শিরোনাম
শিক্ষার্থীদের পরীক্ষাভীতি কেটে গেছে: প্রধানমন্ত্রী
প্রকাশ : ২৪ ডিসেম্বর ২০১৮, ১২:৫৪
শিক্ষার্থীদের পরীক্ষাভীতি কেটে গেছে: প্রধানমন্ত্রী
বিবার্তা প্রতিবেদক
প্রিন্ট অ-অ+

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, প্রাথমিক ও ইবতেদায়ী শিক্ষা সমাপনী এবং অষ্টম শ্রেণীর সমাপনী জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষা ধারাবাহিকভাবে নেয়ার কারণে শিক্ষার্থীদের পরীক্ষাভীতি কেটে গেছে।


তিনি বলেন, এই পরীক্ষার মধ্য দিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে আত্মবিশ্বাস গড়ে উঠছে এবং তাদের সামনের দিকে এগিয়ে যেতে উৎসাহী করছে।


তিনি আরো বলেন, প্রাথমিক ও অষ্টম শ্রেণির পরীক্ষার অনেকেই সমালোচনা করেন। তবে এই পরীক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মধ্যে আত্মবিশ্বাস গড়ে উঠছে। পরীক্ষায় অংশগ্রহণ এবং সার্টিফিকেট পাওয়ার বিষয়টি তাদের সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার উৎসাহ হিসেবে কাজ করছে।


পিইসি, জেএসসি-জেডিসি পরীক্ষার সোমবার ফল প্রকাশ এবং শিক্ষার্থীদের মধ্যে নতুন বছরের নতুন বই বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।


শেখ হাসিনা বলেন, যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ গড়তে এবং শিক্ষিত জাতি গঠনের মাধ্যমে দেশকে এগিয়ে নিতে প্রাথমিক শিক্ষাকে অবৈতনিক এবং বাধ্যতামূলক করে দিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। জাতির জনকের এই কাজকে এগিয়ে নিতে নিরক্ষরতামুক্ত বাংলাদেশ গড়তে কাজ করে যাচ্ছি।


তিনি বলেন, আমরা ’৯৬ সালে ক্ষমতায় আসার পর দেশের বিজ্ঞান শিক্ষাকে এগিয়ে নিতে ও প্রযুক্তি জ্ঞান সম্পন্ন নতুন প্রজন্ম গড়ে তোলার পদক্ষেপ গ্রহণ করি। এরই অংশ হিসেবে বিজ্ঞান শিক্ষাকে উৎসাহী করতে ১২টি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে তোলার উদ্যোগ নিয়েছিলাম। কম্পিউটার শিক্ষায় আগ্রহী করতে কম্পিউটারের দাম কমিয়ে দেওয়াসহ প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করি। এরই সুফল হিসেবে আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে সক্ষম হয়েছি।


তিনি আরো বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার সব সময় শিক্ষাখাতে সব সময় বেশি গরুত্ব প্রদান করে আসছে। শিক্ষার জন্য আমরা যা খরচ করি, সেটাকে আমি কখনোই খরচ হিসেবে মনে করি না। এটাকে আমি বিনিয়োগ মনে করি, ভবিষ্যতে দেশ গড়ার জন্য শিক্ষিত ও দক্ষ মানুষ গড়ার জন্য এই বিনিয়োগ।


প্রধানমন্ত্রী বলেন, পৃথিবীতে সবচেয়ে কম খরচে উচ্চ শিক্ষা বাংলাদেশেই দেয়া হয়। তাই এ মর্যাদা শিক্ষার্থীদের ধরে রাখতে হবে।


এ সময় শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষায় আগ্রহী করতে ও উন্নত জাতি গড়ার লক্ষ্যে সরকার ঠিক সময়ে পরীক্ষার ফল প্রকাশ ও বিনামূল্যের বই বিতরণের পাশাপাশি উচ্চশিক্ষার জন্য বৃত্তিরও ব্যবস্থা করেছে বলে জানান তিনি।


তিনি বলেন, সময়মতো ফলাফল ঘোষণা একটি দুরূহ ব্যাপার। তারপরও ঠিক সময়ে ফলাফল ঘোষণা করতে পারায় ফলাফলের সাথে সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ।


পরীক্ষায় যারা পাস করেছে তাদের অভিনন্দন এবং যারা পাস করতে পারেনি তাদের আরো ভালো করে পড়াশুনা করার আহবান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, অনেকে পিইসি, জেএসসির বিরুদ্ধে। কিন্তু একটা সার্টিফিকেট যখন শিশুরা পায় তখন তারা খুব খুশি হয়। অনেকে এই সার্টিফিকেটের ছবি তুলে রেখে দেয়। সুতরাং এটা খুব আনন্দের।


তিনি বলেছেন, দেশকে উন্নত করতে হলে শিক্ষিত জনগোষ্ঠী প্রয়োজন। আমরা শিক্ষিত জনগোষ্ঠী তৈরির চেষ্টা করছি। এটা করতে পারলে দেশ দ্রুত উন্নয়নের দিকে এগিয়ে যাবে।


তিনি আরো বলেন, দেশকে অনেকদূর এগিয়ে নিতে আমরা কাজ করছি। ২০৪১ সাল ছাড়াও সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা আমাদের হাতে রয়েছে। ডেল্টা প্ল্যান প্রণয়নের মাধ্যমে আমরা আগামী ১০০ বছরের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছি। কারণ আমরা বিশ্বাস করি সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য থাকলেই তা বাস্তবায়ন সম্ভব।


এর আগে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার প্রধানমন্ত্রীর হাতে এসব পরীক্ষার ফলাফলের অনুলিপি তুলে দেন। এরপর ঢাকা, রাজশাহী, কুমিল্লা, যশোর, চট্টগ্রাম, বরিশাল, সিলেট ও দিনাজপুর শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যানগণ নিজ নিজ বোর্ডের ফলাফল প্রধানমন্ত্রীর কাছে হস্তান্তর করেন।


পরে প্রধানমন্ত্রী ডিজিটাল পদ্ধতিতে কম্পিউটারের মাউস চেপে ফলাফল প্রকাশ করেন।


এ সময় শিক্ষামন্ত্রী এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী পৃথকভাবে দুই সেট বই প্রধানমন্ত্রীর হাতে তুলে দেন। পরে শিক্ষার্থীদের হাতে বই তুলে দিয়ে বই বিতরণ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।


এবার দেশের ৪ কোটি ২৬ লাখ ১৯ হাজার ৮৬৫ জন প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্কুল শিক্ষার্থীর মধ্যে ৩৫ কোটি ২১ লাখ ৯৭ হাজার ৮৮২টি বই বিনা মূল্যে বিতরণ করা হবে।


ফল প্রকাশ অনুষ্ঠানের পরিচালনা করেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব নজিবুর রহমান।


বিবার্তা/জাকিয়া

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com