফলভাবে দায়িত্ব পালনের পর এখন পার করছেন চতুর্থ মেয়াদ। আশির দশকে যেমন তিনি ভাঙনের হাত থেকে রক্ষা করেছেন দলকে, তেমনি একটি অনুন্নত দেশকে মধ্য আয়ের দেশে পরিণত করতেও রেখেছেন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। যে কারণে জাতীয়-আন্তর্জাতিক অনেক পুরস্কার আর স্বীকৃতি রয়েছে তার ঝুলিতে।


প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রশংসা করে বিশ্বের বিভিন্ন সংস্থা নেতৃবৃন্দৃ ও গণমাধ্যম নানা উপাধি দিয়েছেন। সেগুলোর কিছু তুলে ধরা হলো…


 লেডি অব ঢাকা— যুক্তরাষ্ট ভিত্তিক প্রভাবশালী বিজনেস ম্যাগাজিন ‘ফোর্বস’।


 মাদার অব হিউম্যানিটি— ব্রিটিশ মিডিয়া।


 কারিশম্যাটিক লিডার— মিশরের রাষ্টদূত মাহামুদ ইজ্জত।


 প্রাচ্যের নতুন তারকা— সংযুক্ত আরব আমিরাতের সংবাদপত্র খালিজ টাইমস।


 বিশ্বের নেতা— ভারতের বিজেপির ভাইস প্রেসিডেন্ট ও সংসদ সদস্য ড. বিনয় প্রভাকর।


 নারী অধিকারের স্তম্ভ— কানাডার আন্তর্জাতিক উন্নয়নমন্ত্রী মেরি ক্লড বিবেউ।


 বিশ্ব শান্তির দূত— কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পিস স্ট্যাডিস বিভাগের তিন শিক্ষক।


 মানবিক বিশ্বের প্রধান নেতা— অক্সফোর্ড নেটওয়ার্ক অফ পিস নামক সংস্থা।


 জোয়ান অফ আর্ক— শ্রীলঙ্কা গার্ডিয়ান।


 বিশ্ব মানবতার আলোকবর্তিকা— নোবেল বিজয়ী কৈলাশ সত্যর্থী।


 বিশ্ব মানবতার বিবেক— কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট জুয়ান ম্যানুয়েল সন্তোস।


 বিরল মানবতাবাদী নেতা— তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান।


এছাড়া তার কর্মদক্ষতা ও মহানুভবতার জন্য তিনি বিশ্ববাসীর কাছ থেকে অসংখ্য পদক ও সম্মাননা পেয়েছেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যে স্বপ্ন দেখতেন সেই স্বপ্ন আজ বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। স্বল্পোন্নত দেশ থেকে বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ করেছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রশংসা করে বিশ্বের বিভিন্ন সংস্থা নেতৃবৃন্দ ও গণমাধ্যম নানা উপাধি দিয়েছেন। একটি উন্নত মানবিক বাংলাদেশ, মুক্তিযুদ্ধের আকাঙ্ক্ষার বাংলাদেশের জন্য আপনার শতায়ু প্রার্থনা করে তরুণ প্রজন্ম।


লেখক-এফ এম শাহীন , সাধারণ সম্পাদক , গৌরব ’৭১ , সংগঠক , গণজাগরণ মঞ্চ


বিবার্তা/জাই


সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com