শিরোনাম
ভোটারদের মনে আস্থা তৈরি করতেই সেনা মোতায়েন: সিইসি
প্রকাশ : ২৪ ডিসেম্বর ২০১৮, ১৩:৫৪
ভোটারদের মনে আস্থা তৈরি করতেই সেনা মোতায়েন: সিইসি
বিবার্তা প্রতিবেদক
প্রিন্ট অ-অ+

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদা বলেছেন, সেনাবাহিনী মোতায়েনের ফলে ভোটারদের মনে আস্থা ফিরে আসবে। সেনাবাহিনী মোতায়েনের উদ্দেশ্যই হলো ভোটারদের মনে আস্থা তৈরি করা।


তিনি বলেন, আমি রাজনৈতিক দলগুলোকে আবারো অনুরোধ জানাবো হাঙ্গামা, সহিংসতা, আন্তঃকোন্দল দূর করে শুধুমাত্র দলীয় প্রচারের মাধ্যমে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে। মাঠে সেনাবাহিনী রয়েছে, তারা নিয়ম-শৃঙ্খলা রক্ষার ক্ষেত্রে সহযোগিতা করবে। আমি মনে করি, যে অল্প কিছু অরাজকতা ছিল, তা এখন দূর হবে।


রাজধানীর রেসিডেনসিয়াল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজে সোমবার চলমান ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) মক ভোটিং (ভোটের মহড়া) কার্যক্রম পরিদর্শনে গিয়ে তিনি এ কথা বলেন।


সেনাবাহিনী সব ধরনের দায়িত্ব পালন করবে জানিয়ে সিইসি বলেন, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য সেনাবাহিনী যে কোনো দায়িত্ব পালন করবে। সেনাবাহিনীর সামনে যদি এমন কোনো পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়, যা নিয়ন্ত্রণের প্রয়োজন তখন তারা নিজ উদ্যোগে সেখানে গিয়ে সে পরিস্থিতি সংযত করবে। এগুলোর আইন আছে, ‘এইড টু সিভিল পাওয়ার’-এর আলোকে তারা ব্যবস্থা নেবে।


ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) নিয়ে তিনি বলেন, ইভিএম পরিচালনার দায়িত্বে থাকবেন নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারাই। তাদের সহযোগিতা করতে সেনাবাহিনীর প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত চৌকষ কর্মকর্তারা দায়িত্ব পালন করবেন।


ইভিএমের প্রশিক্ষণ সম্পর্কে তিনি আরো বলেন, প্রত্যেকেই সুন্দরভাবে প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। ছয়টি আসনের প্রতিটি কেন্দ্রেই ইভিএমে ভোট নেয়া হবে। সেটার জন্য এখানে যে ট্রেনিং কার্যক্রম চলছে, সেটা আমি পরিদর্শন করলাম। এখানে প্রত্যেকেই ভালোভাবে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছেন। এখানে সবাই জানে কীভাবে ইভিএম ব্যবহার করতে হয়। কীভাবে ভোট সমাপ্ত করে গণনা করতে হয়।


রাজনৈতিক দলগুলোর দ্বিমতের পরিপ্রেক্ষিতে মাত্র ছয়টি কেন্দ্রে ইভিএম ব্যবহার হবে উল্লেখ করে নূরুল হুদা বলেন, আমরা রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত বিচার-বিশ্লেষণ করে পাইলট প্রকল্প হিসেবে মাত্র ছয়টি কেন্দ্রে ইভিএম ব্যবহার করছি।


তিনি বলেন, যদিও ইভিএমের ব্যাপারে আমাদের কোনো সন্দেহ ছিল না। কিন্তু তাদের সন্দেহ থাকার কারণে আমরা খুব অল্পসংখ্যক ইভিএম ব্যবহার করছি। যারা সন্দেহ প্রকাশ করেছিল তারা এখন এসে দেখুন, এর সম্পর্কে জানুন। আশা করি তাদের সন্দেহ ভেঙে যাবে।


২৭ ডিসেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিএনপির জনসভার অনুমতি প্রসঙ্গে সিইসি বলেন, এ বিষয়ে আমি এখনো ঢাকা মেট্রোপলিট্রল পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনারের সঙ্গে কথা বলিনি। এখান থেকে ফিরে আমি কথা বলবো।


তিনি বলেন, এগুলো তো আইন-শৃঙ্খলার বিষয়। ডিএমপি এসব ভালো বোঝে। আমরা এগুলো তেমনভাবে জানি না। জনসভা ঘিরে কোনো থ্রেট আছে কিনা, কোনো আশঙ্কা আছে কিনা আমি তা আলাপ করে দেখবো।


ফৌজদারী কার্যবিধির (সিআরপিসি) ২৭ থেকে ৩২ ধারা অনুযায়ী আজ সোমবার থেকে ২ জানুয়ারি পর্যন্ত নিয়োজিত করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ফলে একজন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের অধীনে সশস্ত্র বাহিনীর প্রতিটি টিম কাজ করবে।


তবে ম্যাজিস্ট্রেট সাথে না থাকলে কিংবা ম্যাজিস্ট্রেটে সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব না হলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সশস্ত্র বাহিনী সামরিক শক্তি প্রয়োগ করতে পারবে।


বিবার্তা/জাকিয়া

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com